হিন্দুদের চিরাচরিত স্বভাব ইতিহাস বিকৃত করা
হিন্দুদের চিরাচরিত স্বভাব ইতিহাস বিকৃত করা। অনলাইন জগতে সেই ইতিহাস বিকৃতির অন্যতম দায়িত্ব আবার শুশু পাঠা (সুশুপ্ত পাঠক)-র হাতে।
শুসু পাঠা ইখতিয়াউদ্দিন মুহাম্মদ বখতিয়ার খিলজীকে নিয়ে কোন প্রুভ ছাড়া অযথাই যুক্তিতর্ক দিয়ে বিকৃত ইতিহাস রচনা করে লক্ষণ সেনকে হিরো বানাতে চাইছে। অথচ কাপুরুষ লক্ষণ সেন যে মাত্র ১৮ জন মুসলিম সেনার ভয়ে পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলো এই ইতিহাস অনেক হিন্দু ইতিহাসবিদের গ্রন্থেই পাবেন-
১) বই- History of Mithila, লেখক- উপেন্দ্র ঠাকুর, পৃষ্ঠা-৩৯৪
২) Political history of Rajmahal, লেখক-বিষ্ণু দয়াল পাণ্ডে, পৃষ্ঠা- পৃষ্ঠা-৩৩
২) Political history of Rajmahal, লেখক-বিষ্ণু দয়াল পাণ্ডে, পৃষ্ঠা- পৃষ্ঠা-৩৩
৩) History of the Bengali-speaking people, লেখক-নিতিশ কে সেনগুপ্ত, পৃষ্ঠা- ৪৭
আসলে কম সংখ্যক সৈন্য নিয়ে মুসলমানদের বিজয়ের ইতিহাস কিন্তু কম নয়। মুসলমানদের আগমণ অমুসলিমদের মনে এমন এক ভীতি সব সময় সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়, যে মুসলমানদের আগমনের কথা শুনলেই অমুসলিম অন্তর শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায়। স্বাভাবিক, লক্ষণ সেন যতই সেনাবাহিনীর অধিকারী হোক, রাজপ্রাসাদে মাত্র ১৮ জন নিয়ে প্রবেশ করে খিলজী লক্ষণ সেনের মনে এমন ভীতির সঞ্চার করেছিলো অত্যাচারী লক্ষণ সেখান থেকে পালাতে বাধ্য হয়েছিলো।
আসলে এ অঞ্চলের হিন্দুরা সব সময় চায় সেন রাজ বংশকে হিরো বানাতে। কিন্তু বাস্তবতা সেন বংশের রাজাদের হিরো বানিয়ে লাভ নেই। সেন রাজারা থাকলে এই অঞ্চলের নাম আর যাই হোক অন্তত বাংলা হতো না। সেনরাজাদের ফতওয়া ছিলো- “বাংলা ভাষায় কেউ শাস্ত্রচর্চাহিন্দুধর্মীয় কোন লেখনী করলে সে রৌরবনরকে যাবে।” এজন্য চর্যাপদের পর সেনরাজাদের শাসনামলে বঙ্গভূমিতে কোন বাংলা সাহিত্যনিদর্শন নেই, যা আছে তা সংস্কৃত। বাংলা ভাষায় বৌদ্ধদের সমস্ত কর্মগুলো বিনষ্ট করে ফেলায় চর্যাপদ কিন্তু বাংলাদেশে পাওয়া যায় নি, পাওয়া গিয়েছে নেপালের রাজকীয় গ্রন্থাগারে। ইখতিয়ার উদ্দিন বখতিয়ার খলজীর বঙ্গবিজয়ের পর বাংলার শাসনে আসেন মুসলমান রাজারা। মুসলমান রাজাদের শাসনামলে বাংলা সাহিত্য নতুন করে রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করে। আর মুসলমানদের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলা ভাষা সমৃদ্ধশালী হয়ে ওঠে এবং একটি বিরাট জাতির ভাষা হিসেবে আত্মপ্রকাশের ক্ষমতা লাভ করে।
তাই এ বাংলার মানুষ যদি কৃতজ্ঞ থাকতে হয় তবে ইখতিয়াউদ্দিন মুহাম্মদ বখতিয়ার খিলজীর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবে, আর বাংলাভাষাকে লুপ্তকারী অত্যাচারী কাপুরুষ সেনরাজাদের দিকে ঘৃণায় থু থু ছিটিয়ে দেবে।
No comments