সুপ্রীম কোর্টের রায় অনুসারে অষ্টম শ্রেণীর বাংলাবইয়ে পতিতা সাহিত্য `বুকভরা মধূ, বঙ্গের বধূ‘ রাখা কতটুকু যৌক্তিক ?

গত কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে একটি মামলার রায় প্রকাশিত হয় (মামলা নম্বর- First Appeal No- 128 of 2012) । মামলার রায় লিখেন সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র জাস্টিস বিচারপতি শরফুদ্দিন চাকলাদার। রায়টি মোট ৫৫ পৃষ্ঠার, তার মধ্যে ১৫ ও ১৬ নম্বর পৃষ্ঠায় ততকালীন জমিদারদের চরিত্রের বর্ণনা করতে গিয়ে শরফুদ্দিন চাকলাদার জমিদার রবীন্দ্রনাথের কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কথা বর্ণনা করেন। এর মধ্যে একটি লাইনে তিনি বলেন-He came to Dhaka and berthed his `Bazra' in river Buriganga, opposite to famous Gangazli and wrote `Banglar Badhu buke tar madhu" অর্থ- ``রবীন্দ্রনাথ ঢাকায় আসত এবং বুড়িগঙ্গা নদীতে তার নৌকা নোঙর করত প্রসিদ্ধ গঙ্গাজলী’র (একটি এলাকার নাম যেখানে ঐ সময় বিশাল পতিতালয় ছিলো) বিপরীত পাশে এবং লিখত “বাংলার বধূ বুকে তার মধু”,

উল্লেখ্য পাঠ্যবইয়ের অষ্টম শ্রেণীর সাহিত্যকণিকার ৭৮ পৃষ্ঠায় সংযুক্ত করা হয়েছে `দু্ই বিঘা জমি‘ নামক কবিতা আছে, যেখানে রয়েছে রবীন্দ্রনাথের সেই ইরোটিক ছন্দ- `বুকভরা মধু, বঙ্গের মধূ‘।

আমি জানি, হয়ত অনেকে বলবেন, আপনি সব কিছুর মধ্যে খারাপ খুজেন, এখানে সাহিত্য করে অন্যকিছু বোঝানো হয়েছে। “ আমি তাদেরকে বলবো- দেখুন, আপনার চিন্তা, আর রবীন্দ্রনাথের চিন্তা অবশ্যই এক নয়। রবীন্দ্রনাথের পারিবারিক ব্যবসা ছিলো পতিতালয় ব্যবসা। রবীন্দ্রনাথের দাদার শুধু কলকাতায় ছিলো ৪৩টা পতিতালয় ( তথ্যসূত্র: সতীশচন্দ্র চক্রবর্তী সম্পাদিত, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মজীবনী,১৯৬২,পৃ.৩৫৮-৬০; কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা,২৮শে কার্তিক,১৪০৬, রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়)।

এ প্রসঙ্গে- আবুল আহসান চৌধুরী রচিত ‘অবিদ্যার অন্তঃপুরে, নিষিদ্ধ পল্লীর অন্তরঙ্গ কথকতা’ বইয়ে পাওয়া যায় - বেশ্যাবাজি ছিল বাবু (হিন্দু) সমাজের সাধারণ ঘটনা। নারী আন্দোলনের ভারত পথিক রাজা রামমোহন রায়ের, রক্ষিতা ছিল॥ এমনকি ঐ রক্ষিতার গর্ভে তাঁর একটি পুত্রও জন্মে ছিল। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর (রবীন্দ্রনাথের ভাই) পতিতা সুকুমারী দত্তের প্রেমে মজেছিল। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় নিয়মিত পতিতালয়ে যেত। রবীন্দ্রনাথঠাকুরও পতিতালয়ে যেত। নিষিদ্ধ পল্লীতে গমনের ফলে রবীন্দ্রনাথের সিফিলিস আক্রান্ত হওয়ার খবর তার জীবদ্দশাতেই ‘বসুমতী’ পত্রিকাতে প্রকাশিত হয়েছিল। তাই যদি কেউ বলেও- রবীন্দ্রনাথ `বুকভরা মধূ, বঙ্গের বধূ‘ দিয়ে ভালো কিছু বুঝিয়েছিলো, তা আমি মানবো, অন্তত রবীন্দ্রনাথের ব্যাকগ্রাউন্ড তা বলে না।

তাছাড়া সুপ্রীমকোর্টের রায় মানা প্রত্যেক নাগরিকের জন্য বাধ্যতামূলক। এর বিরোধীতা করা আদালত অবমাননা এবং আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। সে হিসেবে অবশ্যই `দুইবিঘা জমি‘ কবিতার ` দিয়ে শিক্ষার্থীদের পতিতা সাহিত্য শিক্ষা দেয়া হচ্ছে, এতে কোন সন্দেহ নাই। তাই অবিলম্বের দুই বিঘা জমিসহ দুশ্চরিত্র রবীন্দ্রনাথের সকল কবিতা পাঠ্যবই থেকে বাদ দেয়া হোক (দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য)।

---------------------------------------------------

--আমার নতুন পেইজ Noyon Chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।

--আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)