এক ভণ্ড নারীবাদীর সাম্প্রদায়িক মুখোশ উন্মোচন
মুখে বলে নারীবাদ, কিন্তু ভেতরে ভেতরে দুর্গন্ধময় সাম্প্রদায়িক, ছাড়তে পারেনি খোড়া হিন্দুত্ববাদ। এতদিন বলেছে নারীদের জন্য কাজ করবো, যারা নারীদের বিরুদ্ধে থাকে তাদের বিরুদ্ধে কাজ করবো। কিন্তু এখন বলছে- “না আমি হিন্দুত্ববাদী, আমি মুসলমানদের বিরুদ্ধে কাজ করবো।” এদের নারীবাদের মুখোশ খুলে গেছে, এদের নারীবাদের আড়ালে কাজ করছে উগ্র সাম্প্রদায়িক বিজেপির রাজনৈতিক এজেন্ডা।
হ্যা আমি সু্প্রীতি দি’র কথা বলছি। তিনি তার উইম্যান চ্যাপ্টারে মুসলমানদের কাটা শিশ্ন সম্বোধন করে (উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা মুসলমানদের এই নামেই সম্বোধন করে) বলেছে-
“...ব্যক্তি আমি ধর্মীয় আচারে বিশ্বাসী নই, তাই বলে ঠুনকো অনুভূতির দোহাই দিয়ে একের পর এক আঘাত দিয়ে যাবে কেউ, আর আমরা তা সহ্য করবো, তাতো হবার নয়। আমাদেরও কিন্তু অনুভূতি আছে, যখন সেই অনুভূতি আঘাত পাবে, বা আমরা জানাবো আঘাতের কথা, তখন বড্ড বেশি দেরি হয়ে যাবে তোমাদের সংখ্যাগুরুদের।
একটু খেয়াল করলেই দেখতে পাবেন আঘাতের ধরণটা। মেয়েশিশু, আড়াই বছর, কী পাঁচ বছর, বা ২৫ বছর, কী ৩০ বছর, কোনো নারী, মেয়ে কেউ নিরাপদ নয় এদেশে। ওরা আমাদের যোনিকে আঘাতের বস্তু বানিয়ে নিয়েছে। তার মানে ওদের টার্গেট নারী, আর ধর্ম। রক্ত মাংসের নারী এবং মাটির প্রতিমাকেও ওদের বড় ভয়। কাটা শিশ্নওয়ালাদের এতো জোর কোথা থেকে আসে? যদি রাষ্ট্র তাদের পিছনে না থাকে!
.... আমি একদিকে নারী হিসেবে যেমন সংখ্যালঘু, তেমনি আদর্শগত দিক দিয়েও সংখ্যালঘু। তাই আজ এই আমি চ্যালেঞ্জ করলাম সব ধর্মীয় সংখ্যাগুরুদের, শিশ্ন-অন্ত সংখ্যাগুরুদের, যে শক্তির বলে তোমরা আজ হামলা চালাচ্ছো, দাপট দেখাচ্ছো, বাড়িঘর-দেশ থেকে উচ্ছেদ করছো, আমি আমার লেখা দিয়েই তোমাদের মোকাবিলা করবো। বলে রাখলাম।” (http://bit.ly/2epw0ft)
“...ব্যক্তি আমি ধর্মীয় আচারে বিশ্বাসী নই, তাই বলে ঠুনকো অনুভূতির দোহাই দিয়ে একের পর এক আঘাত দিয়ে যাবে কেউ, আর আমরা তা সহ্য করবো, তাতো হবার নয়। আমাদেরও কিন্তু অনুভূতি আছে, যখন সেই অনুভূতি আঘাত পাবে, বা আমরা জানাবো আঘাতের কথা, তখন বড্ড বেশি দেরি হয়ে যাবে তোমাদের সংখ্যাগুরুদের।
একটু খেয়াল করলেই দেখতে পাবেন আঘাতের ধরণটা। মেয়েশিশু, আড়াই বছর, কী পাঁচ বছর, বা ২৫ বছর, কী ৩০ বছর, কোনো নারী, মেয়ে কেউ নিরাপদ নয় এদেশে। ওরা আমাদের যোনিকে আঘাতের বস্তু বানিয়ে নিয়েছে। তার মানে ওদের টার্গেট নারী, আর ধর্ম। রক্ত মাংসের নারী এবং মাটির প্রতিমাকেও ওদের বড় ভয়। কাটা শিশ্নওয়ালাদের এতো জোর কোথা থেকে আসে? যদি রাষ্ট্র তাদের পিছনে না থাকে!
