Header Ads

ad728
  • Breaking News

    কোরবানীকে সামনে রেখে চ্যানেল আই ও সমগোত্রীয়দের অপপ্রচার

    চ্যানেল আই ও বাংলাদেশী হিন্দুগোষ্ঠী কিভাবে গরু কোরবানীর বিরুদ্ধে লেগেছে- তার জন্য এই একটি খবরই যথেষ্ট। পুরোটা খবরই মিথ্যায় ভরা। দেখা যাচ্ছে, সারা বছর খবর না থাকলেও, ঠিক কোরবানীর আগ মুহুর্তে `গরুর মাংশে বিষ আছে‘ এই ধরনের মিথ্যা প্রচারণা শুরু হয়। (http://goo.gl/O2twuj) `গরুকে বিষাক্ত ঔষধ দিয়ে মোটাতাজা করা হয় এবং সেই মাংশে বিষ আছে‘ এই কথাগুলো যে ডাহা মিথ্যা তা আপনি নিজেই যাচাই করে দেখতে পারেন। এগুলো ফিল্ড পর্যায়ে যাচাই করলে আপনি যে তথ্যগুলো পাবেন- ১) যদি বিষাক্ত ইঞ্জেকশন পুশ করা হয় তবে গরুরই তো মারা যাওয়ার কথা। শরীরে বিষ নিয়ে গরুগুলোকে হাটে তোলা হয় কিভাবে ? ২) এই সব হরমোন ইঞ্জেকশন পুশ করা হয়, তবে ৩-৪ মাস আগে। পুশ করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ৯০% ঔষধ মল-মুত্র দিয়ে বের হয়ে যায়। ৩-৪ মাস পর ঐ গরুর মাংশে কতটুকু হরমোন থাকে এবং সেটা মানুষের আদৌ ক্ষতি করতে পারে কি না, এমন কোন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ কেউ প্রকাশ করতে পারেনি। (http://goo.gl/Z6Gfx0,) ৩) খামারীরা এই সব ঔষধ মাত্রারিক্ত পুশ করে না, কারণ তা করা হলে গরু মারা যায়। ফলে তার ব্যবসা নষ্ট হয়। কেউ নিশ্চয় তার ব্যবসা ইচ্ছে করে নষ্ট করতে চায় না। ৪) `৫-৭ দিন আগে ইঞ্জেকশন পুশ করে মোটা করা হয়েছে‘ কিংবা বিষ প্রয়োগ করে হাজার টাকার গরু লাখ টাকায়‘ এটা অবাস্তব কথা ছাড়া কিছু নয়। এত তাড়াতাড়ি গরু মোট হয় না। আর শেষ সময় পুশ করার কারণই নেই, কারণ এসব হরমোন পুশ করলে গরু দুর্বল হয়ে যেতে পারে, আর দুর্বল গরু হাটে তোলা কঠিন। ৫) ৭৭ কেজি গরুর মাংশে যে পরিমাণ স্টেরয়েড থাকে, তার সমপরিমাণ থাকে একটি ডিমে। যারা স্টেরয়েডকে বিষ বলে দাবি করছে, তারা যেন আগে ডিম খাওয়া নিষিদ্ধ করে। ( http://goo.gl/3dx2mf) ৬) গরু মোটা তাজাকরণ প্রকল্প সরকারীভাবে যুব উন্নয়ন প্রকল্পের অংশ হিসেবে ট্রেনিং দেওয়া হয়। এটা যদি খারাপ কাজ হয়, তবে সরকারীভাবে শেখানো হলো কেন ?? ৭) গরু কিভাবে মোটাতাজা করা হয়, তা দেখার জন্য আপনাকে একটি খামারে যাওয়া প্রয়োজন। খামারে গেলে আপনি দেখতে পারবেন- এই সব গরুকে কত উন্নতমানের ও প্রচুর খাদ্য খাওয়ানো হচ্ছে। গরুকে সব সময় পরিচ্ছন্ন রাখা হচ্ছে, গরুর পেছনে প্রচুর পরিশ্রম করছেন একজন খামারী। এমনকি অনেক খামারে গরুর মাথার উপর ফ্যান সেট করা হচ্ছে, রাতের বেলায় মশারী টাঙ্গিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বলতে গেলে প্রত্যেকটা মোটা তাজা গরুকে সন্তানের মত লালন পালন করে থাকে খামারীরা, নয়ত গরুর এত সুন্দর স্বাস্থ্য হওয়া কখনই সম্ভব নয়। একজন খামারী ৩-৫ বছর বহু কষ্ট করে, সন্তানের মত লালন পালন করে, লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে একটি গরুকে মোটাতাজা করে কোরবানীর হাটে গরুটি তুলবে বলে। অথচ কোরবানীর ঠিক আগ মুহুর্তে মিথ্যা অপপ্রচার করে একজন খারামীর এত কষ্ট নষ্ট উদ্দত হয় মিডিয়া। এ ধরনের মিডিয়াকে ভালো বলা যায় কিভাবে ? দেখা যাবে ভারতীয় হাইকমিশনের সামান্য কটা টাকার লোভে সে হাজার হাজার খারামীকে পথে বসিয়ে দেয়ার এজেন্ডা নিয়েছে, যেন কোরবানী ঈদে বাংলাদেশের মুসলমানরা গরু কোরবানী না করতে পারে, ভারতের মত বাংলাদেশেও গরু কোরবানী বন্ধ হয়ে যায়। আসুন দেশ ও জাতির শত্রু এই বিশ্বাসঘাতক মিডিয়াগুলোকে বর্জন করি।

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728