Header Ads

ad728
  • Breaking News

    অতীতের মোঘল বাদশাহ বাহাদুর শাহ জাফরের পরিণতি এবং বর্তমানে শেখ হাসিনার অবস্থা

    প্রসঙ্গ: হিন্দু তোষণ-------------------------- শেখ হাসিনা কি শেষ মোঘল বাদশাহ বাহাদুর শাহ জাফরের পরিণতি ভোগ করতে যাচ্ছে ? “হিন্দুরা আমাকে বাচাবে”---এ ধরনের মোহ অনেক মুসলিম শাসকের ক্ষেত্রেই দেখা যায়। তাদের ধারণা মুসলিম জনগোষ্ঠী নয়, বরং হিন্দু জনগোষ্ঠী অধিক বিশ্বস্ত এবং সেই হিন্দু জনগোষ্ঠী তাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখবে। ইতিহাসে এ ধরনের অদ্ভূত মোহ বহু মুসলিম শাসকের মধ্যে দেখা যায়, কিন্তু সেই সকল শাসকের পরিণতি ছিলো কিন্তু খুবই করুণ। যেমন- শেষ মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের ইতিহাস। বাহাদুর শাহ জাফর হিন্দুদের খুব বিশ্বাস করতো, হিন্দুদের খুব তোয়াজ করতো। এমনি ক্ষেত্র বিশেষে সে মুসলিম নির্যাতন করে হিন্দুদেরকে সমর্থন দিতো। যেমন- উইলিয়াম ড্যালরিম্পেল তার ‘দি লাস্ট মোগল’ বইতে উল্লেখ করেছে, সিপাহী বিদ্রোহের সময়ে দিল্লীতে ৫ জন মুসলিম কসাইকে গরু জবাই করার কারণে হত্যা করেছিলো হিন্দু সেপাইরা। এ খবর বাহাদুর শাহ জাফরের নিকট গেলে হিন্দুদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া তো দূূরের কথা, উল্টো সে মুসলমানদের গরু জবাই নিষিদ্ধ করতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এমনকি মুসলমান কাবাব ব্যবসায়ীদের পর্যন্ত ব্যবসা থেকে উচ্ছেদ করা হয়। সে বছর কুরবানীর ঈদে গরু কুরবানী ছিলো একদমই বন্ধ।। সেই সময় সম্রাটকে অনেকেই বলতো- হিন্দুরা হচ্ছে ব্রিটিশ দালাল, কিন্তু সম্রাট কিছুতেই তা মানতে চাইতো না, হিন্দুদের প্রতি তার ছিলো অগাধ বিশ্বাস। উল্লেখ্য সিপাহী বিদ্রোহের সময় অর্থ ও উন্নতমানের অস্ত্রশস্ত্রের অভাব দেখা দেয়। সে সময় হিন্দু ব্যবসায়ীদের কাছে অর্থ ছিলো। সম্রাট ভারতবর্ষ থেকে বিদেশী শত্রু তাড়াতে হিন্দু ব্যবসায়ীদের ঋণ দিতে আহ্ববান করেছিলেন। কিন্তু হিন্দু ব্যবসায়ীরা সেই সম্রাটকে কোন প্রকাশ ঋণ দিতে অস্বীকার করে। সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর হিন্দু ব্যবসায়ী রামজীমলকে বলেছিলেন- “আমি তোমার কাছে অর্থ ঋণ হিসাবে চাচ্ছি, কর হিসাবে নয়”। কিন্তু রামজীমল ঋণ দিতেও অস্বীকার করলো। অথচ আগ্রার হিন্দু ঠিকাদার জ্যোতিপ্রসাদ ইংরেজদের ত্রিশ হাজার টাকা যুদ্ধকালীন তহবিলে সাহায্য করে। এ দিকে হঠাৎ বাজার থেকে রসদ ও বারুদ উধাও হয়ে গেল। যামিনী দাসের মতো অর্থলোভীরা আটার মজুদ গড়ে তুললো। বারুদ লুকিয়ে সঙ্কট সৃষ্টি করলো দেবীলাল। ঐ বারুদ দিয়ে সে ইংরেজদের সহযোগিতা করলো। ফলে যুদ্ধের গতিপথ পরিবর্তন হয়ে গেল। এ যুদ্ধে