.... আমি একদিকে নারী হিসেবে যেমন সংখ্যালঘু, তেমনি আদর্শগত দিক দিয়েও সংখ্যালঘু। তাই আজ এই আমি চ্যালেঞ্জ করলাম সব ধর্মীয় সংখ্যাগুরুদের, শিশ্ন-অন্ত সংখ্যাগুরুদের, যে শক্তির বলে তোমরা আজ হামলা চালাচ্ছো, দাপট দেখাচ্ছো, বাড়িঘর-দেশ থেকে উচ্ছেদ করছো, আমি আমার লেখা দিয়েই তোমাদের মোকাবিলা করবো। বলে রাখলাম।” (http://bit.ly/2epw0ft)
আমার জানা মতে সাইফুল নামে যে পুরুষ ৪ বছরের একটা মেয়েকে নির্যাতন করেছে, সেটা নিয়ে বাংলাদেশের শতভাগ মুসলমানই প্রতিবাদ জানিয়েছে। এমন কোন মুসলমান পাওয়া যাবে না যে সাইফুলের পক্ষে বলেছে। অপরদিকে গত ১ মাসে বাংলাদেশে কমপক্ষে এক ডজন ইনসিডেন্ট আছে যেখানে হিন্দু পুরুষ কর্তৃক মুসলিম নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে, কিন্তু এটা নিয়ে কোন হিন্দু ধর্মাবলম্বী কোন প্রতিবাদ জানিয়েছে বলে আমার চোখে পড়েনি। এমনকি যারা উইম্যান চ্যাপ্টার খুলেছে নারীবাদ প্রকাশের জন্য তারাও কৌশলে ঐ খবরগুলো এড়িয়ে গেছে।
কিন্তু তারপরও দেখা যাচ্ছে, পূজা নামক ঐ নারী নির্যাতনের দায় মুসলমানদের ঘাড়েই চাপানোর চেষ্টা চলছে। আমার অভিজ্ঞতা বলছে, বাংলাদেশের যদি কখন সাম্প্রদায়িক সংঘাত হয় তবে সেখানে বড়জোর ভাংচুরের ঘটনা ঘটে, কিন্তু কোন হিন্দু নারীকে সাম্প্রদায়িক কারণে ধর্ষণ করা হয়েছে এমন কোন দলিল হি্ন্দুরা কখন দেখাতে পারবে না। অপরদিকে ভারতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা মানেই মুসলিম নারী ধর্ষণ, মুসলমান নারীদের উলঙ্গ করে হত্যা এটা খুবই কমন ঘটনা। গুজরাট দাঙ্গার সময় হিন্দুনারীরা নিজেদের চুড়ি খুলে হিন্দু পুরুষদের দিকে ছুড়ি দিয়েছিলো, কেন তারা মুসলিম নারীদের ধর্ষণ করতে পারছে না। উল্লেখ্য, কয়েকবছর আগে ভিকারুনিননিসা নূন স্কুলে এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ধরা পরেছিলো পরিমল। সে সময় খবরে প্রকাশ পায় পরিমল ছাড়াও ৩-৪ হিন্দু শিক্ষক স্কুলের পাশেই ফ্ল্যাট ভাড়া করে দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রীদের এনে ব্ল্যাকমেইল করে ধর্ষণের ঘটনা ঘটাতো। এরপরও কিন্তু ঐ ধর্ষক গ্যাংকে সাম্প্রদায়িক ট্যাগ দেওয়া হয়নি।
