এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ইসলাম অবমাননা
মুসলমানদের কাবা ঘরের ছবির উপর শিবের ছবি স্থাপন করে স্ট্যাটাস দিয়েছে রসরাজ দাস নামক নমশুদ্র হিন্দুত্ববাদী। এ ঘটনায় স্থানীয় মুসলমানরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে এবং প্রতিবাদ দলে দলে রাস্তায় নেমে আসে আছে। এক পর্যায়ে তারা রসরাজ দাসকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। আজ রবিবার সকাল ১০টা থেকে নাসিরনগরে এই ঘটনার প্রতিবাদে ও হিন্দুত্ববাদী রসরাজ দাসের ফাঁসির দাবিতে মিছিল বের হবে।
উল্লেখ্য সাম্প্রতিক সময়ে হিন্দুত্ববাদীদের দ্বারা ইসলাম অবমাননার ঘটনা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে গত কয়েকদিনের মধ্যে চট্টগ্রামের চন্দনাইশে স্বপন কুমার নামে এক হিন্দু শিক্ষক ‘আল্লাহ’ লেখা কাগজকে ছিড়ে পা দিয়ে মারায়। এছাড়া মৌলভীবাজারে মিল্টন দাস নামক এক হিন্দু মুসলমানদের শেষ নবীকে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি করে। দেখা যাচ্ছে, হিন্দুত্ববাদী কর্তৃক ইসলাম অবমাননার ঘটনা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। জনগণের চাপে হয়ত সাময়িকভাবে তাদের আটক করছে, কিন্তু পরে আবার ছেড়ে দিচ্ছে। অথচ সারা বাংলাদেশের মূর্তি ভাঙ্গার মিথ্যা মামলা বহু মুসলমানকে ফাসানো হচ্ছে, কারাদণ্ড দেয়া হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে মূর্তি ভাঙ্গার মামলায় একজনের সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। কিন্তু কিছুদিন আগে সিলেট নগরীর চালিবন্দরস্থ ভৈরব মন্দিরের ভাংচুরের ঘটনায় খলিলুর রহমান নামক এক ব্যক্তিকে ৫ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়।
আসলে মুসলমানরা কোন প্রতিবাদ না করায় বিরোধীপক্ষরা সুযোগ পেয়ে গেছে এবং মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে বার বার আঘাত করলেও সরকার তা পাত্তাই দিচ্ছে না। এ অবস্থায় আমার মনে হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনায় বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মুসলমানদের প্রতিবাদ করা উচিত, একযোগে বিক্ষোভ করা উচিত, একযোগে রাস্তায় নেমে দোষী ব্যক্তির ফাসির দাবি জানানো উচিত।
সবার এক দাবি হতে হবে- রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের দেশে ইসলাম অবমাননাকারী ফাসি দিতে হতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করলে যদি আইনমতে ১৪ বছরের জেল হয়, তবে বঙ্গবন্ধুর ধর্ম ইসলাম বা বঙ্গবন্ধুরও যে নবী, তাকে অবমাননা করলে অবশ্যই তার থেকে বেশি শাস্তি তথা ফাসির আদেশ দিতে হবে। এটাই সকল মুসলমানের প্রাণের দাবি।
No comments