Header Ads

ad728
  • Breaking News

    হিন্দু-মুসলিম এক হয়ে সমস্যার সমাধান করতে হবে : এই তত্ত্ব কতটুকু সত্য ?

    হিন্দু-মুসলিম এক হয়ে সমস্যার সমাধান করতে হবে, এই তত্ত্ব প্রয়োগ করে ব্রিটিশ আমলে অনেক আন্দোলন হয়েছিলো। কিন্তু বঙ্গভঙ্গ রদের পর এ অঞ্চলের মুসলমানরা টের পেলো, হিন্দু-মুসলিম এক হয়ে অধিকার আদায়, শুধুই একটা ধোকা। মুসলমানদের দিয়ে দল ভারি করে শুধুমাত্র হিন্দুদের স্বার্থ আদায় করা হতো। স্বার্থ শেষ হয়ে গেলে হিন্দুদের সাম্প্রদায়িকতার মুখোশ খুলে যেতো, তারা মুসলমানদের ছুড়ে ফেলতো। দুইজনে মিলে কাজ করেছি এটা ঠিক, কিন্তু দুধের সরটা চাই হিন্দুদের। হিন্দুদের বিরোধীতার কারণে বঙ্গভঙ্গ রদের পর যখন কথিত অসাম্প্রদায়িক হিন্দুদের মুখোশ খুলে গেলো, তখন মুসলমানরা চিন্তা করলো- না হিন্দুদের সাথে থাকলে হবে না, মুসলমানদের জন্য আলাদাভাবে চিন্তা করতে হবে। সেই ধারণা থেকেই মুসলিম নেতারা কথিত অসাম্প্রদায়িকতার ধ্বজ্জাধারী কংগ্রেস ত্যাগ করে এবং মুসলমানদের জন্য পৃথক দল মুসলিম লীগ তৈরী করে। মাওলানা ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, আকরম খাঁ, আবুল কাশেম, তমিজউদ্দিন খানরা তখন হিন্দু-মুসলিম একসাথে নয় বরং শুধু মুসলমানদের নিয়েই চিন্তা করতেন। ১৯৪০ সালে শেরে বাংলা একে ফজলুল হক যে লাহোর প্রস্তাব গঠন করেন, সেখানে ভারতবর্ষ ভাঙ্গার পর মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলো নিয়ে পৃথক রাষ্ট্রগঠন করার কথা বলা হয়। এই বিষয়টি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও বলতেন। বঙ্গবন্ধু বলতেন- অধিকার আদায়ের জন্য মুসলমানদের পৃথক ভূমির প্রয়োজন। ঐ সময় কিন্তু অনেক মুসলমান বলেছিলো- না মুসলমানদের জন্য পৃথক ভূমি নয়, আমরা হিন্দু মুসলিম এক সাথে থাকতে চাই। হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই। যারা ঐ সময় হিন্দু-মুসলিম ভাই ভাই বলেছিলো, তারাই কিন্তু এখন ভারতীয় মুসলমান। তাদেরকেই প্রতিদিন গরু মাংশ খাওয়ার মিথ্যা অজুহাতে হত্যা করা হয়, তাদেরই পেট কেটে ভ্রুন বের করে আগুনে নিক্ষেপ করা হয়। ঐ মুসলমানগুলো এখন ভারতের তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক। এ মুসলমানগুলো এখন শিক্ষা-চাকুরী সর্বক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে। তাদের দোষ- তারা বলেছিলো- আমরা হিন্দু-মুসলিম এক হয়ে সব সমস্যার সমাধান করবো। আজকে পিনাকী যা শেখাচ্ছে, সেসময় একই তত্ত্ব শিখিয়েছিলো গান্ধী। মুসলমানদের সমর্থনে নেতা হয়ে ঐ গান্ধী পরে গো-রক্ষা আন্দোলনে যোগ দেয়। “হিন্দু-মুসলিম এক হয়ে উগ্রবাদীদের দমন করতে হবে”- এই তত্ত্ব কিন্তু এখন পশ্চিমবঙ্গে শেখানো হচ্ছে। কিন্তু লাভ কার ? মুসলমানের ?? কখনই নয়। লাভ রাজনীতিওয়ালাদের। লাভ কথিত অসাম্প্রদায়িকতার বেশধারী হিন্দু সমাজের। যদি মুসলমানদের উপকারই হতো তবে কেন ২১% জনসংখ্যা হওয়ার পরও পশ্চিমবঙ্গে মুসলমানদের চাকুরীর হার ২.১% ? কেন মুসলমানদের শিক্ষাক্ষেত্রে পিছিয়ে রাখা হচ্ছে ? কেন হাজার হাজার মুসলিম অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে এখন স্কুল স্থাপন করা হচ্ছে না?(পশ্চিমবঙ্গে মুসলমানদের করুণ অবস্থা সম্পর্কে জানতে- http://bit.ly/2dbWIrI, http://bit.ly/2dnOd9W) এই প্রশ্নের জবাব নেই। জবাব আসলে একটাই, ভোট ব্যাঙ্ক। পশ্চিমবঙ্গে কথিত অসাম্প্রদায়িক হিন্দুরা ভোট পাওয়ার লোভে উপর দিয়ে মুসলমানদের আদর-সোহাগ করে। কিন্তু সুযোগ পেলে মুসলিম গণহত্যাকেও সাপোর্ট করে । ২০০২ সালে গুজরাট গণহত্যার সময় মোদিকে পশ্চিমবঙ্গের অসাম্প্রদায়িক হিন্দুরাই সমর্থন জানিয়েছিলো। বর্তমানে বাংলাদেশের অনলাইনে একই যুক্তি প্রয়োগ করে যাচ্ছে পিনাকী। সেও মুসলমানদের সাথে নিয়ে স্বার্থ রক্ষা করে, মার্কিনপন্থীদের দমন করে। কিন্তু যখন প্রয়োজন ফুরিয়ে যাবে তখন পিনাকীদেরও মুখোশ খুলে যাবে এটা নিশ্চিত। এখনও মাঝে মাঝেই পিনাকী মুখোশ খুলে ফেলে-http://bit.ly/2dcPm5N, http://bit.ly/2dG78ke। আমি বলবো-মুসলমানদের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত। এক গর্তে বার বার পরা কোন বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারে না।

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728