খুলনায় হিন্দু সাধুর কাণ্ড, চিকিৎসার নামে ধর্ষণ, অতঃপর মোবাইলে ভিডিও
খবর- দৈনিক মানবজমিন, ১ জুলাই ২০১৬, শুক্রবার :
খুলনার পাইকগাছার কাশিমনগর গ্রামে নিজ বাড়িতে ব্যক্তিগত কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করে এক হিন্দু দম্পতি বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে। তারা চিকিৎসার নামে মহিলাদের সঙ্গে কৌশলে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনসহ অশ্লীল চিত্র মোবাইলে ধারণ করেছে। যে ভিডিওচিত্র বর্তমানে এলাকাবাসীর হাতে হাতে।
এদিকে গত কয়েক দিনে একের পর এক বিভিন্ন মহিলার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের ভিডিওচিত্র দেখে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী হিন্দু সাধকের আস্তানায় হামলা চালিয়েছে। ঘটনার পর থেকে হিন্দু সাধক পালিয়েছে। জানা গেছে, উপজেলার পূর্ব-কাশিমনগর গ্রামের মৃত রঘুদেবনাথ মণ্ডলের ছেলে শঙ্কর মণ্ডল (৪৫) কয়েক বছর আগে বাড়িতে ব্যক্তিগত একটি কালী মন্দির (থান) স্থাপন করে এবং ওই সময় তিনি প্রচার করেন কালী নাকি তার স্ত্রী বিনোতা রাণী মন্ডল (৪২)কে স্বপ্ন দেখিয়েছেন ওই মন্দির স্থাপন করে তার সাধনা করতে। এরপর ওই মন্দিরে স্ত্রী বিনোতা রাণী তন্ত্র সাধনা শুরু করেন। পাশাপাশি এলাকায় প্রচার করেন তারা নাকি বর পেয়েছেন। সেখানে মানুষের বর্তমান, অতীত ও ভবিষ্যৎ বাণীসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা করা হয়। সেই থেকে সপ্তাহের প্রতি শনি ও মঙ্গলবার ওই আখড়ায় বসে চালায় কথিত চিকিৎসা কার্য। সেখানে উপস্থিত বিভিন্ন মহিলা রোগীকে নানা কৌশলে রাজি করায় যে, সমস্যা সমাধানে মাদুলী করতে তার স্পর্শকাতর অঙ্গের উপাদান লাগবে। রাজি থাকলে পাশের ঘরে গুরুদেব আছেন সে ব্যবস্থা করবে। এরপর বিপদগ্রস্ত মহিলারা ওই ঘরে গেলে বিভিন্ন অপকৌশলে স্পর্শকাতর অঙ্গের উপাদান নেয়ার কথা বলে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হয় কথিত গুরুদেব ও তান্ত্রিক মহিলার স্বামী শঙ্কর মণ্ডল। এখানেই শেষ নয়, যৌন সঙ্গমের চিত্র সে কৌশলে মোবাইলে ধারণ করে রাখে। যা দিয়ে পরবর্তীতে ফাঁদে পা দেয়া সর্বহারা মহিলাদের সঙ্গে অব্যাহত ব্ল্যাকমেইল করে হাতিয়ে নেয় মোটা অংকের নগদ অর্থসহ স্বর্ণালঙ্কার। এলাকাবাসী জানায়, এমন অভিযোগ তারা আগেও পেয়েছে। তবে উপযুক্ত প্রমাণ না পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি। সমপ্রতি অসাবধানতাবশত শংকরের মোবাইলটি হাতছাড়া হলে বেরিয়ে পড়ে বিভিন্ন সময়ে করা তার সকল কুকর্মের খবর। অল্প সময়ের মধ্যেই বিভিন্ন হাত বদল হয়ে ওই সকল ভিডিও চিত্র ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন মোবাইলে। সুচতুর শঙ্কর বিষয়টি বুঝতে পেরে বাড়ি ছেড়ে গা-ঢাকা দিয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম ও অপর ইউপি সদস্য শেখ রবিউল ইসলাম এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্বাস আলী জানান, স্থানীয় ইউপি সদস্যের কাছে সংবাদ শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। তিনি ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর রোষানলে শঙ্কর মণ্ডলের কথিত আস্তানায় হামলা ও তার পলাতকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
(সূত্র: লিঙ্ক-http://goo.gl/jXu40X)
;((
ReplyDelete