Header Ads

ad728
  • Breaking News

    একজন নীতিবান বাংলাদেশী হিন্দুর কাহিনী : যিনি হজ্জের টাকা মেরে ভারতের সম্পদের পাহাড় গড়েছেন

    নাম তার সৌমেন্দ লাল চন্দ শৈলেন। বাবা ছিলেন চা-সিগারেটের দোকানি। তিনি থাকতেন বাংলাদেশে, কিন্তু তার ভাইবোনরা থাকতো ভারতে। ভাইবোনরা ভারতে বিভিন্ন দোকানের নিম্নকর্মচারি হিসেবে কাজ করতো। হঠাৎ আওয়ামী রাজনীতি জোরে শৈলেন হয়ে গেলো ধর্ম প্রতিমন্ত্রী (সাবেক) শাহাজাহান মিয়ার এপিএস। ব্যস তাকে আর পায় কে ? মসজিদ বানাতে ঘুষ দিতে হয় শৈলেনকে, হজ্জে যেতে হলে ঘুষ দিতে হয় শৈলেন কে। শুধু ৪০৩টি হজ্ব এজেন্সির লাইসেন্স দেয়া নামে হাতিয়ে নেয় ৫০ কোটি টাকা। হজের সময় মেডিকেল সাপ্লাই, বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসার দান-অনুদান এবং মন্ত্রণালয়ের ঠিকাদারি খাতে নির্দিষ্ট অংকের পার্সেন্টিজ দিতে হতো শৈলেনকে। জানা যায়, ব্যক্তিগত জীবনে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন না ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শাহজাহান মিয়া। আর এই সুযোগে সবার থেকে ঘুষ চেয়ে বসতো শৈলেন। তাকে এড়িয়ে প্রতিমন্ত্রীর কাছে পৌঁছাটাও ছিল কঠিন। শৈলেন এপিএস নিয়োগ হওয়ার পরই পাল্টে যায় ভারতে থাকা তার ভাইবোনদের জীবন যাত্রা। শৈলেনের ভাই রবিন চন্দ কোলকাতার ৪ নং সন্তোষ রাইবাজার রোডে একটি বাড়ির মালিক হয়ে।আরেক ভাই সচীন চন্দ ভারতের চব্বিশ পরগনার ১৫৪, হাঁসপুকুর, গ্রীণ পাকজোকায় বাড়ির মালিক। বোন নমিতার নামেও রয়েছে কোলকাতার ২৩/১, রামগোপাল পাল রোড, মিত্রপাড়ায় একটি বাড়ি। এছাড়া তাদের প্রত্যেকের আলাদা বড় বড় ব্যবসা । ভগ্নিপতি কিষেন মিত্র নামে অঢেল সম্পদ রয়েছে।অন্যদিকে শৈলেনের নামে পটুয়াখালীতে পাঁচতলা একটি বাড়িসহ রাজধানীতে একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, শৈলেনের থেকে বেশি অর্থ আছে তার স্ত্রী শান্তা চন্দের নামে। দুদকের তরফ থেকে শৈলেনের নামে মামলা হয়েছে সোয়া কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে, কিন্তু এখন পরবর্তীতে খবর মিলেছে কয়েক বছরে মুসলমানদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কয়েকশ’ কোটি টাকা মেরেছে শৈলেন। মুসলমানদের টাকা মেরে শৈলেনের সম্পদের পাহাড়- ১) ঢাকায় বেইলি রোড এবং গোপীবাগে দুটি আলিশান ফ্ল্যাট। ২) পটুয়াখালী-মির্জাগঞ্জ সড়কের দু’পাশে অনেকগুলো ছোট ছোট প্লট। ৩) বিলাশবহুল পাজেরো গাড়ির মালিক। ৪) দেশের তুলনায় ভারতে শৈলেনের বেশি সম্পদ রয়েছে। ভাইবোনদের মাধ্যমে অনেক বড় ব্যবসা গড়েছে ভারতে, রয়েছে অনেকগুলো বহুতল ভবন। ৭) পটুয়াখালীর আমদানিমুখী একটি মেশিনারিজ ব্যবসাসহ আরও অনেক ক্ষেত্রে টাকা খাটানোর অভিয়োগ রয়েছে তার সম্পর্কে। পটুয়াখালীর নানা সূত্র জানায়, কম করে হলেও এখন এক থেকে দেড়শ’ কোটি টাকার সম্পদের মালিক এই শৈলেন। অনেকেই হয়ত ভাবেন, বাংলাদেশের হিন্দুরা খুব নীতিবান, তারা দুর্নীতি করে না। কিন্তু বাস্তব হচ্ছে আওয়ামী ক্ষমতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে একচেটিয়ে লুটপাট করে যাচ্ছে হিন্দুরা। প্রত্যেকটা সেক্টরে দুর্নীতির সকল রেকর্ড ছড়িয়েছে তারা। আর সেই টাকা লুটেপুটে জমাচ্ছে ভারতে। এপিএস শৈলেন, সিলেটের ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল এর কিছু উদহারণ। আমি জানি এ ধরনের ঘটনা আপনাদের আরো জানা রয়েছে। দয়া করে ইনবক্সে জানান, ধারাবাহিকভাবে সব প্রকাশ করা হবে। তথ্যসূত্র- ক) http://www.jugantor.com/old/last-page/2014/06/16/111670 খ) http://www.timenewsbd.com/news/detail/40290

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728