চট্টগ্রামে হিন্দু সন্ত্রাসী কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধাদের জবাই করার হুমকি
প্রসঙ্গ - চট্টগ্রামে হিন্দু সন্ত্রাসী কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধাদের জবাই করার হুমকি : বাংলাদেশ কি আরেকটি মু্ক্তিযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ?
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হওয়ার যতগুলো কারণ ছিলো, তার মধ্যে অন্যতম কারণ ছিলো বাঙালীদের উপর সংখ্যালঘু বিহারীদের অত্যাচার। দেশভাগের পর পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকার বিহারিদের বাংলাদেশে (পূর্ব পাকিস্তানে) পূর্নবাসন করেছিলো এবং সরকারি বড় বড় পদগুলো তাদের দিয়ে দিয়েছিলো। এই সুযোগে সংখ্যালঘু বিহারিরা সংখ্যাগুরু বাঙালীদের কাধে চেপে নিপীড়ন চালাতো। বাঙালীরা নিজ দেশে হয়েছিলো তৃতীয় শ্রেনীর নাগরিক, আর সংখ্যালঘু বিহারীরা হয়েছিলো প্রথম শ্রেনীর নাগরিক।
বর্তমানে বাংলাদেশেও কিন্তু একই ট্রেন্ড শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে চাকুরী-বাকুরীসহ সর্বত্র সংখ্যালঘু হিন্দুদেরকে একচেটিয়া কর্তৃত্ব দিয়ে দেয়া হচ্ছে, তাদেরকে বানানো হচ্ছে প্রথম শ্রেনীর নাগরিক। হিন্দুর বিরুদ্ধে যেই যা করবে, তাকে কঠোর শাস্তি পেতে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে বসে তারা দেশের সম্পদ লুটপাট করছে এবং ভারত পাচার করছে। সম্প্রতি খবর এসেছে হিন্দু এমপি পঙ্কজ দেবনাথ বরিশালে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ ও পাঠাগারের জমি দখল করতে উঠে পড়ে লেগেছে এবং বাধা দেয়ায় পাঠাগারের সভাপতি এক মুসলিম ব্যক্তিকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। (http://bit.ly/2dlQ6o6)। এছাড়া যশোরে মুসলিম ইউপি চেয়ারম্যানকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে হিন্দু এমপি রণজিৎ কুমার রায়। খবরের সূত্র- http://bit.ly/2cWJU8x ।
এত খবরের মধ্যে সবচেয়ে বড় খবর হচ্ছে চট্টগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রকাশ্যে জবাই করার হুমকি দিয়েছে হিন্দু সন্ত্রাসীরা। তারা মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কুরুক্ষেত্র (হিন্দুদের জিহাদ) করার ঘোষণা দেয় এবং তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়ার শ্লোগান দেয়। ইতিমধ্যে খবর পাওয়া গেছে- হিন্দু সন্ত্রাসীরা মুক্তিযোদ্ধাদের একটি অফিস আগুন দিয়ে জ্বালিয়েও দিয়েছে।( http://bit.ly/2cF9dLG) উল্লেখ্য কিছুদিন আগে এক মুক্তিযোদ্ধাকে ঘুষি মেরে হত্যা করে এক হিন্দু ওসি (http://bit.ly/2dkHxhx)।
এই যদি হয় ভয়ঙ্কর অবস্থা, তবে আমি বলবো- ৭১ সালের মত আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট তৈরী হচ্ছে। ঐ সময় বিহারীদের অত্যাচারে বাঙালীরা অস্ত্র হাতে নিয়েছিলো, বর্তমানে হিন্দুরা যেভাবে অত্যাচার নিপীড়ন চালাচ্ছে তাতে এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধেও আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ করার সময় এসেছে।
ওয়ামী সরকার বিভিন্ন মানুষকে যুদ্ধাপরাধী বলে ফাসি দিচ্ছে। বলা হচ্ছে তারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছে। কিন্তু এই যে হিন্দুরা মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধচারণ করলো, মুক্তিযোদ্ধাদের জবাই করার শ্লোগান দিলো, এতে করে কি হিন্দু সন্ত্রাসীদের ফাসি দেয়ার প্রয়োজন পড়ছে না ? সরকার যদি মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যার হুমকি দেয়া এই সকল হিন্দুদের ফাসি না দেয়, তবে বুঝতে হবে সরকার রাজাকারের বিচার নামে যা করেছে দলীয় স্বার্থে, ব্যক্তি বিদ্বেষ চরিতার্থ করতে করেছে। বুঝতে হবে আওয়ামী সরকার আসলে নিজেই পাকিস্তান সরকারের পরিণত হয়েছে, যারা দেশকে হিন্দু রাজাকারদের হাতে বিক্রি করে বাংলাদেশকে আবার করেছে পরাধীন।
সে বাংলাদেশীরা প্রস্তুত হও, প্রস্তুত হও। আরেকটা মুক্তিযুদ্ধের সময় এসেছে।
No comments