Header Ads

ad728
  • Breaking News

    বাংলাদেশে হিন্দুদের সরকারী ছুটির বহর ও মায়া কান্না

    বাংলাদেশের হিন্দুরা প্রায়ই ন্যাকা কান্না কেঁদে থাকে, দাবি করে- তাদেরকে নাকি পূজাগুলোতে ছুটি দেওয়া হয় না। এই ছুটি চাওয়ার জন্য প্রায়শঃই তারা প্রেসক্লাবে যায়, মানববন্ধন করে। চোখের জল দিয়ে সাগর বানায়, আর বলে, ‘ইস ! বছরে আমাদের ছুটি মাত্র দু’দিন’। বাংলাদেশের মুসলমানরাও হিন্দুদের এমন মায়াকান্না বিশ্বাস করে নেয়। ভাবে, “আহারে,নিশ্চয়ই বাংলাদেশের হিন্দুরা খুব নির্যাতিত, নয়ত এভাবে কান্নকাটি করছে কেন ?” কিন্তু পরিতাপের বিষয়, বাংলাদেশর মুসলমানরা সরকারের ছুটির তালিকাটি কখন খুলেও দেখেনি। যদি দেখতো, তবে বুঝতে পারতো- ছুটির জন্য হিন্দুরা যে মায়াকান্না কাদছে তার পুরোটাই ভুয়া। বাংলাদেশের হিন্দুরা অনেক বেশি ছুটি-সুবিধা পায়, যা খোদ ভারতেও তারা পায় না। আসুন বাংলাদেশের হিন্দুদের সরকারি ছুটি নিয়ে কিছু তথ্য জেনে নেই--- ১) ২০১৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকাটি দেখুন (http://goo.gl/vsYM5I), সেখানে স্পষ্ট লেখা আছে, হিন্দুদের অনুষ্ঠান উপলক্ষে ২ দিন রয়েছে পাবলিক হলিডে (সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের রয়েছে তিন দিন), অপরদিকে, হিন্দুদের ঐচ্ছিক ছুটি (চাইলেই তারা নিতে পারে) রয়েছে ৮দিন, সেখানে মুসলমানদের ঐচ্ছিক ছুটি মাত্র ৫ দিন। ২) বাংলাদেশের হিন্দুরা প্রায় দূর্গা পূজা উপলক্ষে ৩ দিন সাধারণ ছুটি চায় (যদিও নবমীতে ঐচ্ছিক এবং দশমীতে সাধারণ, মোট ২ দিন ছুটি রয়েছে), অথচ হিন্দুদের কেন্দ্রীয় রাষ্ট্র ভারতেও কিন্তু শুধু দশমীর দিন, মানে ১ দিনই হচ্ছে সাধারণ ছুটি, এর বেশি নয়। ৩) সরস্বতীর পূজার সময় বাংলাদেশের হিন্দুরা চাইলেই ছুটি নিতে পারে, কিন্তু ভারতের কিন্তু সেটা সম্ভব নয়। ভারতের ২৯টি প্রদেশের মধ্যে মাত্র ৪টি প্রদেশ (হরিয়ানা, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ, উড়িশ্যা) এই ছুটি পাওয়া যায়, বাকি ২৫টি প্রদেশের হিন্দুরা সরস্বতীর পূজা উপলক্ষে ছুটি পায় না। ৪) দোলযাত্রার সময় একই অবস্থা। বাংলাদেশের হিন্দুরা চাইলেই ঐদিন ছুটি নিতে পারে। কিন্তু ভারতের হিন্দুরা কিন্তু তা পারে না। ভারতের ২৯টি প্রদেশের মধ্যে মাত্র ৪টি প্রদেশ (আসাম, উড়িশ্যা, উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ) এর হিন্দুরা সেই ছুটি পায়, বাকিরা পায় না। ৫) হরিচাদ ঠাকুরের আবির্ভাব উপলক্ষে বাংলাদেশের হিন্দুরা চাইলেই ছুটি নিতে পারে। কিন্তু ভারতে এ অনুষ্ঠান উপলক্ষে কোন ছুটিই নেই। ৬) মহালয়া উপলক্ষে বাংলাদেশের হিন্দুরা চাইলেই ছুটি নিতে পারে। কিন্তু ভারতে ২৯ প্রদেশের মধ্যে মাত্র ৪টি প্রদেশ (কর্নাটক, উড়িশ্যা, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ) এই ছুটি পায়। বাকি হিন্দুরা এ ছুটি পায় না। ৭) নবমী উপলক্ষে বাংলাদেশের হিন্দুরা চাইলেই ছুটি নিতে পারে। কিন্তু ভারতে তা পারে না। ভারতের মাত্র ৫টি প্রদেশের (আসাম, কর্নাটক, সিকিম, তামিল নাড়ু ও পশ্চিমবঙ্গ) হিন্দুরা এ্ই ছুটি পায়, বাকিরা পায় না। ৮) লক্ষীপূজা উপলক্ষে পুরো বাংলাদেশের হিন্দুরা চাইলেই ছুটি নিতে পারে, কিন্তু ভারতে মাত্র ১টি প্রদেশে (পশ্চিমবঙ্গ) হিন্দুরা ছুটি পায়, বাকি ২৮টি প্রদেশে পায় না। ৯) শ্যামাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশের হিন্দুরা চাইলেই ছুটি নিতে পারে, কিন্তু ভারতের মাত্র দুটি প্রদেশে (উড়িশ্যা, পশ্চিমবঙ্গ) হিন্দুরা এ পূজা উপলক্ষে ছুটি পায়, বাকি ২৭টি প্রদেশে পায় না। উপরের তথ্যগুলো পড়ে এতক্ষণে আপনি নিশ্চিত হয়েছেন, বাংলাদেশে ছুটি নিয়ে হিন্দুরা যে মায়াকান্না কাদে তা পুরোটাই উদ্দেশ্যমূলক ও ভাওতাবাজি। আসলে এই মায়াকান্নার উদ্দেশ্য বাংলাদেশে আরো অধিক সুবিধা আদায় করে নেওয়া এবং এক একপর্যায়ে সুযোগ বুঝে মুসলমানদের ঘাড়ে বসে তাদের টুটি চেপে ধরা। জানি না, বাংলাদেশের মুসলমানরা এ সত্যটা আর কবে বুঝতে পারবে। প্রয়োজনীয় লিঙ্ক: ক) http://lekhaporabd.com/archives/4433 খ) http://www.holiday-times.com/holiday-list-india/ গ) http://www.officeholidays.com/countries/india/

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728