এ কেমন ইসলামী পোষাক ??
গত কয়েকদিন ধরে আমি ‘বুরকিনি’ নামক একটা পোষাকের নাম শুনছি। ইউরোপে মুসলিম নারীরা নাকি এই পোষাক পরে সুইমিং করে। এ পোষাককে বলা হচ্ছে- মুসলিম নারীদের সুইমসুট, যা পরে মুসলিম নারীরা নাকি ইসলাম সম্মতভাবে (!) সাতার করতে পারে। অমুসলিম মহিলারা সাতার কাটে বিকিনি পরে আর মুসলিম নারীরা সাতার কাটে বুরকিনি (বুরকা + বিকিনি) পরে।
আচ্ছা-
এই বুরকিনি কতটুকু ইসলাম সম্মত ? এই প্রশ্নের উত্তর আমার থেকে আপনাদেরই বেশি জানার কথা। তাই আপনাদের থেকেই আশা করছি এর উত্তর।
উল্লেখ্য খবরে এসেছে-
সম্প্রতি ফ্রান্সসহ ইউরোপের বিভিন্ন কান্ট্রিতে বুরকিনি বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে। একটি ভিডিও ফুটেজ ছড়ানো হয়েছে, যেখানে দেখা গেছে- এক মুসলিম নারী, এই বুরকিনি পরে সি-বীচে শুয়ে আছে। এমন সময় পুলিশ এসে তার বুরকিনি খুলতে বলে। এতে নারীটি বুরকিনি খুলে ফেলে। এরপর পুলিশ ঐ নারীটিকে জরিমানা করে। (http://goo.gl/X0lVP8)
আমার যতদূর মনে পরে, ফ্রান্সসহ ইউরোপে মুসলিম নারীদের মধ্যে সম্পূর্ণ শরীর ঢাকা বোরকার খুব প্রচলন আছে । এই বোরকা পরলে হাত-পা-চোখ-মুখ কিছুই দেখা যেতো না। (ফরাসী নারীদের বোরকার ছবি দেখতে পারেন- http://goo.gl/WjdRqu)
কয়েক বছর আগে ফ্রান্স সরকার তা নিষিদ্ধ করে দেয়। কিন্তু সরকার নিষিদ্ধ করার পর পরই মুসলিম নারীদের মধ্যে সেই বোরকার ব্যবহার আরো কয়েকগুন বেড়ে যায়। মুসলিম নারীরা সরকারের সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত হয়ে উঠে। দোকানগুলোতে বৃদ্ধি পেতে থাকে বোরকা কেনা-বেচা। মার্কেটিং এর জগতে একে বলে নেগেটিভ মার্কেটিং। অর্থাৎ কোন বস্তুকে নিষিদ্ধ করে তার চাহিদা বৃদ্ধি করা। কারণ নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি সবার আগ্রহ স্বাভাবিকভাবেই বাড়তে থাকে।
আচ্ছা, হঠাৎ করে বুরকিনি বিতর্ক তুলে কি মুসলিম নারীদের দৃষ্টি বোরকা ও নেকাব থেকে সরিয়ে বুরকিনির দিকে ঘুরানোর চেষ্টা চলছে ? খবরে কিন্তু এসেছে- বুরকিনি বিতর্ক শুরু হওয়ার পর বুরকিনি বিক্রি বেড়েছে ২০০%। (http://goo.gl/fywB5d)
এখানেও কৌশলে নেগিটিভ মার্কেটিং করে বুরকিনি নামক পোষাকটির বিস্তৃতি ঘটানো হচ্ছে নাকি সেটাও ভেবে দেখার প্রয়োজন আছে।
No comments