ভারতের সেনাঘাটিতে স্বাধীনতাকামীদের হামলা এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীভা
শুনলাম বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের সেনাঘাটিতে স্বাধীনতাকামীদের হামলাকে জঙ্গী হামলা দাবি করে ভারতের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
(http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article1215713.bdnews)
আসলে কাশ্মীরের ইস্যুটা এমন একটা ন্যাংটা ইস্যু যেখানে ভারতের পক্ষে কথা বলা মানে নিজে ন্যাংটা হয়ে যাওয়া। কারণ ভারত অতি অন্যায্যভাবে ৬৯ বছর ধরে কাশ্মীরকে দখল করে রেখেছে। এই দখলের জন্য তারা লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে, ঘরে ঘরে ঢুকে মেয়েদের সম্ভ্রমহরণ করেছে, সমস্ত সিভিল হিন্দুদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছে, ভারতের অধিকাংশ সেনা ঐ অঞ্চলে সমাবেশ ঘটিয়েছে। এরপরও যদি কেউ ভারতের পক্ষ নিয়ে কাশ্মীর ইস্যুতে কথা বলে, তবে তা ফিলিস্তিন-ইসরাইল ইস্যুতে ইসরাইলের পক্ষ নেয়ার থেকে কম কিছু হবে না।
আরেকটা কথা,কাশ্মীরের ইস্যুর সাথে পাকিস্তানকে যোগ করে কোন চেতনাবৃদ্ধির কারণও এখানে গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ কাশ্মীর পাকিস্তানের অংশ হোক এটা অনেক কাশ্মীরীই চায় না, বরং চায় কাশ্মীর স্বাধীন হোক, ভারতেরও নয়, পাকিস্তানেরও নয়। ৬৯ বছরের পরাধীনতার খাচায় বন্দি কাশ্মীরীরা মুক্তি লাভ করুক।
আমি বলবো, বাংলাদেশ সরকার কাশ্মীরের ইস্যুতে ভারতের পক্ষে সাফাই গেয়ে রাজনৈতিকভাবে বড় ধরনের ভুল করেছে এবং আওয়ামীলীগ যে শূণ্য হয়ে নীতিগতভাবে ভারতীয় গেরুয়াবাদীদের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে তাই প্রমাণ করেছে। শেইম আওয়ামী সরকার! শেইম !
No comments