Ferdous Karim এর লিখা থেকেঃ
কাফিররা মুসলমানদের নেক ছূরতে ধোকা দেয়, আর মুসলমানরাও সেই ধোকায় পতিত হয়----
নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন স্বাস্থ্যবান গরু কুরবানী দেওয়ার জন্য। পবিত্র দ্বীন ইসলামে সামর্থ অনুযায়ী পছন্দনীয় বিষয় কুরবানীর দেওয়ার নিয়ম। যেমন হযরত হযরত আদম আলাইহিস সালামের পুত্র হাবিল এবং কাবিলকে মহান আল্লাহ তায়ালা কুরবানী দিতে বললেন। হযরত হাবীল একটি উৎকৃষ্ট পশু কুরবানীর উদ্দেশে রেখে আসলেন, আর কাবীল নিকৃষ্ট ফসল রেখে আসলো। তৎকালীন সময়ে নিময় ছিলো একটি নির্দ্দিষ্ট স্থানে কুরবানীর বস্তু রেখে আসতে হতো, মহান আল্লাহ তায়ালা যারটা কবুল করতেন, তারটা আসমান থেকে আগুন এসে জ্বালিয়ে দিতো। দেখা গেলো হযরত হাবীলের পশুটাকে জ্বালিয়ে দেওয়া হলো, কিন্তু কাবিলের নিকৃষ্ট ফসলগুলো যেমন তেমনেই পড়ে রইলো।
আজকাল মুসলমানরা কুরবানী নিয়ে প্রায় কিছু বিষয় নিয়ে অপব্যাখ্যা করে। যেমন বলে- ‘রক্ত গোশত পৌছায় না, নিয়ত পৌছায়’ তাহলে বড় গরু দিয়ে লাভ কি ? আসলে এটা অপব্যাখ্যা। কারণ অন্তরের খুলুসিয়ত হচ্ছে কুরবানীর সাথে সংশ্লিষ্ট। আপনি বড় জিনিস আল্লাহ রাস্তায় দান করলেন এটা দ্বারা তো আপনার খুলুসিয়ত-ই প্রকাশ পাচ্ছে। অনেকে বলে- “লোক দেখানোর জন্য বড় গরু দেয়া হয়।” যারা এ ধরনের দাবি করেন, তাদের উদ্দেশ্যে বলবো- সে লোক দেখানোর জন্য দিচ্ছে সেটা আপনি জানলেন কিভাবে ? আপনি কি মানুষের অন্তরের খবর জানেন ??
যারা এ ধরনের দাবি করে তারা নিতান্তই বেশি বুঝা টাইপের পাবলিক। একটা লোক যদি বড় গরু কুরবানী দেয়, তবে অনেক গরীব সেখান থেকে ফায়দা নিতে পারে, আপনি তার নেক কাজের বাধা দেওয়ার কে ?
ইসলামী শরীয়তে একটি নিয়ম আছে। কাউকে যদি মনে হয়, তার কোন নেক কাজের মধ্যে রিয়া (লোক দেখানো) পয়দা হতে পারে, তবে তার নেক কাজকে বাধা দেওয়া যাবে না, বরং বলতে হবে আপনি নিয়ত খালেস করেন।” কারণ আপনার মনে হচ্ছে সে লোক দেখানোর করছে, কিন্তু হাকিক্বতে অন্তরের খবর একমাত্র আল্লাহ তায়ালাই জানেন। আপনার বাধার কারণে যদি সে নেক কাজ থেকে সরে যায়, তবে আপনার গুনাহ হবে।
অনেকে অবশ্য বলে- ভাই একভাগা দেয়া ওয়াজিব। আপনি বেশি দেন কেন ??
যারা এ ধরনের কথা বলে- তাদের বলবো- আপনার হাটু থেকে নাভি পর্যন্ত কাপড় দেওয়া ফরজ, আপনি বাকি অংশে কাপড় জড়ান কেন ? আপনার বেচে থাকার জন্য প্র্য়োজনীয় খাওয়াটুকু ফরজ, তার থেকে অধিক খাবার খান কেন ? নিজের বেলায় যখন ফরজ নফলের হিসেব করেন না, তখন আল্লাহ’র রাস্তায় কুরবানী করার বেলায় হিসেব করেন কেন ? ঈদের দিনের সবচেয়ে পছন্দীয় আমল হচ্ছে রক্ত প্রবাহিত করা। আপনি রক্ত প্রবাহিত করতে কার্পণ্য করবেন কেন ?
আসলে কাফিররা চায় মুসলমানদের কুরবানী বন্ধ করে দিতে। কিন্তু তারা একবারে পারে না। ধিরে ধিরে এগোতে চায়।মুসলমানরা যদি বড় গরু কুরবানী দেয়, একাধিক পশু কুরবানী দেয়, তবে অধিক মানুষ উপকৃত হবে, মানুষের মাঝে উৎসব আমেজ আরো বিরাজ করবে। কিন্তু ‘রক্ত গোশত পৌছায় না, নিয়ত পৌছায়’ এই বিষয়টি নিয়ে যদি ভুল ব্যাখ্যা করে অপপ্রচার করা যায় তবে অনেক কুরবানী হ্রাস করা সম্ভব (সঠিক হবে- আপনার নিয়ত খালেস করুন, কুরবানী সংক্ষিপ্ত নয়)। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে কাফিরদের সকল অপপ্রচার থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
বি : দ্র: মোটাতাজা গরুতে বিষ আছে, এটা পুরোটাই অপপ্রচার। স্টেরয়েড দেয়া মোটাতাজা গরু স্বাস্থ্যবান গরু। যেমন জিমে গিয়ে ব্যায়াম করার সাথে সাথে স্টেরয়েডযুক্ত খাবার খেয়ে মানুষ বেশিবহুল শরীর করে। তাহলে স্টেরয়েড দেওয়া গরুকে স্বাস্থ্যবান গরু না বলে বিষযু্ক্ত বলা মিথ্যাচারিতা ছাড়া কিছু নয়।
Post Top Ad
Author Details
Templatesyard is a blogger resources site is a provider of high quality blogger template with premium looking layout and robust design. The main mission of templatesyard is to provide the best quality blogger templates.
No comments