বিদেশী শক্তিকে খুশি করতে সরকারের নীতি
আমেরিকা বাংলাদেশকে আইএস এর নাম দিয়ে চেপে ধরতে চাইছে
বাংলাদেশে সরকারও আমেরিকার ডিমান্ড দূর করতে পুরো দেশকে চেপে ধরেছে।
- মসজিদ-মাদ্রাসাগুলোকে বাধ্যবাধকতা দিচ্ছে,
-সাধারণ জনগণের স্বাধীনতার উপর বিধি নিষেধ আরোপ করছে,
- কেউ ২-৩দিন স্কুলে না গেলে তার বাসায় গিয়ে ডিস্টার্ব করছে,
- কেউ সন্ধার পর আড্ডা দিলে তাকে বকাঝকা দিচ্ছে
- মেসে ব্যাচেলারদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে,
- এমনিতেই বিপদে থাকা ভাড়াটিয়ারদের উপর আরো চাপ বাড়িয়েছে
সোজা ভাষায় বলতে, পুরো দেশের জনগণের ব্যক্তিস্বাধীনতাকে গ্রাস করা হয়েছে।
কিন্তু এতে কি আমেরিকা তথা আগ্রাসী শক্তিকে সন্তুষ্ট করতে পেরেছে সরকার ?
গতকালও খবরে এসেছে-
- আই্এস ঘাটির তালিকায় শীর্ষে বাংলাদেশের নাম তুলেছে আমেরিকার
(http://goo.gl/oIrGlT)
- কথিত ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ (আইসিজি) গ্রুপ বলেছে আইএস দমন করা এখন বাংলাদেশের মূল ক্রাইসিস। (http://goo.gl/gzRjtF)
- ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দূত জানিয়েছে- বাংলাদেশে সন্ত্রাসীপনা আরো ঘটবে।
(http://goo.gl/N2zjIn)
তারমানে বাংলাদেশকে আরো চাপাতে চাইছে তারা। সরকার যদিও তাদের ডিমান্ড পূরণ করছে, জনগণকে আরো চেপে ধরেছে। কিন্তু লাভ হয়নি। আমেরিকার যেটা করার সেই দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে ।
উল্লেখ্য-
আমেরিকায় প্রতিদিন ৮২ জন গোলাগুলি করে মারা যায়, আহত হয় শতাধিক (বছরে মারা যায় প্রায় ৩০ হাজার) (http://heedinggodscall.org/content/pfctoolkit-10)। এত হতাহতের পরও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কিন্তু অস্ত্র বহনের উপর নিষেধাজ্ঞা আরো করা হয়নি। জনগণের স্বাধীনতায় কোন হস্তক্ষেপ করা হয়নি।
অথচ বাংলাদেশের গুলশানে মাত্র ২৮ জন মারা যাওয়াতে পুরো বাংলাদেশকে চেপে ধরা হয়েছে। সরকার আমেরিকা ডিমান্ড পূরণে তাদের তালে তাল মিলিয়ে যাচ্ছে।
বলাবাহুল্য, এভাবে দেশকে চেপে ধরলে খুব শিঘ্রই যে দেশের অর্থনীতিতে মারাত্মক ধস নামবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আসলে ক্ষমতার জন্য ক্ষমতাসীনরা জনগণের স্বার্থ বাদ দিয়ে যখন বিদেশী শক্তিকে খুশি করতে বেশি ঝুঁকে যায়, তখন এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক।
No comments