মিডিয়ার অ্যানথ্রাক্স নিয়ে অপপ্রচার
বসুন্ধরা গ্রুপের বাংলানিউজ২৪ ডট কম এবং সালমান এফ রহমানের ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভিতে হঠাৎ করে অ্যানথ্রাক্স ভীতি ছড়ানো শুরু করেছে । এতদিন খবর ছিলো না, কিন্তু ঈদের মাত্র দুই সপ্তাহে আগে হঠাৎ করেই অ্যানথ্রাক্স নিয়ে খবর শুরু করেছে। যা সত্যিই আশ্চর্যজনক। (http://goo.gl/txUFPa)
এটা নিশ্চিৎ মানুষকে কোরবানী ঈদে পশুর মাংশ সম্পর্কে ভীতি সৃষ্টি করতেই এ কাণ্ড।
অথচ ডাক্তাররা বলছেন- অ্যানথ্রাক্স হচ্ছে গরুর তড়কা রোগ, এটা নতুন কোন রোগ নয়, অনেক পুরাতন একটি রোগ। হঠাৎ করে এর নাম অ্যানথ্রাক্স করায় অনেকে ভয় পাচ্ছেন। আসলে এই রোগ নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সামান্য আচে ১৫-২০ মিনিট মাংশ সিদ্ধ করলেই সেখানে আর কোন জীবানু থাকতে পারে না।
এ সম্পর্কে-আইসিডিডিআরবি’র জ্যেষ্ঠ চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন-
“রান্নার সময় খেয়াল রাখতে হবে মাংস যেন ভালো করে সিদ্ধ হয়। অর্থাৎ তাপ যেন মাংসের ভেতরে ভালো করে ঢোকে। সম্পূর্ণ সিদ্ধ হওয়ার পরও একই তাপমাত্রায় মাংস চুলার ওপর অন্তত ১৫-২০ মিনিট রাখতে হবে। যদিও অ্যানথ্রাক্স জীবাণু অত্যন্ত শক্তিশালী; কিন্তু উচ্চ তাপমাত্রায় যেকোনো জীবাণু ধ্বংস হয়ে যায়। অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত গরু বা অন্য প্রাণীর মাংস খেয়ে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা খুবই কম।”
(সূত্র-http://goo.gl/8lx2D0)
সিরাজগঞ্জ জেলার প্রাণিসম্পদ বিভাগ ও সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে বলা হয়- “অ্যানথ্রাক্স রোগ দেখতে ভয়ঙ্কর মনে হলেও এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।আক্রান্ত গরু ঢাকায় আসার কোনো আশঙ্কা নেই। রওনা দিলেও মৃত্যুবরণ করবে, কারণ আক্রান্ত হওয়ার তিন-চার ঘণ্টার মধ্যে গবাদিপশু মারা যায়। গরুর দুধ খেয়েও অ্যানথ্রাক্স হওয়ার আশঙ্কা নেই।” (সূত্র-http://goo.gl/91tjd7)
সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস ২০১০ সালে বলেছিলেন-
“গরু ও ছাগলের মাংস না খেয়ে মানুষ যেন মুরগি কেনার দিকে বেশি ঝোঁকে, সেই লক্ষ্যে পরিকল্পিতভাবে মুরগির ব্যবসায়ীরা অ্যানথ্রাক্স আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন। এ বিষয়ে আমাদের কাছে গোপন প্রতিবেদন রয়েছে। তদন্তের ভিত্তিতে আমরা সাতটি প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিতও করেছি।” (সূত্র-http://goo.gl/vGSZdm)
কি বুঝলেন ? মানুষকে কোরবানি থেকে দূরে রাখতে একটি মহল অত্যন্ত সক্রিয়। যদিও সাধারণ মুসলমানরা এখনও বেখবর।
No comments