Header Ads

ad728
  • Breaking News

    বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তক নিয়ে সাইকোলোজিকাল গেম: সাধারণ মানুষ কতটুকু জানে ?


    যে কোন বই পড়ানো হয়, কোন কিছু শেখানোর জন্য। পাঠ্যবই পড়ানো হয় কোন বিশেষ শিক্ষা দেয়ার জন্য। যেমন- বাংলা পাঠ্যবই পড়ানো হয় বাংলা ভাষাশিক্ষার জন্য । সাইকোলোজি বা মনোবিজ্ঞানের ভাষায় মানুষের মনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো- চেতন মন (Conscious mind) ও অবচেতন মন (Sub-Conscious mind)। উপরের অংশটি হলো চেতন মন, আর ভেতরের স্মৃতি সংরক্ষণ ও বিশ্বাস গঠনের অংশটি হলো অবচেতন মন। বাংলা পাঠ্যবইয়ের মাধ্যমে বাংলাভাষা শিক্ষার ঘটনা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের চেতন মনের শিক্ষা। কিন্তু বাংলাবইয়ের ভাষা শিক্ষার আড়ালেও কিছু গোপন মেসেজ থাকে, যেটা ঐ ক্ষুদে শিক্ষার্থীর স্বাভাবিক বুঝে আসে না। কিন্তু ঐ বিশেষ শিক্ষাটাই শিক্ষার্থীর অবচেতন মনে প্রবেশ করে এবং ভবিষ্যতে বিশ্বাস গঠনে ভূমিকা রাখে।

    যেমন ধরুন ছবিতে ৪র্থ শ্রেণীর ৩৭ পৃষ্ঠায় অন্নদাসশঙ্কর রায়ের একটি কবিতা পড়ানো হচ্ছে- যেখানে শিক্ষার্থীদের ভজন ও প্রসাদের সাথে পরিচয় করানো হচ্ছে। উল্লেখ্য ভজন হচ্ছে হিন্দুদের ধর্মীয় গানের অন্তর্ভূক্ত (বিস্তারিত-https://bn.wikipedia.org/wiki/ভজন) এবং প্রসাদ হচ্ছে হিন্দুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের খাবারের নাম। অথচ এই কবিতাটি পড়ে কেউ স্বাভাবিকভাবে বলবে না কবিতাটি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কবিতা। মূলত ষড়যন্ত্রকারী কারো বিশ্বাসকে চেঞ্জ করতে চাইলে এভাবেই অবচেতন মনকে কাজে লাগায়।

    বর্তমানের পাঠ্যপুস্তকে এরকম ভুরি ভুরি সাইকোলোজিকাল মেসেজ আছে, যা শিক্ষার্থীদের একটি নির্দ্দিষ্ট দিকে ধাবিত করা হচ্ছে। আমরা ভাষা শিক্ষার পক্ষে, আমরা ইংরেজী শিক্ষার পক্ষে, আমরা অংক শিক্ষার পক্ষে, কিন্তু সেই শিক্ষার মাধ্যমে কেন কোন নির্দ্দিষ্ট ধর্মের (হিন্দুধর্মের) শিক্ষা অবচেতন মনে প্রবেশ করানো হবে ?? এটাকি সাম্প্রদায়িকতা নয় ??

    এখানে লক্ষনীয়, অবচেতন মনের ব্যবহার হবেই। কিন্তু এই অবচেতন মনের ব্যবহারটা যেন নৈতিক শিক্ষা দানের মাধ্যমে হয়। কারণ একটি শিশুকে পাঠ্যবইয়ের মাধ্যমে যদি পাঠ্যের আড়ালে নৈতিক শিক্ষা দেয়া যায় তবে ভবিষ্যতে সে অবশ্যই ভালো দিকে ধাবিত হবে। কিন্তু পাঠ্যবইয়ের অবচেতন মনের মাধ্যমে যদি অনৈতিক শিক্ষা দেয়া হয়, তবে আমরা নিজ হাতে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে ধ্বংস করে দিচ্ছি।
    যেমন- ছবির পাঠ্যের ‘ভজন’ শব্দটা দিকে খেয়াল করুন। বাংলাদেশে স্বাভাবিকভাবে ‘ভজন’ শব্দটা ‘রাধা-কৃষ্ণের কীর্তণ’ অর্থেই বহুল ব্যবহৃত হয়। অথচ হিন্দু পুরান মতে রাধা ছিলো মামী, আর কৃষ্ণ ছিলো ভাগিনা। এই দুই জনের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক ছিলো, তাদের প্রেমের গীত পাঠের নামই ‘ভজন’। তারমানে ‘ভজন’ শব্দটার গোড়ার দিকে ঢুকে এক সময় শিক্ষার্থীরা মামী-ভাগিনার অবৈধ সম্পর্কের শিক্ষা পাবে, এতে নৈতিকতার কতটুকু অবক্ষয় হবে তা একবার চিন্তা করেছেন ?

    আসলে বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তক নিয়ে বিরাট সাইকোলোজিকাল গেম হয়ে গেছে, কিন্তু দুঃখের বিষয় বাংলাদেশের মানুষ অজ্ঞতার দরুণ একদমই বুঝতে পারেনি।

    ---------------------------------------------------
    --আমার নতুন পেইজ Noyon Chatterjee 5
    (https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
    --পেইজ কোড- 249163178818686 ।

    --আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728