Header Ads

ad728
  • Breaking News

    একজন অজয় রায় : চুপা হিন্দু, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ও মৌলবাদী রেসিস্ট জঙ্গী



    এভাবে চললে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও বোরকা পরতে হবে - বলেছে অজয় রায়। (http://bit.ly/2kPF4L6) অজয় রায়ের অনেক পরিচয় আছে, তবে সাম্প্রতিক কালে তাকে আলোচনায় আনার অন্যতম কারণ সে বইমেলায় খুন হওয়া ব্লগার অভিজিৎ রায়ের বাবা। অভিজিৎ রায়- নামটা আসলে বাংলাদেশে নাস্তিকদের মাদারওয়েবসাইট ‘মুক্তমনা’ ব্লগের নাম আসে। যে ব্লগের মাধ্যমে সর্বপ্রথম নাস্তিকরা একত্রিত হয়। সময়টা ১৯৯৯, দেশ বিদেশের চিহ্নিত কিছু লোক একত্রে একটি ইয়াহুগ্রুপ খুলে, যার নাম ছিলো মুক্তমনা। গ্রুপটির শীর্ষ উপদেষ্টা ছিলো অভিজিতের বাবা এই অজয় রায়। তার তত্ত্ববাধানে ও ছেলের ফিল্ডওয়ার্কে সেই গ্রুপের মাধ্যমে চলে বিভিন্ন লেখা আদান প্রধান, এবং এক পর্যায়ে তা মুক্তমনা ব্লগে রূপান্তরিত হয়। মুক্তমনা ব্লগের অনেক উদ্দেশ্য ছিলো, তার মধ্যে অন্যতম- বিদেশী ইসলাম বিদ্বেষী ও নাস্তিকতা সমৃদ্ধ লেখাগুলোকে অনুবাদ করে বাংলাভাষায় নিয়ে আসা। দেখা যায়, মুক্তমনা ব্লগের অনেক সদস্যই খ্রিস্টান মিশনারীগুলো সাথে সম্পৃক্ত।

    আপনাদের জানা আছে কি না জানি না, বিদেশে খ্রিস্টানদের চার্চগুলোর জন্য প্রত্যেক নাগরিকের থেকে ট্যাক্স আদায় করে সরকার। তাই প্রত্যেকটি চার্চের ফান্ডে জমা পরে বিশাল এমাউন্টের টাকা। এই টাকাগুলো দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ধর্মান্তরিতকরণসহ ইসলামবিদ্বেষী প্রচারণাগুলো হয়ে থাকে। হয়ত সেই ফান্ডের একটা অংশ পেয়েছিলো অজয় পরিবার, নয়ত নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়াতে যাবে কোন ভুতে ?

    অজয় রায়কে অনেকে মুক্তিযোদ্ধা বলে দাবি করে, কিন্তু সত্য বলতে- ৭১ এ যারা কলকাতার বেশ্যাপল্লীতে আরাম আয়েশ করে পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধার খাতায় নাম লিখিয়েছে তাদের মধ্যে অজয় রায় অন্যতম। মজার ব্যাপার কি জানেন? বর্তমানে অনেকেই নিজেকে বড় মুক্তিযোদ্ধা বলে দাবি করে, কিন্তু ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, এরা যুদ্ধের সময়টা ভারতে লাল পানি আর নরমাংশের স্বাদে কাটিয়েছে, কিন্তু এখন মুক্তিযোদ্ধা খেতাব গায়ে নিয়ে ফায়দা লুটে যাচ্ছে। এই তালিকায় আছে কথিত অধ্যাপক অজয় রায়, তথ্যমন্ত্রী ইনু, যাদুকর জুয়েল আইচ বা গৌরাঙ্গ লাল আইচ এবং কথিত অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। উইকিপিডিয়ায় কথিত বিরাট মুক্তিযোদ্ধা অজয় রায় সম্পর্কে লেখা আছে- “ একাত্তুরের মে মাস থেকে ডিসেম্ম্বর পর্যন্ত ভারতে তিনি বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির জেনেরাল সেক্রেটারী হিসেবে কাজ করেন এবং বাংলাদেশ থেকে আগত শিক্ষকদের মুক্তিযুদ্ধে উদবুদ্ধকরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন ” (http://bit.ly/2jQD7hh)