ইংরেজ সৈন্যরা মীর্জা মোগল, মীর্জা খিজির সুলতান, মির্জা আবু বকর, আমির-ওমরাহ সেনাপতি ও বহু মুসলিম সৈন্যদের শহীদ করে। অর্থাৎ হিন্দু বিশ্বাসঘাতকদের কারণে পরাজয় ঘটে বাহাদুর শাহ জাফরের। বিশ্বাসঘাতক হিন্দুদের সহযোগীতায় ইংরেজরা বাহাদুর শাহ জাফরকে গ্রেফতার ও বন্দি করে। ইংরেজরা সম্রাটের ২ পুত্রসহ পরিবারের মোট ২৯ জন শিশু বালক-বালিকাকে দিল্লির প্রকাশ্য রাজপথে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সম্রাটকে পাঠানো হয় রেঙ্গুনে নির্বাসনে। জীবনের শেষ অবস্থায় খুব করুণ পরিণতি বরণ করতে হয়েছিলো সম্রাটকে। অর্থাৎ মাত্রাতিরিক্ত হিন্দুতোষণ, হিন্দুদের প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও মোহ শেষ পর্যন্ত কাল হয়েছিলো সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের। এটাই চিরন্তন সত্য, অতিরিক্ত হিন্দু তোষণ মুসলিম শাসকদের জন্য কখনই ভালো ফল বয়ে আনেনি এবং আনবেও না। ইতিহাস সেই সত্যই বার বার প্রকাশ করেছে। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, আওয়ামী সরকারও মাত্রারিক্ত হিন্দুতোষণ শুরু করেছে এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে গিয়ে হিন্দুদের মাথায় তুলে নাচছে। মুসলমানদের মসজিদ কেড়ে হিন্দুদের দিচ্ছে, মুসলমানদের বাজেট কেড়ে হিন্দুদের দিচ্ছে, মুসলমানদের চাকুরী কেড়ে হিন্দুদের দিচ্ছে। শুধু হিন্দু, হিন্দু আর হিন্দু। প্রধানমন্ত্রী হয়ত ভাবছে ‘হিন্দুরা তাকে রক্ষা করবে’, ‘হিন্দুরা হয়ত তার ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করবে’। আসলে এ ধরনের মোহ সম্পূর্ণ ভুল ও অবাস্তব। হিন্দুরা কখনই শেখ হাসিনাকে সাহায্য করবে না, তার ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করবে না। বরং বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, হিন্দুরাই শেখ হাসিনার ক্ষমতা ধসিয়ে দেওয়ার জন্য বিদেশী শত্রুদের (আমেরিকা-ইসরাইল) সাথে হাত মিলিয়েছে। শেখ হাসিনার উচিত ছিলো বাহাদুর শাহ জাফরের করুণ পরিণতি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা। শেখ হাসিনার বোঝা উচিত ছিলো- হিন্দুরা জাতিগতভাবে বেঈমান ও বিশ্বাসঘাতক। তাদের তোষণ করে কখণই ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করা সম্ভব নয়, বরং তারাই উপরের পদে বসে বিশ্বাসঘাতকতা করে ক্ষমতা ধসিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। তাই শেখ হাসিনার উচিত যত দ্রুত সম্ভব হিন্দু তোষণ থেকে সরে আসা। নয়ত হিন্দু বিশ্বাসঘাতকদের দ্বারা হয়ত তাকেও বাহাদুর শাহ জাফরের মত করুণ পরিণতি বরণ করতে হতে পারে।

    1 comment:

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728