ভুয়া সংখ্যালঘু নির্যাতনের খবর প্রচার করে আর কত দিন ??

মোল্লারহাটের ঘটনা নিয়ে গত কয়েকদিন ইমরান এইচ সরকার, আরিফ জেবতিক আর অঞ্জন রায়রা কম সুযোগ খুজেনি। এরা প্রচার করেছে-
“সংখ্যালঘু গৃহবধূকে ১৫ দিন ধরে ধর্ষণ” কিংবা
কেউ প্রচার করেছে- স্বামীকে বাঁচাতে ধর্ষকের তলোয়ারের কোপে সংখ্যালঘু গৃহবধুর পা কর্তন'। ইত্যাদি টাইপের খবর।

আরিফ জেবতিক তো ওপারের দাদাদের সন্তুষ্ট করতে স্ট্যাটাসও লিখেছে- “সুন্দরবনের বাঘ নয়, বাংলাদেশে বিলুপ্তপ্রায় 'প্রাণীটির' নাম হিন্দু”।
(http://bit.ly/2ei2urF)

মজার বিষয় হচ্ছে, আজকে তাদের সমগোত্রীয় ডয়েচে ভেলে দলীল প্রমাণ সহকারে প্রকাশ করেছে, ঘটনা যা প্রচার করা হচ্ছে, আসলে বিষয়টি সেরকম নয়। সরেজমিনে তদন্ত করে জানিয়েছে ধর্ষণের কোন ঘটনাই ঘটেনি। এমনকি ঐ সংখ্যালঘু নারী ও তার স্বামী পর্যন্ত জানিয়েছে ধর্ষণের কোন ঘটনা ঘটেনি। কয়েকটি পত্রিকার খবরে বলা হয়েছিলো, মোল্লারহাট উপজেলা মটর শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক মনির মুন্সি ওই রাতে এক নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান৷ কিন্তু মনির মুন্সি ডয়চে ভেলেকে জানান,‘‘আমি ঘটনার রাতে ওই বাড়িতে যাইনি৷ যাই পরের দিন৷ আর ধর্ষণ বা ১৫ দিন ধরে আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি৷ ” (http://bit.ly/2elYPbz)

যদি এমন ঘটনা নাই ঘটে, তবে কয়েকটি পত্রিকা, ইমরান এইচ সরকার, আরিফ জেবতিক ও একুশে টিভির অঞ্জন রায় এ ভুয়া খবর প্রচার করলো কেন ?? কি তাদের উদ্দেশ্য, কি তাদের স্বার্থ ?? শুধু শুধু ভুয়া খবর দিয়ে তারা কেন মুসলমানদের ফাঁসাতে চাইছে ??

দেখা যাচ্ছে হিন্দু ও তাদের সাথে সংশ্লিষ্ট স্বার্থন্বেষী মহল প্রায় এ ধরনের ভুয়া ধর্ষণের খবর প্রচার করে মুসলমানদের ফাঁসিয়ে দেয়। সবার মনে থাকার কথা, পূর্ণিমা ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগে এখনও ১১ জন মুসলমান যাবজ্জীবন জেল খাটছে। অথচ পূর্ণিমা নিজ মুখেই স্বীকার করেছে সে টাকার জন্য এমনটা করেছে।
(https://youtu.be/tt7DZrZIVmU)

মোল্লারাহাটের ঘটনা নিয়ে যখন মিডিয়া তুমুল লাফালাফি করছে, তখন একই সাথে আরো তিনটি খবর মিডিয়াতে ঘোরাঘুরি করছে,

১) মুসলিম কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের পর ভিডিও করে ব্ল্যাকমেইল করে হিন্দু শিক্ষক গ্রেফতার। (http://bit.ly/2e1UeeU)
২) দিনাজপুরে পূজার ডিউটি দিতে এসে দুই নারী আনসারকে ধর্ষণ করলো এক হিন্দু আনসার (http://bit.ly/2euBwMk)
৩) নারী পুলিশকে ধর্ষণ করলো এক হিন্দু এসআই
(http://bit.ly/2eli7gn)

অথচ এ খরবগুলো দেখেও না দেখার ভান করছে সবাই।

আসলে এখন আওয়ামী হিন্দু লীগের ছত্রছায়ায় মুসলমানদের উপর ব্যাপক নির্যাতন চালাচ্ছে হিন্দুরা। কিন্তু সেই ঘটনা ধামাচাপা দিতে এবং মুসলমানদের আরো চাপে ফেলতে প্রচার করা হচ্ছে হিন্দু নির্যাতনের ভুয়া খবর। মুসলমানদের উচিত এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করা এবং যারা এ ধরনের ভুয়া খবর ছড়াচ্ছে তাদের বিচার দাবি করা। সাম্প্রদায়িক সংঘাত কারা সৃষ্টি করছে তা সবার জানা উচিত।