কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে গরুতে স্টেরয়েড নামক বিষ নিয়ে অপপ্রচার
কোরবানী ঈদ এলেই প্রচারণা শুরু হয়- গরুতে নাকি স্টেরয়েড নামক বিষ আছে। কিন্তু আমরা প্রতিদিন যে স্টেরয়েড খাচ্ছি তার হিসেব কিন্তু মিডিয়াতে দেওয়া হয় না। আসুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘আইওয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি’র একটি গবেষণা দেখি, আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কতটুকু স্টেরয়েড গ্রহণ করছি এবং মোটাতাজা গরুর মাংশে কতটুকু স্টেরয়েড আছে।
গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, প্রতি ৮ আউন্স (২২৬.৭ গ্রাম) খাবারে স্টেরয়েড থাকে-
১) মোটাতাজা নয় এমন গরুর মাংশে- ২ ন্যানো গ্রাম
২) মোটাতাজা গরুর মাংশে- ৩ ন্যানো গ্রাম
৩) দুধে- ১৫ ন্যানো গ্রাম
৪) মাখনে - ১৪১ ন্যানো গ্রাম
৫) ডিমে - ২৫২ ন্যানো গ্রাম
৬) পিনাটস (চীনা বাদাম) - ৪৫ হাজার ৩৬০ ন্যানো গ্রাম
৭) সাদা রুটি- ১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৮০ ন্যানো গ্রাম
৮) পিন্টোবিনস (শিম)- ৪ লক্ষ ৮ হাজার ২৪০ ন্যানো গ্রাম
৯) টফু (সয়াবিন থেকে তৈরী)- ৫ কোটি ১৪ লক্ষ ৮৩ হাজার ৬০০ ন্যানো গ্রাম
১০) আটা (সয়াবিন থেকে তৈরী) ৩৪ কোটি ২৪ লক্ষ ৬৮ হাজার ন্যানো গ্রাম
ধরে নিলাম, একটা মানুষ কোরবানীর মাংশ সর্বোচ্চ ১০ কেজি খেতে পারে । এই ১০ কেজি মাংশে সর্বোচ্চ ১০০ ন্যানো গ্রাম স্টেরয়েড থাকতে পারে। অথচ দুটো ডিমেই (প্রত্যেকটির ওজন ৫০ গ্রাম হলে) খেলেই সমপরিমাণ স্টেরয়েড মানুষের শরীরে প্রবেশ করে।
দেখা যাচ্ছে, আমরা প্রতিদিন যে খাবার গ্রহণ করি তাতে প্রাকৃতিকভাবে প্রচুর স্টেরয়েড থাকে, যা মোটাতাজা গরুর মাংশের থেকে অনেক অনেক বেশি। অথচ সেটা মিডিয়া প্রকাশ করে না, ঐ সব খাদ্য খেতেও নিষেধ করে না। অথচ শুধু কোরবানী ঈদ এলেই গরুতে স্টেরয়েড বিষ আছে বলে প্রচার করতে থাকে, যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক ও গরুবিরোধী ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ।
‘আইওয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি’র গবেষণা লিঙ্ক- http://www.iowabeefcenter.org/information/IBC48.pdf
No comments