হিন্দুদের মধ্যে বীর হওয়ার জন্য সন্ত্রাসী হওয়া অত্যাবশ্যক !

হিন্দুরা এক অদ্ভূত জাত, যে যত অপকর্ম করতে পারে, সে তাদের কাছে কত বড় দেবতা। চোর-ডাকাত-লুইচ্চা আর বদমাইশ সব হচ্ছে তাদের শীর্ষ পছন্দের তালিকায়। তবে তাদের র‌্যাঙ্কিং হবে অপকর্মের ওজন অনুসারে।

যেমন ধরুন, হিন্দুরা শিবাজীকে খুব বড় বীর মনে করে, অথচ ইতিহাস সাক্ষী শিবাজী ছিলো এক নম্বর ডাকাত। ছোট বেলায় মায়েরা তাদের সন্তানদের ঘুম পাড়াতো- “খোকা ঘুমালো, পাড়া জুড়ালো, বর্গী এলো দেশে” ছড়া কেটে। আর সেই বর্গী হলো শিবাজী ও তার ডাকাত সাঙ্গপাঙ্গ মারাঠা গোষ্ঠীরা। একই রকম হলো- সূর্যসেন, প্রীতিলতা কিংবা ক্ষুদিরাম। প্রত্যেকে ছিলো বড় বড় হিন্দু সন্ত্রাসী। ‍মুসলমানরা যেন কোন মতেই লাভবান না হতে পারে সেটাই ছিলো তাদের লক্ষ্য। এজন্য ক্ষমতাশীল ব্রিটিশদের সাথে সন্ত্রাসীপনা করে দস্যুগুলো, আর সেই সন্ত্রাসীরাই এখন হিন্দুদের কাছে পূজনীয়। এই যে মোদি হিন্দুদের এত ভোট পেলো, সেটার পেছনে রয়েছে সন্ত্রাসীপনা। গুজরাটে ২০০০ মুসলমানকে হত্যার নির্দেশ দেয়ার কারণেই মোদির এত সম্মান। গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসে হিন্দুদের কাছে বিরাট বীর দেশপ্রেমিক। তার নামে প্রতিষ্ঠা হয় মন্দিরও।

গত কয়েকদিন আগে চট্টগ্রামে ৪ হিন্দু সন্ত্রাসী আটক হয়েছে প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের উপর আক্রমণ করে। আর এখনই ঐ সন্ত্রাসীগুলোকে বীর উপাধি দিয়ে স্ট্যাটাস দিচ্ছে হিন্দুরা। তারমানে হিন্দুদের মধ্যে বীর হওয়ার জন্য সন্ত্রাসী হওয়া অত্যাবশ্যক।