গুলশান হামলার লাইভ দেখানো নিয়ে মিডিয়ার ষড়যন্ত্র
সারা বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলার অনেক ঘটনা ঘটে, সেগুলার কিন্তু লাইভ দেখানো হয় না। কিন্তু আজকে গুলশানে সন্ত্রাসী হামলার সময় মিডিয়াগুলো কেন লাইভ দেখাতে গেলো?
বিষয়টি কি শুধুই পাবলিককে জানানোর জন্য নাকি দেশজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ?
একটা কথা মনে রাখবেন, প্রতিদিন সারা বাংলাদেশ কমকরে ১০০ লোক মারা যায়। কিন্তু একটা মন্দিরের ঠাকুর মরলে সেই খবর বিবিসিতে আসে। বাকি ৯৯ জনের হত্যাকে চয়েস না করে বিবিসি কেন এক ঠাকুরকে পছন্দ করলো সেটাই সন্দেহের বিষয়।
সারা বাংলাদেশে প্রতিদিন অসংখ্য গনজমায়েত হয়, হাজার হাজার লোক সেখানে উপস্থিত হয়। কিন্তু মিডিয়াকে ৫-১০টা শাহবাগীদের মিছিল কেন হাইলাইট করে সেটাও চিন্তার বিষয়।
অর্থাৎ মিডিয়া যেখানে যেচে গিয়ে ইন্টারেস্ট দেখাবে, বুঝতে হবে সেখানে নিশ্চয়ই কোন ‘কিন্তু’ আছে।
উল্লেখ্য সময় টিভি, বিডিনিউজ২৪ এ প্রচার করছে- সন্ত্রাসীরা নাকি ‘আল্লাহু আকবার’ বলে চিৎকার দিয়েছিলো। অর্থাৎ মিডিয়া পাবলিককে বুঝাতে চাইছে বাংলাদেশেও আইএস হামলার মত কোন ঘটনা ঘটেছে এবং সেখানে আন্তর্জাতিক জঙ্গী গোষ্ঠী জড়িত। আমার মনে হয় মিডিয়া খবরকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে একদিনে টার্ন দেওয়ার চেষ্টা করছে এবং লাইভ সম্প্রচার করে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করছে।
হিসেবগুলো আসলে খুব সহজ। সিআইএ’র পুরোনো নাটক এবার বাংলাদেশের সংগঠিত হচ্ছে। উদ্দেশ্য বাংলাদেশে আইএস প্রবেশ করেছে তা প্রমাণ করা। তবে অবাক হয়েছি সেই ঘটনায় মিডিয়ার ইনভলমেন্ট দেখে। তবে এটা জানা, বাংলাদেশের মিডিয়ামন্ত্রী হচ্ছে ইনু। আমি আগেই বলেছি, ইনু সম্ভবত ভোল পাল্টে মার্কিন ব্লকে যোগ দিয়েছে এবং ইনুর কারণেই মিডিয়া আজকে গুলশানের সিআইএ’র অপরেশনে সহযোগীতা করলো।
No comments