প্রচীন মিশরের রাজা ফারাওদের জীবনী ও বাংলাদেশের জনগণের খুশি
প্রচীন মিশরের রাজা ফারাওদের জীবনী নিয়েলেখা উইলবার স্মিথের ‘রিভার গড’উপন্যাসের একটা ঘটনা মনে পড়লো।
ঘটনাটা অনেকটা এরকম-----
মিশরের রাজা বৃদ্ধ ফারাও ছিলো অক্ষমপুরুষ। সে বিয়ে করেছিলো মন্ত্রীর কিশোরী কন্যা লসট্রিসকে। ফারাও এর এক যুবক সেনাপতি ছিলো
নাম- ‘ট্যানাস’। সেনপতি ট্যানাসের সাথে রাণী লসট্রিসের ছিলো অবৈধ প্রণয়। ঘটনাক্রমে ঐ অবৈধ সম্পর্কের জেরে ‘মামনোন’ নামক এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। যেহেতু ফারাও জীবিত ছিলো, তাই ‘মামনোন’ ফারাওয়ের সন্তান বলে চালিয়ে দেওয়া গেলো। কিন্তু কিছুদিন পর যখন ফারাও মারা
গেলো, এরপরও লসট্রিস ও ট্যানাসের অবৈধ প্রণয়ের ফলস্বরূপ আরো পর পর দুটি সন্তান জন্ম নিলো। কিন্তু এখন কি হবে ? কে হবে ঐ অবৈধ সন্তান দুটির পিতা ??
তখন বিষয়টি আড়াল করার জন্য রাজপ্রাসাদের চতুর ভৃত্য (নাম-টাইটা) এক বুদ্ধি আটলো। সে রটিয়ে দিলো, ফারাও এর প্রেআত্মা এসে রানীর সাথে
সম্পর্ক করার কারণে নতুন সন্তানের জন্ম হয়েছে। এ কথা শুনে ফারাওকে দেবতা মনে করা জনগন তা বিনা বাক্য ব্যয়ে মেনে নিলো এবং নতুন সন্তান
পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হলো। উপরের উপন্যাসের তিন চরিত্র- ট্যানাস, লসট্রিস আর ফারাওয়ের প্রেতাত্মার সাথে যথাক্রমে গর্ভমেন্ট, কথিত মুক্তমনা আর আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের টুইটের মিল খুজে পাচ্ছি।
কিন্তু এরপরও বলতে হয়, যেভাবেই সন্তান হোক, বাংলাদেশের জনগণ মিশরের জনগনের মত খুশি হয়েছে এবং তারা আরো সন্তান চায়............
(লেখাটা গত ২০১৫ সালের)
No comments