শাহজালালের অনুসারীরা ঘুমিয়ে থাকলেও গৌরগোবিন্দের অনুসারীরা ঘুমিয়ে নেই
স্পেন মুসলমানরা ক্ষমতায় বসেছিলো ৭১১ খ্রিস্টাব্দে। ক্ষমতায় হারিয়ে স্পেনের খ্রিস্টানরা কিন্তু বসে থাকেনি। তারা একের পর এক চেষ্টা করে গিয়েছিলো স্পেনের ক্ষমতা পুনরুদ্ধারে। এভাবে করে একপুরুষ-দুই পুরুষ নয়, ৭৮১ বছরে কমপক্ষে ২৫-৩০ পুরুষ ধরে তারা চেষ্টা অব্যাহত রাখে এবং অবশেষ সফল হয়। ১৪৯২ খ্রিস্টাব্দে স্পেনের ক্ষমতা ফিরে পায় খ্রিস্টানরা। খ্রিস্টানরা অবশ্যই প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য, কারণ তারা তাদের একগুয়েমি টিকিয়ে রেখেছিলো এবং মুসলিমদের মধ্যে বিলীন হয়ে যায়নি। তারা তাদের সংস্কৃতি ও ধর্ম ধারণ করতো, মুসলিম বিরোধী চেতনা অব্যাহত রাখে। যার কারণে ৭৮১ বছর পর তারা ক্ষমতা ফিরে পেতে সক্ষম হয়।
হিন্দুদের অবস্থাও কিন্তু একই রকম। এ অঞ্চলে হিন্দুরা দীর্ঘকাল মুসলিম ও ব্রিটিশদের দ্বারা শাসিত হয়েছে। সুলতানি আমল (১১৮৬ থেকে ১৫২৫ খ্রিস্টাব্দ), মুঘল আমল (১৫২৬ থেকে ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দ), ব্রিটিশ আমল (১৭৫৭-১৯৪৭) এই তিন আমল হিসেব করলে প্রায় ৭৬১ বছর মুসলিম ও খ্রিস্টান দ্বারা শাসিত হয়েছে হিন্দুরা। এত লম্বা সময় শাসিত থেকেও নিজস্ব ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ধর্মকে বিলীন করে দেয়নি তারা, গ্রহণ করেনি তারা মুসলিম কালচার, বরং নিজেদের মধ্যে সব সময় মুসলিম বিদ্বেষ টিকিয়ে রেখেছ। ‘মুসলমানরা শত্রু’ এই থিউরী সন্তানদের শিখিয়ে গিয়েছে। তাদের অব্যাহত চেষ্টায় পুনরায় ক্ষমতা ফিরে পেয়েছে তারা। প্রায় ২৫-৩০ পুরুষ চেষ্টা করে বর্তমান সময়ে হিন্দুরা আবার কিছুটা ক্ষমতা ফিরে পেতে সক্ষম হয়েছে।
আমরা ছোটবেলায় ঈশপের গল্প পড়েছিলাম। এরমধ্যে একটি গল্প ছিলো খরগোস আর কচ্ছপের। খরগোস অনেক দ্রুত দৌড়াতে পারে দেখে মাঝপথে ঘুমিয়ে নেয়। কিন্তু কচ্ছপ তার গতি ঠিক রাখে, দেখা যায় ঠিকই সে তার গন্তবে পৌছে গেছে, আর খোরগোস হেরে গেছে।
বর্তমানে মুসলমানদের অবস্থা হয়েছে খরগোসের মত। সে ভাবছে- সবই তো আমার, প্রতিপক্ষ তো দূর্বল। সে আর কি করতে পারে। কিন্তু স্পেন যেভাবে ৭৮১ বছর পর হারাতে হয়ছিলো, ভারত যেভাবে ৭৬১ বছর পর হারাতে হয়েছিলো ঠিক একইভাবে ৭০০ বছর পর সিলেট যে শ্রীহট্টে রুপ নিবে না সেটা কিন্তু কেউ বলতে পারে না। কারণ শাহজালালের অনুসারীরা ঘুমিয়ে থাকলেও গৌর গোবিন্দের অনুসারীরা কিন্তু থেমে নেই। তাদের অন্তরে দাউ দাউ করে প্রতিশোধের স্পৃহা জ্বলছে। ২০-২৫ পুরুষ পর তারা যে পুনরায় ক্ষমতা নিতে পারবে না এটা কিন্তু কেই বলতে পারে না। ইতিমধ্যে তারাপুরে ৩০ হাজার মুসলিম পরিবারকে উচ্ছেদ করে মন্দির বানানো, চা শ্রমিকদের মধ্যে ইসকন কার্যক্রম বৃদ্ধি, কাজলশাহ মসজিদের পাশে ১০ বিঘা সম্পত্তি ইসকন কর্তৃক করায়ত্ত্ব, বিচারবিভাগে প্রচুর সিলেটি হিন্দু নিয়োগ, ২০০০ হাজার মুসলমানদের বিরুদ্ধ মামলা এমনই আভাস দিচ্ছে।
তাই বলছিলাম, শাহজালালের অনুসারীরা ঘুমিয়ে থাকলেও গৌরগোবিন্দের অনুসারীরা কিন্তু ঘুমিয়ে নেই। সাবধান।
ছবি : এক বাংলাদেশী হিন্দুর কমেন্ট।
No comments