বাংলাদেশের নারীরা কোন পথে চলবে সেই বুদ্ধি কি বেশ্যা তসলিমা আর সুলতানার থেকে নিতে হবে ?

বাংলাদেশের নারীরা কোন পথে চলবে সেই বুদ্ধি কি ইন্টারন্যাশনাল বেশ্যা তসলিমা নাসরিন আর সুলতানা চক্রবর্তীদের থেকে নিতে হবে ?

বাংলাদেশের নারীরা কোন পথে চলবে, তাদের জন্য নিয়ম নীতি কি হবে সেই বুদ্ধিদাতা এখন হয়ে গেছে আন্তর্জাতিক বেশ্যা তসলিমা নাসরিন আর সুলতানা কামাল চক্রবর্তী। তারা যেভাবে বুদ্ধি দিচ্ছে, সরকার সেই অনুসারেই চলছে। তারা বলছে- মেয়েদের ১৮ বছরের নিচে বিয়ে দেয়া যাবে না, সরকারও সেই বুদ্ধি গ্রহণ করে প্রতিদিন কোন কোন গ্রামের কন্যার বাপ আর কাজীদের গ্রেফতার করছে।

তসলিমা নাসরিন কোন কোয়ালিটির বেশ্যা সেটা সবার জানা। নিজেই বই লিখেছে কতজন পুরুষের শয্যাসঙ্গী হয়েছেসে। অন্যদিকে সুলতানা কামাল চক্রবর্তীর বাবা ছিলো পাকিস্তান সরকারের অনুগত, মা ছিলো রবীন্দ্রধর্মের অনুসারী এবং স্বামী হলো হিন্দু চক্রবর্তী, আর সে নিজে হয়েছে সিআইএ এজেন্ট।

এই সব দুই নম্বর মহিলারা বুদ্ধি দিচ্ছে- ১৮ বছরের নিচে বিয়ে দেয়া যাবে না, সৃষ্টিকর্তা যে নিয়ম দিয়েছে সেই নিয়ম ভাঙ্গতে হবে, নারী সন্তান ধারণে সক্ষম হবে ১২-১৩ বছর বয়সে, আর বিয়ে দিতে হবে ১৮ বছর বয়সে। ওয়্যাট এ জোক !! যে মহিলারা এসব কথা বলছে, তাদের মায়েদের বিয়ে হয়েছিলো কত বছর বয়সে ? সেটার ফিরিস্তি আগে দিক । আসলে যে নারীরা বেশ্যা তারাও তো চাইবে অন্য নারীরা বেশ্যা হয়ে যাক, বিয়ে করুক ১৮ এর উপরে, কিন্তু অবৈধ কর্ম করুক ১১ এর নিচে সেটা কোন সমস্যা নয়। বৈধ কর্ম আইন করে আটকে দিন, কিন্তু অবৈধ কর্মে বাধা দিতে পারবেন না।

সেই দিন এক ডাক্তারের সাথে অনেকক্ষণ আলাপ করলাম। ঐ ডাক্তার একটা কথা নিশ্চিত করে বললো- কম বয়সে বিয়ে হলে নারীদের নর্মাল ডেলিভারি সম্ভবনা বেশি হয়, কিন্তু বেশি বয়সে বিয়ে হলে সিজারিয়ান ডেলিভারির আশঙ্কা অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়, এছাড়া নিঃসসন্তান হওয়ার আশঙ্কাও বহুগুন বেড়ে যায়। এগুলো সব বৈজ্ঞানিকভাবেই প্রমাণিত, কিন্তু সে সব বিষয় এড়িয়ে শুধুমাত্র এনজিও’র টাকা হালাল করতে ১৮ বয়সের নিচে মেয়েদের বিয়ে দেয়া যাবে না, এই মিথ্যা প্রচারণা চালানো হচ্ছে এবং এই প্রচারণার সাথে অনেক অর্থলোভী ডাক্তারও জড়িত। তাছাড়া নারীদের নর্মাল ডেলিভারি হলে ডাক্তাররা বিরাট আয় থেকে বঞ্জিত হবে, এজন্যও সত্য কথাটা আড়াল করে তারা।

আমার মনে হয়, বাংলাদেশের উজ্জল ভবিষ্যতের জন্য মেয়েদের বিয়ের বয়স নির্দ্দিষ্ট করা উচিত হবে না। যদি গার্জিয়ানের মনে হয় তাদের সন্তানকে ১৮ এর নিচে বিয়ে দেওয়া উচিত তবে দেবে, আর যদি মনে হয়- ‘না আরো বড় করে বিয়ে দেবো’ তবে সেটা গার্জিয়ানের ইচ্ছার উপরে ছেড়ে দেওয়া উচিত।

-----------------------------------------

*আমার ব্যাকআপ পেইজ-৫
https://www.facebook.com/Noyon-chatterjee-5-249163178818686/