গতকালকেই বাংলাদেশের ঢাকা প্রেসক্লাবে একটি সমাবেশের আয়োজন করে হিন্দু-খ্রিস্টান-বৌদ্ধ-উপজাতি পরিষদ নামক একটি উগ্রহিন্দুত্ববাদী সংগঠন। সংগঠনটি প্রেসক্লাবে পুলিশের সামনে প্রকাশ্যেই শ্লোগান তুলে- “কুরুক্ষেত্রের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার”। চিন্তা করে দেখুন, মুসলমানরা যদি বলতো- “জিহাদের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার”, তবে কি মুসলমানদের সাম্প্রদায়িক ট্যাগ দেয়া হতো না ?? কিন্তু হিন্দুদের উগ্র সাম্প্রদায়িক মনোভাব বার বার প্রকাশিত হচ্ছে।
কিছুদিন্ আগে সুপ্রীতি দি পূর্ণিমা শীলের ঘটনা নিয়ে হাজির হয়েছিলো। আমি তথন তাতে হাতেনাতে দলিল দিয়েছিলাম পূর্ণিমা নিজের মুখেই শিকার করেছে টাকার বিনিময়ে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে, এলাকাবাসী বলছে ধর্ষণের কোন ঘটনা ঘটেনি। ((https://youtu.be/tt7DZrZIVmU)) অথচ সে ঘটনায় ১১ জন মুসলমান যাবজ্জীবন জেল খাটছে।
আবার কিছুদিন আগে “মোল্লারহাটে সংখ্যালঘু গৃহবধূকে ১৫ দিন ধরে ধর্ষণ” কিংবা “স্বামীকে বাঁচাতে ধর্ষকের তলোয়ারের কোপে সংখ্যালঘু গৃহবধুর পা কর্তন'। ইত্যাদি টাইপের খবরে নিয়ে মুসলিম বিরোধী প্রচারণা চললো। কিন্তু পরে ডয়েচে ভেলে খবর প্রকাশ করলো ধর্ষণের কোন ঘটনাই ঘটেনি। (http://bit.ly/2elYPbz)
তারমানে দাড়ালো কি ?? হিন্দুরা মুসলমানদের ফাসাতে নিজের মেয়েকেও ধর্ষিত হিসেবে দেখাতে কার্পনো করে না। এখন এসব মিথ্যা ইস্যু নিয়ে যদি সুপ্রীতি সাম্প্রদায়িক আক্রমণ করতে চায়, তবে বিষয়টা কেমন দাড়ায়, বলুন ???
সুপ্রীতি দি, তুমি তো ‘কাটা শিশ্ন’দের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছো, খুব ভালো কথা। তোমার চ্যালেঞ্জ এ্যাপরুভ হবে, যদি তুমি আমার একটা কথার উত্তর দিতে পারো ?? আমার প্রশ্ন হচ্ছে- তোমার ধর্মের নারীরা কেন মুসলিম পুরুষকে বিয়ে করার পাগল থাকে, এমনকি নিজ ধর্মও পরিবর্তন করে? মুসলমান ধর্ম বা মুসলিম পুরুষদের কাছে এমন কি নারী অধিকার আছে যেটার অভাব হিন্দু নারীরা সব সময় অনুভব করে। তাই বাধ্য হয়ে নিজ ধর্মই পরিবর্তণ করে ফেলে।
সুপ্রীতি দি, আগে নিজ ধর্মে নারীর অধিকার দাও, পারলে মুসলমানদের সমান করো, এরপর না হয় মুসলমানদের ছিদ্র খুজতে এসো। অন্যের দিকে না তাকিয়ে আগে নিজের পশ্চাতের ময়লা পরিষ্কার করো। ভালো থেকো।
No comments