Header Ads

ad728
  • Breaking News

    নাসিরনগরের হামলা নিয়ে মুসলমানদের ধর্মীয় আধোব্যাখ্যা, পুরোটা কি ?


    নাসিরনগরের হামলা নিয়ে অনেক মুসলমান বিভিন্ন হাদীসগ্রন্থ থেকে দলিল দিয়ে বলছে- মুসলমানদের শেষ নবী অমুসলিমদের উপর হামলা করতে নিষেধ করেছেন, এবং বলেছেন- কেউ তা করলে তিনি তার বিরুদ্ধে আল্লাহ’র কাছে বিচার দেবেন।
    মেনে নিচ্ছি এতটুকু, কিন্তু আমি পুরো ব্যাখ্যা জানতে চাই। আমি বিষয়টি নিয়ে অনেকক্ষণ ঘাটাঘাটি করলাম, ঘেটে যা পেলাম তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করবো, ভুল হলে আপনারা ধরিয়ে দেবেন।
    উপরের হাদীসে যে কথা বলা হয়েছে- সেটা ঐ সকল অমুসলিমের জন্য যারা ব্যক্তি বা সম্প্রদায় কোন পর্যায়েই মুসলমান বা ইসলামের বিরুদ্ধে কোনরূপ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত নেই। কিন্তু যদি কোন হিন্দু বা অমুসলিম, মুসলমান বা ইসলামের বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তবে কিন্তু তার শাস্তির কথা ইসলামেই বলা হয়েছে।
    আমার মনে হয়, এই ব্যাখ্যাটার জন্য সবচেয়ে ভালো হলো মদীনা সনদের দিকে তাকানো। কারণ সেখানে মুসলিম ও অমুসলিম মিলে একত্রে বসবাসের নিয়মনীতি সম্পূর্ণ রূপে ব্যাখ্যা রয়েছে। মুসলমানদের শেষ নবী যখন মদীনায় গেলেন তখন ইহুদীদের সাথে একটি চূক্তি হলো যা মদীনা সনদ নামে পরিচিত। যেখানে স্পষ্ট বলা ছিলো- ইহুদী ও মুসলিম একত্রে থাকবে, কিন্তু কেউ কারো বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হতে পারবে না। যদি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় তবে শাস্তি পেতে হবে।
    কিন্তু কিছুদিন পর দেখা গেলো ইহুদীরা গোপনে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। ইহুদীরা চূক্তি ভঙ্গ করায় নিয়ম অনুযায়ী কয়েকশ’ ইহুদীকে হত্যা করা হয় এবং বাকিদের মদীনা থেকে বহিষ্কার করে সিরিয়া পাঠিয়ে দেয়া হয়। এ দ্বারা বোঝা যায়, যদি কোন অমুসলিম গোষ্ঠী যদি ষড়যন্ত্র করে তবে তাদের ক্ষেত্রে নমনীয় থাকা যাবে না।
    তবে একটি প্রশ্ন থেকেই যায়, সেটা হলো যারা দোষী তারাই শুধু শাস্তি পাবে, নাকি পুরো সম্প্রদায় পাবে। এর সহজ উত্তর কিন্তু মদীনা সনদে পাওয়া যায়। দোষীদের তো মৃত্যুদণ্ড হচ্ছেই, বাকিরা যেহেতু দোষীদের সমর্থন যোগাচ্ছে, আড়াল থেকে পয়সা পাতি দিয়ে সহায়তা দিচ্ছে তাই পুরো গোত্রকেও কিছুটা দায়ভার বহন করত হবে এবং এবং ঐ এলাকা থেকে বহিষ্কার করতে হবে। এর জন্য দেখবেন, মুসলমানদের শেষ নবী কিন্তু বলেছেন- “তোমরা মূর্তিপূজকদের আরব থেকে বের করে দিও।” এই আইনটি মুসলমানদের দ্বিতীয় খলিফার সময়ে কার্যকর হয়, মূর্তি পূজককের আরব থেকে বের করে দেয়া হয়।
    আপনি যদি নাসিরনগরের রসুরাজের ধর্ম অবমাননার কথা বাদও দেন, তবু দেখবেন বাংলাদেশের অসংখ্য হিন্দু প্রকাশ্যে ইসলাম অবমাননার সাথে সংযুক্ত, অনলাইন-অফলাইনে দুই যায়গায় হিন্দুদের ইসলাম অবমাননা খবর একটি খুবই সাধারণ বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। তারা যদি ভালোই হতো, তবে তারা ইসলাম অবমাননার বিষয়টি বাদ দিতো, কিন্তু সেটা করছে না। বরং গত কয়েকদিন ধরে দেখা যাচ্ছে হিন্দুরা ইসলাম অবমাননা কয়েকশ’ গুন বাড়িয়ে দিয়েছে।
    যারা এ ধরনের অপব্যাখ্যা দিয়ে যাচ্ছেন, আমি তাদের থামতে বলবো। আমি বলবো- এ সকল লোকদের জন্য আজকে মুসলমানরা নপুংসক জাতিতে পরিণত হয়েছে। এরাই ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে মুসলমানদের করেছে বিভ্রান্ত। এদের কারণে মুসলমানদের মধ্যে দৃঢ়তার বিন্দুমাত্র অবশিষ্ট নেই। এরা ইসলাম অবমাননা হলে কিছু বলে না, কিন্তু মূর্তি ভাঙ্গলে কোরআন হাদীস নিয়ে হাজির হয়। আমার মনে হয় মুসলিম সমাজ থেকে এ ‘বিশ্বাসঘাতক’ লোকগুলোকে বয়কট করা উচিত।

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728