মুসল্লিদের সাথে ইসকনীদের সংঘর্ষ
আইনের ভাষায় বলে- যে অপরাধ করে, আর যে অপরাধ করতে প্ররোচিত করে উভয়ই অপরাধী। গতকালকে সিলেটে ইসকন মন্দিরে গান বাজনার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে সহিংসতা হয়েছে তাতে ইসকন মন্দিরের আহামরি কোন ক্ষতি হয়নি, বরং অনেক মুসলমান মারাত্মক আহত হয়েছে, অনেককে অযথাই গ্রেফতার করে কষ্ট দিযেছে পুলিশ। অথচ এই বিশৃঙ্খলতার সূচনার জন্য পুরোপুরি দায়ী ইসকন। তারা যদি ঐ সময় জুমার নামাজের সময় মাইক বন্ধ রাখতো তবে এত বড় একটি সহিংসতার ঘটনা ঘটতো না। বলাবাহুল্য শুধু সিলেট নয়, সারা বাংলাদেশ জুড়েই ইসকনের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ। তারা যে নামাজের সময় এবং মসজিদের পাশে গান বাজনা বাজায় এটা একটা প্রকাশ্য সত্য।
পুরো ঘটনায় উস্কানির জন্য ইসকন দায়ী এবং তাদের উদ্দেশ্য যে সাম্প্রদায়িক সংঘাত বাড়িয়ে তোলা তা তাদের সিসিটিভি ফুটেজ ছড়ানোর কৌশল দেখলে বোঝা যায়। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে মুসলমানরা অথচ ইসকন সিলেটের অধ্যক্ষ নবদ্বীপ দ্বীজ গৌরাঙ্গ ব্রহ্মচারী বলেছে- সে থানায় মামলা করতে গিয়েছিলো। থানায় যদি মামলা না নেয় তবে সে আদালতে গিয়ে মামলা করবে। (http://goo.gl/wIBqUZ)
অর্থাৎ গান বাজনা বাজিয়ে বিশৃৃঙ্খলতার সূচনা করেই ইসকন ক্ষান্ত হয়নি,
এতগুলো মুসলমানকে মারাত্মক আহত করেও তারা ক্ষান্ত হয়নি,
৭০ উপরের মুসলমানকে গ্রেফতার করে কষ্ট দিয়েও তারা ক্ষান্ত হয়নি,
এখন তাদেরকে মামলা দিয়ে জেলে দিতে প্রশাসনকে চাপ দিচ্ছে।
আসলে, অতি সাম্প্রদায়িক, ইহুদী নিয়ন্ত্রিত, উগ্রবাদী সংগঠন ইসকন বাংলাদেশে থাকার কতটুকু যোগ্যতা রাখে তা বিবেচনা করার দরকার আছে। নয়ত পশ্চিমা নিয়ন্ত্রিত এ সংগঠনটি দেশে দ্রুত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে দেবে, এটা নিশ্চিত।
No comments