কথিত ‘জঙ্গিবাদ’ প্রচারে কি হালাল হয় ?
জঙ্গি, সন্ত্রাস বা টেরোরিজম, এই শব্দগুলোর সাথে মুসলমানদের জড়ানোর ইতিহাস কিন্তু খুবই নতুন। বলা যায় মাত্র ১৫ বছর যাবত (৯/১১ এরপর)। এর আগে এ শব্দগুলোর একমাত্র অধিকারী ছিলো অমুসলিমরা। আপনি যদি শুধু বাংলাদেশের দিকেই তাকান তবেই তার অসংখ্য প্রমাণ পাবেন। বাংলাদেশে সন্ত্রাসের জনক হচ্ছে বামপন্থীরা। নাস্তিক্যবাদী গণবাহিনী বা সর্বহারা বাহিনী যে কত নিরীহ লোককে হত্যা করেছে তার কোন হিসেব নেই। নিরীহ মানুষগুলোকে ধরে ধরে ইটের ভাটার চুল্লিতে কাবাব বানানোই ছিলো সর্বহারা বাহিনীর কাজ। একইভাবে পাহাড়ের সন্তু লারমার কথিত শান্তি বাহিনীর দিকে তাকান। নাম ‘শান্তি বাহিনী’ হলেও কত লক্ষ মানুষকে যে তারা হত্যা করেছে তারও হিসেব মেলানো যায় না। অথচ এত লক্ষ লক্ষ লোক মারার পরও তাদের নামের সাথে সন্ত্রাসী শব্দটা যোগ হয়নি।
যাই হোক- কথিত ইসলামিস্ট জঙ্গীরা যতটা না ক্ষতি করেছে, আমি বলবো সুযোগ সন্ধানীরা এ নামগুলো ব্যবহার করে তার থেকে অধিক স্বার্থ হাসিল করেছে। আপনি টুইন টাওয়ার হামলার দিকে তাকান। টুইন টাওয়ার হামলায় নিহত হয়েছে মাত্র ৩ হাজার। কিন্তু এর অজুহাতে আফগানিস্তানে হামলা করে হত্যা করা হয়েছে কয়েক লক্ষ লোককে। একই ধারাবাহিকতায় ইরাকে হামলা করে হত্যা করা হয়েছে কমপক্ষে ১০ লক্ষ লোককে। ক্ষয়ক্ষতি বা নৃশংসতার বিচারে ইরাকে বা আফগানিস্তানে হামলাকে সন্ত্রাসী হামলা বলা উচিত ছিলো, কিন্তু মিডিয়াতে ৯/১১ এ টুইন টাওয়ার হামলাকেই বড় টেরোরিস্ট হামলা বলে দেখানো হবে।
আমি গত পোস্টে দেখিয়েছে, তসলিমা নাসরিন বা সুপ্রীতি ধর গং হাসনাত করিমের শাস্তি চাইছে না, তারা হাসনাত করিমের দুই শিশুর মৃত্যু কামনা করছে। আমার মনে হয়, এই একটি বিষয়ের মধ্যে পুরো গোমরটা লুকিয়ে রয়েছে।
হাসনাত করিম যদি অপরাধী হয়, তবে তার শাস্তি হোক। কিন্তু এখানে তসলিমা নাসরিন বা সুপ্রীতি ধর গং তার শাস্তি চায়নি। চেয়েছে তাদের বাচ্চাদের মৃত্যু। ব্যাপারটা খেয়াল করুন, ইসলাম বিদ্বেষী মহল নিজেরাই যে কতটা জঙ্গীবাদী হয়েছে তাদের স্ট্যাটাসই তার প্রমাণ । তসলিমা-সুপ্রীতি শুধু এক্সট্রিমিস্টই হয় নাই উপরন্তু জাতিগত নিধনে উস্কানি দিচ্ছে, ঠিক যেই কাজটা আমেরিকা ইরাক-আফগানিস্তানে রাসায়নিক বোমা মেরে করেছে।
আমার লেখার শুরুতে প্রশ্ন ছিলো- “জঙ্গীবাদ প্রচারে কি হালাল হয় ?”
এর সহজ উত্তর হবে-
১) নির্বিচারে মুসলিম নির্যাতন ও নিধন,
২) মুসলমানদের কোনঠাসা করা, এবং
৩) প্রচারকারীর সন্ত্রাসীপনা হালাল করা।
No comments