৪র্থ শ্রেণীর শিশুর চিঠি নিয়ে কেন এত নাটকীয়তা !!
আজকে খবরে দেখি, পটুয়াখালীর ৪র্থ শ্রেণীর শিশুর চিঠির উত্তর দিয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। এটা নিয়ে বেশ নাটকীয়তা করছে মিডিয়া। অনেককেই দেখলাম শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছে। সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলছে- প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুসারে সেতু তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছি। ((http://bit.ly/2d0CZO8, http://bit.ly/2dmkLqc, http://bit.ly/2deaUAR)
কিন্তু নতুন করে কেন এত নাটকীয়তা, তা আমার বুঝে আসছে না। কারণ এই ব্রীজের জন্য সকল ঋণচুক্তি অনেক আগেই সম্পন্ন হয়ে গেছে । এমনকি কোন কোম্পানি এই কাজ করবে তার সাথে চুক্তি পর্যণ্ত হয়ে গেছে। এমনকি অনেকস্থানে কাজ শুরুও খবর পাওয়া গেছে। কিন্তু হঠাৎ করে কেন এক শিশুর চিঠি নিয়ে আসা হলো ? আবার তার উত্তরও আসলো, সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেয়া হলো। কিন্তু এত নাটকীয়তার মানেটা কি ???
উল্লেখ্য, গত মে মাসে কুয়েতের সাথে লেবুখালীতে পায়রা নদীর উপর সেতু নির্মাণে ঋণ চুক্তি সম্পন্ন হয়। এ সেতু নির্মাণে কুয়েত ৫ কোটি ডলার ঋণ নিশ্চিত করে। (http://bit.ly/2dwwlxR)
আরো উল্লেখ্য তারও এক মাস আগে এপ্রিলে সেতুটি নির্মাণ করতে এক চীনা কোম্পানির (লংজেইন রোড অ্যান্ড ব্রিজ কোম্পানি লিমিটেড ) সাথে চুক্তি করে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান। (http://bit.ly/2debnDj)
তারমানে কুয়েত টাকা দিচ্ছে আর চীনা কোম্পানি তার কাজ শুরু করেছে। কিন্তু হঠাৎ কেন পুরাতন বিষয় নিয়ে নতুন নাটক ? শেখ হাসিনা চিঠির জবাব দিয়েছে, এটা কেন এত হাইলাইট করা হচ্ছে ?? অন্যকোন বিষয় এর দ্বারা লুকানো হচ্ছে না তো ? এ চিঠির মাধ্যমে কাউকে খুশির চেষ্টা চলছে না তো ??
আমরা জানি, সুন্দরবনের পাশে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে উদ্বেগ প্রকাশ করে চিঠি দিয়েছে ইউনেস্কো। ইউনেস্কোর উক্ত চিঠির জবাব সরকার কিভাবে দেয় সেটাই ছিলো আলোচনার বিষয়। কিন্তু এখন সেই চিঠির জবাবটা গৌন করার জন্য কোথাকার কোন বাচ্চার চিঠিকে হাইলাইট করা হচ্ছে, পুরাতন কাসুন্দী নতুন করে ঘাটা হচ্ছে। পুরো বিষয়টি অপ্রয়োজনীয়, ইউনেস্কোর চিঠির জবাবকে গৌণ করার কৌশল।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুব বুদ্ধিমান। তিনি এক ঢিলে একাধিক পাখি মারতে চান। আমরা জানি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় হিন্দুদেরকে খুশি রাখতে চান। তাই এত নাম থাকতে তিনি বেছে নিয়েছেন শীর্ষেন্দু নামের এক বালককে। যারা ফল অবশ্য আমরা দেখতে পাইছি, হিন্দু পেইজগুলোতে শেখ হাসিনার প্রশংসার বহর বয়ে যাচ্ছে।
সরকারপ্রধানরা মনে রাখবেন,
শাক দিয়ে যেমন মাছ ঢাকা যায় না, ঠিক তেমনি শীর্ষেন্দুর চিঠি দিয়ে ইউনেস্কোর চিঠি ঢাকা যাবে না। সুন্দরবনে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ বন্ধ করুন, জনগণের কথা চিন্তা করুন, বিদেশী প্রভুদের স্বার্থরক্ষা বাদ দিন। মনে রাখবেন জনগণের জন্য কিছু করলে জনগণ আপনাদের পাশে থাকবে, কিন্তু বিদেশী প্রভুদের হয়ে কাজ করলে, তাদের স্বার্থ শেষ হওয়ার সাথে সাথে আপনাদের ছুড়ে ফেল দেবে। ঠিক যেভাবে মীর জাফরকে ছুড়ে ফেলা হয়েছিলো, ঠিক একইভাবে। এর ব্যতিক্রম কিন্তু হবে না।
No comments