মুসল্লি-ইসকন সংঘর্ষ: ২০০০ মুসলমানকে আসামি করে মামলা
সিলেটে নামাজের সময় ইসকনের গান বাজনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় উল্টো মামলা করেছে ইসকন । আসামী করেছে ২০০০ মুসলমানকে। মামলা দায়ের করেছে ইসকন নেতা শ্রীপাদ নবদ্বীপ গৌরাঙ্গ । স্বাভাবিকভাবে এখন সিলেটের ঘরে ঘরে ঢুকে মুসলমানদের গ্রেফতার করবে পুলিশ।
উল্লেখ্য এই শ্রীপাদ নবদ্বীপ গৌরাঙ্গ-ই কিন্তু রাগীব আলী ইস্যুতে পঙ্কজের পেছনে কলকাঠি নেড়েছে এবং তারাপুর থেকে ৩০ হাজার মুসলমানকে অবৈধভাবে উচ্ছেদ করছে। ইসকন চাইছে তারাপুর তাদের হোক। শুধু তাই নয়, কাজলশাহ এলাকাতেও তারা ৫ বিঘা’র মত একটি জমি চাইছে। সেখানে মুসলমানদের উচ্ছেদ করতে এখন প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে তারা।
ইসকন যেভাবে সিলেটে আগ্রাসী ভূমিকা রাখতে তাকে সিলেটকে মুসলিমশূণ্য করাই তাদের টার্গেট। সিলেটে শাহজালাল যুগের পতন ঘটিয়ে ফের গৌরগোবিন্দের শাসন চালু করতে চায় তারা।
মুসলমানরা তাহলে কি করবে এখন ???
মুসলমানদের মূল সমস্যা তারা নাকে তেল দিয়ে ঘুমায়। তারা ভাবে তাদের এসব বিষয়ে মাথা না ঘামালেও চলবে। মাঝখান দিয়ে গৌরগোবিন্দের অনুসারী ইস্কন অনেকটাই প্রভাব বিস্তার করে ফেলেছে। মুসলমানরা ঘুমিয়ে আছে, কিন্তু গৌরগোবিন্দের অনুসারীরা ঘুমিয়ে নেই। তারাই উস্কানি দিয়েছে, তারাই মুসলমানদের মারা দিয়েছে, আহত করেছে, এরপর আবার ২০০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এমনকি ঢাকায় এসে সংবাদ সম্মেলন পর্যন্ত করেছে। অথচ মুসলমানরা নিশ্চুপ, তাদের কোন প্রতিক্রিয়া নেই।
এই মূহুর্তে মুসলমানদের করণীয়-
১) যারা আহত হয়েছে সরাকারি হাসপাতাল থেকে তাদের ডাক্তারি সার্টিফিকেট উত্তোলন করা।
২) ডাক্তারি সার্টিফিকেট নিয়ে ইসকনের বিরুদ্ধে মামলা করা। থানায় মামলা না নিলে কোর্টে গিয়ে মামলা করা।
৩) কমপক্ষে ১০০০ ইসকন ও তাদের ভক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করা।
৪) সিলেটে সংবাদ সম্মেলন করা, জনগণকে পুরো ঘটনা জানানো।
৫) ঢাকায় এসে সংবাদ সম্মেলন করা। হিন্দু সন্ত্রাসীদের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করা।
৬) মসজিদগুলোতে জনগণকে জানানো- হিন্দুরা সিলেটে মুসলমানদের উপর নিপীড়ন শুরু করেছে, ফের গৌরগোবিন্দের শাসন চালু করতে চাইছে।
৭) আগামী শুক্রবার মসজিদে নামাজের পর মিছিল বের করা। দাবি দাওয়া- পুলিশের হামলা, মুসল্লীদের উপর আক্রমণ, ইসকনীদের জঙ্গীপনা এবং মসজিদের সামনে গানবাজনা করে অস্থিতিশীল সহিংস পরিবেশ সৃষ্টির জন্য তাদের নিষিদ্ধ করার দাবিতে।
৮) নিজ জমি বাচাতে তারাপুরের ৩০ হাজার অধিবাসীকেও বের হয়ে আসা উচিত।
৯) সিলেটের ইসলামী দল ও সংগঠনগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে।
মনে রাখবেন- হিন্দুরা কিন্তু এক হয়ে গেছে মুসলমান তাড়াতে। এখন মুসলমানরা যদি এক না হয়, চুপ করে ঘরে ঘুমিয়ে থাকে থাকে তবে কিন্তু নিস্তার নাই। সিলেটবাসী সিদ্ধান্ত নিক- সিলেটে কার শাসন চলবে- শাহজালালের নাকি গৌরগোবিন্দের।
(সিলেটের সমস্ত গ্রুপগুলোতে লেখাটা ছড়িয়ে দিন)
No comments