Header Ads

ad728
  • Breaking News

    জাতীয় ঐক্য হবে কি হবে না ?

    গুলশান হামলার পর একটা কথা শোনা যাচ্ছে, সেটা হলো ‘জাতীয় ঐক্য’। জাতীয় ঐক্য শব্দটা উচ্চারিত হওয়ার অর্থ- বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় পর্যায়ের কিছু মানুষ চিন্তা করছে, বাংলাদেশে হয়ত কোন বিদেশী শক্তির শকুনী দৃষ্টি পড়েছে, এ থেকে নিস্তারের জন্য জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন। অবশ্য জাতীয় ঐক্যের বিরুদ্ধেও বক্তব্য দিয়েছে অনেকে। বলছে- না জাতীয় সম্ভব না। ‘জাতীয় ঐক্য’ শব্দটার সাথে সাধারণ মানুষ অপরিচিত, জাতীয় ঐক্য মানে আমরা বুঝি- বাংলাদেশে দুটো বড় রাজনৈতিক দল এক হয়ে তৃতীয় কোন শক্তির মোকাবেলা করা। তাহলে এখন কথা হচ্ছে- তৃতীয় শক্তিটা আসলে কে ? বাংলাদেশের জন্য এই তৃতীয় শক্তিটা হচ্ছে ‘আমেরিকা’ । ১/১১ এর সময়ও বাংলাদেশে মার্কিনপন্থী ইউনুস’র উদ্ভব হতে গিয়েছিলো, কিন্তু আওয়ামী-বিএনপি এক হয়ে তাকে দমন করেছে। বর্তমানেও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে যাচ্ছে। আমার দৃষ্টিতে আওয়ামীলীগের পায়ের তলার মাটি এখন অনেকটাই দুর্বল। বিশেষ করে গুলশান হামলার ফলে বাংলাদেশে প্রধান বিনিয়োগকারী জাপানের সাথে বাংলাদেশে সম্পর্কের অবনমন ঘটেছে। এখন সেই সম্পর্ক পুর্নস্থাপনে জাপান (জাপান আসলে আমেরিকারই একটি অংশ) যদি আওয়ামী সরকারকে বিশেষ কোন শর্ত মানতে চাপ দেয়, সেক্ষেত্রে শেখ হাসিনা তা মেনে নিলেও নিতে পারে। আর এক্ষেত্রে আওয়ামী সরকারকে আরো বেধে ফেলতে পারবে আমেরিকা। গুলশানের ঘটনায় আমার কাছে শেখ হাসিনাকে অনেকটা অসহায় বলে মনে হয়েছে। মিডিয়ার এত বড় বেঈমানি দেখার পর তিনি শুধু মৌখিক বকা দিতে পেরেছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন এ্যাকশনে যেতে পারেননি, লাইসেন্স বাতিল করতে পারেননি কোন টিভি চ্যানেলের। উল্লেখ্য গুলশানের ঘটনায় বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলো বাংলাদেশে সরকারের কথা না শুনে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কথা শুনেছে, এক্ষেত্রে আসলে প্রমাণ হয়ে গেছে বাংলাদেশের মূল মূল টিভি চ্যানেলগুলো এখন আমেরিকার নিয়ন্ত্রণে, যা বাংলাদেশের জন্য সমূহ বিপদ সংকেত নির্দেশ করছে। বলাবাহুল্য আওয়ামী সরকার এখন তার সরকারের ঢুকে পরা মার্কিন এজেন্টদের বিরুদ্ধে শক্ত গলায় কথা বলতে পারছে না। মিডিয়ামন্ত্রী ইনু আওয়ামী সরকারের ভেতর সিদ কাটছে বহুদিন ধরে। সৈয়দ আশরাফ তা প্রকাশ করেছিলো, কিন্তু সেটা শুধু মুখ পর্যন্তই, বাস্তবে সেটা দমনের কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বিচারক এস কে সিনহার বিরুদ্ধে দুইজন মন্ত্রী মুখ খুলেছিলো, কিন্তু উল্টো তাদেরকেই জরিমানা করা হয়েছে। জাতীয় ঐক্য, জাতীয় ঐক্য বলা হচ্ছে। কিন্তু আওয়ামীলীগের মধ্যেই তো কোন ঐক্য নেই। আওয়ামীলীগে ছদ্মবেশে মার্কিন এজেন্টরা ঢুকে দলটিকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে আর একই ঘটনায় বিএনপি’র অবস্থা তো মৃতপ্রায়। স্বাভাবিকভাবে বলা যায়, বাংলাদেশ নিকট ভবিষ্যতে মাইনাস-টু দেখতে যাচ্ছে, উত্থ্যান ঘটতে যাচ্ছে কোন মার্কিনপন্থী সরকারের। তাই এখন যদি জাতীয় ঐক্যের কথা চিন্তা করতেই হয় তবে আগে নিজ নিজ দলের মার্কিনপন্থী বিতাড়নের ব্যবস্থা করতে হবে। “হয় আমেরিকা ছাড়ো, নয়ত দল ছাড়ো” এই শর্ত জুড়ে দিতে হবে। তবে সবচেয়ে ভালো হয় আওয়ামী-বিএনপি যদি মার্কিনপন্থীগুলোকে গণহারে দল থেকে বহিষ্কার করে দেয়, তবেই জাতীয় ঐক্য সম্ভব, এছাড়া জাতীয় ঐক্য স্থাপন কখনই সম্ভব নয়।

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728