    যাই হোক, আমি ঐ আলোচনায় যাবো না, তবে অজয় রায় যে বক্তব্যগুলো দিয়েছে তা মধ্যে কয়েকটি পয়েন্ট উল্লেখ্যযোগ্য-

    ১) কোন সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী পোষাকের বিরোধীতা করা,

    ২) যারা ধর্মীয় সিলেবাসের পক্ষে তাদের শাস্তি দিতে চাওয়া,

    ৩) ইসলামী নেতাদের ধরে ধরে শাস্তি দেয়া,

    ৪) যতটুকু ক্ষতি (!) হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ মুসলমানদের থেকে নেওয়া,

    উল্লেখ্য কয়েক বছর আগে এই অজয় রায় বাংলাদেশে সমস্ত মাদ্রাসা বন্ধের দাবি তুলেছিলো (http://bit.ly/2jPqjKA)।


    আমার প্রশ্ন-

    -একজন মুক্তমনা বা ফ্রি থিংকার কি কোন গোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী পোষাকের বিরুদ্ধে দাবি তুলতে পারে ?

    - একজন মুক্তমনা বা ফ্রি থিকংকার কি কোন শিক্ষা ব্যবস্থাকে বন্ধের করার জন্য দাবি তুলতে পারে ?

    - কেউ ভিন্ন মতবাদের বিশ্বাসী হতেই পারে, তাই বলে তার শাস্তি চেতে পারে ?

    - কেউ তার দাবি উত্থ্যাপন করতেই পারে, কিন্তু তাই বলে তার শাস্তি জন্য আন্দোলন করত পারে ?

    - কারে দাবি যদি সরকার মেনেও নেয়, তবে সেটার ক্ষতিপূরণ ঐ গোষ্ঠীর থেকে চাইতে পারে ?

    একজন চরম মাত্রার উগ্রবাদী রেসিস্ট লোকের পক্ষেই এমন দাবি করা সম্ভব ।


    দাবি করা হয়, বাংলাদেশ নাকি সেক্যুলার দেশ। এক্ষেত্রে সেক্যুলারিজমের সংজ্ঞায় বলা হয়- ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। কিন্তু অজয় রায় যে বক্তব্য দিলো সেটা তো কথিত ধর্মনিরপেক্ষতার ধারে কাছেও যায় না, বরং ফুটে উঠে কট্টর ইসলাম বিদ্বেষ ও রেসিজম।

    আপনি হয়ত বলবেন- ‘সে তো সেক্যুলার। সারা জীবন সেক্যুারজিমদের জন্য কাজ করেছে ’

    আমি বলবো, তার জীবনের ইভেন্টগুলোও তো সেই সাক্ষ্য দেয় না। তার ছেলে অভিজিত যখন মুসলিম (বন্যা) মেয়েকে বিয়ে করে এনেছিলো তখন মুসলিম ঘরের মেয়ে বেলে তাকে অজয় ঘরে তুলে নেয় নি। অজয় রায় সেক্যুলার নাম দিলেও সারা জীবন কাজ করেছে নিজ ধর্ম (হিন্দু)দের লোকদের জন্য। সে ‘নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী’ নামক একটি হিন্দুবাদী অধিকার আদায়ের সংগঠনের নেতা।

    এই যখন অবস্থা অজয় রায়ের, তখন সে কোন যুক্তিতে বোরকা-ইসলামকে ব্যঙ্গ করার যোগ্যতা রাখে ? বাংলাদেশের মুসলমানরা যদি হিন্দুদের বিরুদ্ধে কোন বক্তব্য দেয়, পূজার বিরুদ্ধে বক্তব্য দেয়, তাদের শাখা- সিদুর-ধূতির বিরুদ্ধে বক্তব্য দেয় তবে তাকে যদি মৌলবাদী বলতে হয় তবে অজয় রায়ও তো মৌলবাদী, রেজিস্ট ও জঙ্গী, এখানে দ্বিমত করার কোন কারণ দেখি না।

    ---------------------------------------------------
    --আমার নতুন পেইজ Noyon Chatterjee 5
    (https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
    --পেইজ কোড- 249163178818686 ।

    --আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728