পূজা হবে মন্দিরে, রাস্তায়-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেন ?
গত বছর থেকে বাংলাদেশ সরকার কোরবানির স্পট নির্ধারণ করেছে, বলেছে- নির্ধারিত স্পটে পশু কোরবানি দিতে হবে। এ বছর হাটের সংখ্যাও ছিলো কম, সরকারের দাবি ছিলো- হাট নাকি যানজট সৃষ্টি করে, তাই হাটগুলোকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে মেট্রোপলিটনের বাইরে।
এই নীতি বাস্তবায়ন করতে সরকার অনেক চেষ্টা করেছে। কিন্তু আসছে দূর্গা পূজায় সরকারের এ ধরনের কোন নীতি আছে কি ? কারণ এ বছর হিন্দুরা সারাদেশে রাস্তাঘাট-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে ৩০ হাজার স্পটে মণ্ডপ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে (http://bit.ly/2dmHTn2)। স্বাভাবিকভাবে বর্তমানে দেশের অস্থিতিশীল পরিবেশে ৩০ হাজার মণ্ডপে পূজা, ঢাক-ঢোল-বাজনা, যানজটের মাঝে রাস্তা আটকে মূর্তি দর্শণ, সাউন্ড বক্সে গান বাজিয়ে নাচা, সব মিলিয়ে পরিবেশটা কতটুকু যুক্তিসঙ্গত হবে ?
স্বাভাবিক সরকার যেখানে ৯৫% মুসলমানকে কোরবানীর স্পট ফিক্সড করে দিয়েছে, সেখানে ২-৩% হিন্দুকে কি পূজার স্পটগুলো ফিক্সড করা যেতো না ? তাছাড়া যেখানে পর্যপ্ত মন্দির আছে, সেখানে রাস্তা আটকে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দখল করে মন্ডপ না বানালেই কি নয় ? পূজা হবে মন্দিরে, মন্দিরের বাইরে কেন ??
কিছুদিন আগে শুনেছিলাম, সরকারের কেউ কেউ বলেছিলো মক্কা শহরের আদলে বাংলাদেশে গরু কোরবানী নির্ধারিত যায়গায় করা হোক। আমি বলি কি, মক্কা শহরে তো মূর্তি পূজাও নিষিদ্ধ, তাহলে একই নিয়ম মেনে কি বাংলাদেশেও পূজা বন্ধ করতে হবে ? জ্ঞানীরা উত্তর দিবেন আশাকরি।
No comments