Header Ads

ad728
  • Breaking News

    ভারতের যুদ্ধ করার সক্ষমতা কতটুকু ?

    সত্যি বলতে ভারতীয়রা কিন্তু কোন যোদ্ধা জাতি নয়। বর্তমান বিশ্বের ভারতীয়রা তিন কারণে বিখ্যাত। ১) মেনেজমেন্ট : ছ্যাছড়া্মিতে তারা সেরা। কত কম খাটিয়ে কত ছ্যাছরামি করে কত বেশি লাভ করা যায়, এই তত্ত্ব ভারতীয়দের থেকে আর বেশি কেউ জানে না। বিশ্ব অর্থমন্দার পর তাই অনেকেই এই ছ্যাছরা মেনেজমেন্ট গ্রহণ করেছে। ২) মুভি : মুভির মাধ্যমে কত শৈল্পিকভাবে ন্যাংটামো কত ধরনে প্রকাশ করা যায়, তা ভারতীয়দের থেকে আর বেশি কেউ জানে না। ৩) পতিতাবৃত্তি : ভারতীয় পুরুষরা সম্মুখযুদ্ধে যতটুকু পারঙ্গম, তার থেকে ভারতীয় নারীরা বিছানায় অধিক পারঙ্গম। এ কারণে ভারতীয়রা শত্রুর বিছানায় বউ-মেয়েকে পাঠিয়ে যুদ্ধ জয়ের কথা বেশি চিন্তা করে। মুভির মাধ্যমে পতিতা বিজ্ঞাপন পায় উচ্চ মর্যাদা। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির ঐশ্বরিয়া প্রীতি কিংবা এরশাদ কাকুর বিছানায় নায়িকা রেখার বোরকা পরে আসার কথা অনেকেরই জানা। শুধু তাই নয়, সাউথ মুভি দেখিয়ে প্রতি বছর সাউথ ইন্ডিয়ায় হাাজির করা হয় অনেক পয়সাওয়ালা শেখকে। আমি আবার বলছি, ভারতীয়রা অত সুপুরুষ নয়, যে যুদ্ধবিদ্যা দেখাতে পারবে। এটা সবারই জানা- ভারতীয়তের কনডমের সাইজ আন্তর্জাতিক মাপের থেকে কম। একইভাবে ভারতীয় পুরুষদের পুরুষত্বও কিন্তু কনডমের সাইজের মতই ছোট। যাই হোক- কথা বলছিলাম, যুদ্ধবিদ্যা নিয়া। আসলে ভারতীয়রা ফেইক কথা ছড়ায় বেশি। যেমন পাকিস্তানকে টেকেল দিতে তারা প্রায় ছড়ায় এপিজে আব্দুল কালাম নাকি পরমাণু বিজ্ঞানী ! অথচ এটা ডাহা মিথ্যা কথা। পাকিস্তানের পরমাণু বিজ্ঞানী কাদির খান তো বলেছে- “এপিজে সাধারণ বিজ্ঞানী হতে পারে, কিন্তু পরমাণু বিজ্ঞানী নয়। ভারতের পরমাণু প্রযুক্তি রাশিয়ার থেকে ধরা করা প্রযুক্তি।” ভারত মাঝে মাঝেই পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ করার কথা বলে। আসলে এটা খুবই অদ্ভূত ব্যাপার। কেননা ৬৫ সালেই ভারত টের পেয়েছে পাকিস্তান কি জিনিস। ভারতের জমানো ১৮ বছরের গোলাবারুদ পাকিস্তান শেষ করে দিয়েছিলো মাত্র ১৮ দিনে। আর ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধের কথা কি বলবো ? ভারতীয়দের টুটি চেপে ধরেছিলো তৎকালীন সেনাপ্রধান পারভেজ মোশাররফ। শুধু নওয়াজ শরীফ যদি ভারতীয়দের পেছনের চালে আমেরিকার কথা শুনে পিছু না হটতো, তবে ভারতের মানচিত্র আজ ভিন্ন রকম হতো। আবার ফিরে আসি ভারতীয়দের যুদ্ধ করার সক্ষমতার কথায়। ভারতের যুদ্ধ করার সক্ষমতা বুঝতে টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি খবর যথেষ্ট- খবর- টানা ২০ দিনও যুদ্ধ করার ক্ষমতা নেই ভারতের বিস্তারিত- ভারতীয় সেনাবাহিনী গোলাবারুদ সংকটে