বাংলাদেশে কোরবানী বন্ধের গভীর ষড়যন্ত্র
গত বছর এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে গরু জবাই বন্ধ করতে আহ্বান জানিয়েছিলো বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। এ দাবির পর তীব্র প্রতিবাদ হওয়ায় হিন্দু নেতৃত্বাধীন সংগঠনটি দাবি করে- তারা এ ধরনের কোন বক্তব্য পেশ করেনি, সাংবাদিক ভুল খবর ছেপেছে। কিন্তু এরপর ফাঁস করা হয় ঐ অনুষ্ঠানের ভিডিও। সেখানে দেখা যায়, সংগঠনটির শীর্ষ নেতারা স্পষ্ট বলছে- বাংলাদেশে গরু কোরবানি বন্ধ করার জন্য। (https://youtu.be/AvrEc4gUKRs)
আসলে ঐ দিনের পর অনেকে হয়ত ভেবেছেন- এটা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের একটি মৌখিক বিবৃতি মাত্র। কিন্তু না। যেহেতু ভারতের গরু কোরবানী বন্ধ করা হয়েছে, এবার বাংলাদেশেও গরু কোরবানী বন্ধ করা হিন্দুদের অন্যতম টার্গেট। ইতিমধ্যে অনেকেই ইনবক্স করেছে, এবার তাদের এলাকায় গরু কোরবানী বন্ধ করার টার্গেট নিয়েছিলো হিন্দুরা, কিন্তু মুসলমানদের দৃঢ়তায় সেখানে তারা সফল হয়নি।
এবার আমরা অনেকেই দেখেছি, ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নে সরকারীভাবে কোরবানীর অনেক বিরুদ্ধচারণ হয়েছে। হাটের সংখ্যা হ্রাস করা হয়েছে, হাটগুলোকে শহর থেকে দূরে ঠেলে দেওয়া হয়েছে, জবাইয়ের স্পট নির্দ্দিষ্ট করা হয়েছে, জবাইকারীর বয়স নির্দ্দিষ্ট করা হয়েছে, হাটগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে।
পাশাপাশি ভারতীয় হাইকমিশনের টাকা খেয়ে মিডিয়াগুলোও এক চেটিয়া কোরবানীর বিরুদ্ধচারণ করেছে। গরুতে বিষ আছে, গরুতে অ্যানথ্রাক্স জীবাণু আছে, হাটের কারণে যানজট হয়, গরুর মাংশ খেলে ক্যান্সার হয়, কোরবানীতে পরিবেশ দূষণ হয় এবং সর্বশেষ কোরবানীর রক্ত নিয়ে ধারাবাহিক মিথ্যাচার করেছে মিডিয়াগুলো।
আমি আপনাদের কাছে আহ্বান করবো, আপনাদের কাছে যদি এমন কোন তথ্য থাকে, কিংবা আপনাদের এলাকায় যদি কোনভাবে কোরবানিতে বাধা দেওয়া হয়, তবে সেই তথ্য ইনবক্সে আমাকে জানান, সে তথ্য পেইজে অবশ্যই প্রকাশ করা হবে।
মনে রাখবেন, ষড়যন্ত্রকারীরা গোপনে গোপনে অনেক দূর এগিয়ে গেছে, কিন্তু মুসলমানরা ঘুমিয়ে আছে। এখনই যদি তথ্যগুলো শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে না দেওয়া হয়, তবে ভবিষ্যতে মুসলমানদের জন্য খুব কঠিন সময় অপেক্ষা করছে।
No comments