বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান আদিবাসী পার্টির কার্যক্রম
সিলেটের রাগীব আলী ইস্যুতে সে কয়টি উগ্রহিন্দু সংগঠন ফিল্ডে কাজ করেছে তার মধ্যে নেতৃস্থানীয় ছিলো বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান আদিবাসী পার্টি নামক একটি সংগঠন। সংগঠনটির সভাপতি সিলেটের অধিবাসী মিঠুন চৌধুরী নামক এক উগ্র হিন্দু (ফেসবুক আইডি-https://goo.gl/7EgcI9)। সে ইসকন, জাগো হিন্দু নামক সংগঠনগুলোর সাথেও সম্পর্ক রাখে। মিঠুন চৌধুরী সিলেটে একটি পত্রিকা চালায়, পত্রিকাটির নাম দৈনিক মুক্তাঙ্গন। এই মুক্তাঙ্গন পত্রিকার মাধ্যমে সে প্রত্যেক জেলায়-জেলায়-থানায়-থানায় উগ্রহিন্দুত্ববাদী রিক্রুট করার ঘোষণা দিয়েছে।
উগ্রহিন্দুত্ববাদী মিঠুন চৌধুরী তার সংগঠনের লোগো ভারতের বিজেপি’র সাথে মিল করে রেখেছে। এই হিন্দু জংলীটাই প্রেসক্লাবে মানববন্ধন করে দাবি করেছে- রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের নাম পরিবর্তন করে রাধা-গোবিন্দ মেডিকেল কলেজ রাখার জন্য। (http://goo.gl/tE2mci)
আপনাদের জানার জন্য বলছি- ইতিমধ্যে তারাপুর চা বাগানের ৩৪০ একর বা ১০২০ বিঘা জমি হিন্দুরা নিয়ে গেছে। এখনও বাকি আছে প্রায় ৩০০ বিঘা মত জমি, যেখানে মানুষের বসতবাড়ি রয়েছে। সেগুলো নেওয়ার জন্য এখন হিন্দু উঠে পড়ে লেগেছে।
আমি আগেই বলেছিলাম-
সিলেট আবার গৌড়গোবিন্দের ক্ষপ্পরে পড়েছে। সিলেটের মুসলমানরা এতদিন খুব ধর্মনিরপেক্ষ সেজেছিলো, ভাব দেখাচ্ছিলো- হিন্দুরা খুব ভালো, হিন্দুদের অধিকার আদায় করে দিতে তারাও আন্দোলন করেছিলো । কিন্তু যখন হিন্দুরা সুযোগ পেলো, তখন উল্টো মুসলমানদের ঘাড় মটকানো শুরু করলো। মজার ব্যাপার হচ্ছে খোদ সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের নেতারাও এখন হিন্দুরদের দ্বারা নিপীড়িত হচ্ছে।
আসলে মানুষ পরগাছার ধর্মভুলে যায়-
পরগাছা যেই গাছকে পূজি করে বেড়ে ওঠে, এক সময় সেই গাছকেই মেরে ফেলে। আজকে যারা চূড়ান্ত পর্যায়ে হিন্দু তোষণ করছে, তাদের সিলেটের ঘটনা থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত।
আবার ব্লগ- http://www.noyonchatterjee.com/
No comments