ভুগছে। দ্রুত ফুরিয়ে আসছে দেশটির ট্যাংক, আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিট, আর্টিলারি ইউনিট এবং পদাতিক বাহিনীর গোলাবারুদ। গোলাবারুদ ঘাটতির বিষয়টি এতটাই জরুরি যে, ভারতীয় সেনাবাহিনীকে যদি এখন কোনো যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে হয়, তাহলে টানা ২০ দিনের বেশি যুদ্ধ করতে পারবে না দেশটি। (http://bit.ly/1EkL9lp, http://bit.ly/2coXy5f) এবার আসি এনটিভির খবরে। সেখানে বলা হচ্ছে- ভারতীয় বাহিনীতে শুধু নেই আর নেই। সিয়াচেন এবং লেহর মত বরফাচ্ছন্ন এলাকায় যেসব ভারতীয় সৈন্য দায়িত্ব পালন করছে তাদের বুট জুতা নেই, নেই মশারি। এছাড়া এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারতীয় সেনাবাহিনী একটি অ্যাসল্ট রাইফেলও তৈরি করতে পারেনি যা কিনা সেনাদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় উপকরণ। সংসদের কাছে উপস্থাপিত এক প্রতিবেদন বলেছে, হিমবাহের উচু মত এলাকায় যেসব সৈন্য দায়িত্ব পালন করছেন তাদের ২ লাখ লেদার বুটের ঘাটতি রয়েছে, ক্যানভাস বুটের প্রয়োজন ১৩ লাখ, মশারি দরকার ১ লাখ এবং মুখমণ্ডল গরম জন্য দরকার ৬৫ হাজার বলাক্লাভাস বা মুখোশ। এছাড়া বহু সৈন্য বুলেট প্রুফ জ্যাকেট নেই। এরফলে তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, সেনাবাহিনীর নাইট ভিশন গোগলসের সরবরাহ সন্তোষজনক কিন্তু সেনাবাহিনী বলছে বিপরীত কথা। এ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংসদের স্থায়ী কমিটি। কমিটি বলছে, মনে হচ্ছে যে প্রতিরক্ষা পরিকল্পনায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সেনাবাহিনীকে আমলে নিচ্ছে না। গোলাবারুদের স্বল্পতার কথা উল্লেখ করে কমিটি বলেছে, ‘দীর্ঘমেয়াদে যুদ্ধে টিকে থাকা সম্ভব হবে না।’ (http://bit.ly/2d94Bf8) আসলে আপনারা যে যাই বলেন। বর্তমান পরিস্থিতে আমি কখনই বিশ্বাস করবো না, ভারতীয়রা পাকিস্তানের সাথে সম্মুখ যুদ্ধে জড়াবে। বরঞ্চ তাদের জন্য সোজা, পরিস্থিতি সামাল দিতে তাদের সমস্ত মেয়েকে পাকিস্তানীদের বিছানায় পাঠানো, তবুও সম্মুখ যুদ্ধে পাকিস্তানীদের সাথে জড়ানোর মত দুঃসাহস অন্তত ভারতের নেই। এ সম্পর্কে আমার আরো লেখাগুলো পড়তে পারেন- ১) মোদি কেন নওয়াজ শরীফের মায়ের ‘পা ছুয়ে’ সালাম করলো ? (http://bit.ly/2cmqhCN) ২) কারগিল যুদ্ধের ইতিহাস ও বিজয় উদযাপন নিয়ে কিছু কথা (http://bit.ly/2cQNv8c) ৩) পরমাণু বিজ্ঞানী আব্দুল কাদির খান ও এপিজে আব্দুল কালাম (http://bit.ly/2cV6uLA) ৪) আব্দুল কাদির খান ও এপিজে আব্দুল কালামের পার্থক্য (http://bit.ly/2cHwwEn) ৫) ভারতের সবচেয়ে বড় অস্ত্রাগারে বিষ্ফোরণ (http://bit.ly/2cmndGE)

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728