ভারতীয় বিমান বাহিনীতে মুসলমানদের দাড়ি নিষিদ্ধ, পারবে শিখরা !
ভারতে মুসলমানদের দাড়ি রাখতে নিষেধ করেছে কোর্ট, তবে শিখদের দাড়ি রাখতে দেবে তারা। কোর্টের দাবি- শিখদের দাড়ি রাখা নাকি বাধ্যতামূলক, আর ইসলাম ধর্মে নাকি দাড়ি রাখা বাধ্যতামূলক নয়। আমি এ কথা নিয়ে বেশ কয়েকজন ইসলাম বেত্তার সাথে টেক্সটে আলাপ করলাম, সবাই বললেন- দাড়ি রাখা ইসলামী পরিভাষায় সুন্নত বলা হয়, কিন্তু সঠিক ইসলামী আইন অনুসারে দাড়ি রাখা বাধ্যতামূলক।
যাই হোক, ভারতীয় কোর্টের সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গী এই প্রথম নয়। ভারত সরকার কিংবা বিচারবিভাগ অন্য ধর্মের ব্যাপারে ছাড় দিলেও অতিরিক্ত ইসলাম বিদ্বেষের কারণে মুসলমানদের কখন ছাড় দিতে রাজি নয়। যেমন ধরুন- গরু খাওয়া আইন। ভারতে যেসব স্টেট মুসলিম অধ্যুষিত (যেমন: কাশ্মীর) যেখানে গরু জবাই করলে ১০-১৪ বছরের কারাদণ্ড। কিন্তু যেসব এলাকা খ্রিস্টান বা উপজাতি অধ্যুষিত সেখানে গরু জবাইয়ের বিরুদ্ধে কোন আইন নেই, বরং গরু জবাই সিদ্ধ। যেমন ভারতের যে সব এলাকায় গরু জবাই সিদ্ধ (অরুনাচল, মিজোরাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা, সিকিম) তার সবগুলো খ্রিস্টান বা উপজাতিদের সুবিধা করে দেয়ার জন্য।
মজার ব্যাপর কি জানেন, ইসলাম ধর্ম মতে দাড়ি রাখা বাধ্যতামূলক ইসলামী প্রতীক হিসেবে, কিন্তু শিখ ধর্মমতে দাড়ি রাখার অর্থ সম্পূর্ণ উগ্র এবং জঘণ্য রক্তখেকো সন্ত্রাসীপনা নির্দেশ করে। এ সম্পর্কে ইতিহাসে পাওয়া যায়- পাক-ভারত উপমহাদেশে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের শুরুতে সায়্যেদ আহমেদ শহীদ বেরেলীর সাথে শিখদের একটা যুদ্ধ হয়েছিলো। সে যুদ্ধে সায়্যেদ আহমেদ শহীদ বেরেলীর কাছে অতি লজ্জাজনকভাবে পরাজিত হয় শিখরা। সে সময় শিখরা শপথ করে- যতদিন তারা সারা বিশ্ব থেকে মুসলমানদের অস্তিত্ব মুছে ফেলে মুসলমানদের রক্ত দিয়ে গোছল না করতে পারবে ততদিন তারা চুল-দাড়ি কিছু কাটবে না এবং হাতে বালা পড়ে থাকবে, মানে পুরুষরা মহিলা সেজে থাকবে।
সে হিসেবে শিখদের দাড়ি মানে উগ্র সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীপনার প্রতীক, অপরদিকে মুসলমানদের দাড়ি মানে নিজ ধর্ম পালনের স্বাভাবিকতার প্রতীক। কিন্তু তারপরও চুলকানি উঠবে ভারতের সাম্প্রদায়িক ভারতে। যার প্রমাণ বিমান বাহিনীতে নতুন এই আইন।
No comments