পাঠ্যবই এর জন্য সম্রাজ্যবাদী বিশ্বব্যাংক-এডিবি’র ঋণ না নিলেই কি নয় ?
প্রতি বছর পাঠ্যবইয়ের জন্য সম্রাজবাদী বিশ্বব্যাংক-এডিবি থেকে টাকা নেয় বাংলাদেশ সরকার। এ বছর ৩৫ কোটি বই ছাপানোর খরচ প্রায় ১১০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংক ঋণ দেয় ২৬ কোটি টাকা। এডিবি’ও ঋণ আছে। কিন্তু সেটা সরাসরি বইয়ের জন্য নয়, প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়নের নামে।
পাঠ্যপুস্তক বানাতে এই সব সম্রাজ্যবাদী সংস্থার ঋণ নিয়ে কি অসুবিধা হচ্ছে-
পাঠ্যপুস্তক বানাতে সম্রাজ্যবাদী সংস্থা উপর দিয়ে ঋণ দিলেও পেছনে অনেক শর্ত জুড়ে দেয়। বাহ্যিকভাবে যে বিষয়গুলো চোখে পড়ে, তা হলো বিদেশীদের (ভারতীয়) দিয়ে বই ছাপাতে হবে। তবে ভেতর দিয়েও যে অনেক শর্ত থাকে তা পাঠ্যপুস্তকে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমূলক পাঠ্য দেখে সহজেই অনুধাবন করা যায়। বিশেষ করে এই পাঠ্যপুস্তকে এমন কিছু পাঠ্য অন্তর্ভূক্ত করা আছে, যা আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র অনেক স্বার্থ উদ্বার করে। যেমন-
পাঠ্যপুস্তককে প্রত্যেক বইয়ে উপজাতিদের বিষয়টি বার বার আনা হয়েছে। বার বার বুঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে উপজাতিরা একটি স্বতন্ত্র জাতি, যাদের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি আছে। এই ধরনের প্রচারণার সুদূর প্রসারী লক্ষ্য আছে। একটি জাতিকে যদি ছোট বেলা থেকেই বোঝানো যায়, অমুক এলাকায় অনেক মানুষ আছে যারা ভাষা সংস্কৃতিতে ভিন্ন, তবে ইচ্ছা অনিচ্ছায় ঐ শিশুটি বড় হয়ে বলবে- “ঠিক আছে ওদের জন্য পৃথক ভূমি করে দেয়া হোক।” আপনারা জানেন, বাংলাদেশের তিন পাবর্ত্য জেলাকে ভেঙ্গে পূর্ব তীমুর বা দক্ষিণ সুদানের মত পৃথক রাষ্ট্র জুম্মল্যান্ড গড়তে চায় ‘সিআইএ’, যার দরুণ পাঠ্যপুস্তকে এত অসংখ্যবার স্থান দেয়া হয়েছে ‘উপজাতি’ ইস্যুটিকে। সিআইএ’র অর্থনৈতিক উইং বিশ্বব্যাংক বা এডিবি মূলত ঐ এজেন্ডাগুলো বাস্তবায়নের টার্গেট নিয়ে ঋণ দিয়ে থাকে, আর বাংলাদেশ সরকারও শুধুমাত্র বিদেশী টাকার লোভে জাতিকে এত বড় বিপদের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। উপজাতি ইস্যু ছাড়াও বর্তমান পাঠ্যবইয়ে সিআইএ’র অন যেসব এজেন্ডা দেখা যায়-
১) ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ইসলাম বিলুপ্তকরণ,
২) হিন্দুত্ববাদ প্রবেশের মাধ্যমে মুসলমানিত্ব নষ্ট করা,
৩) গান-বাজনার মাধ্যমে ধর্মথেকে দূরে ঠেলে দেয়া
৪) মৃৎশিল্পের নামে মূর্তিকে প্রমোট করা
৫) খেলাধূলার মাধ্যমে মানুষকে ভুলিয়ে রাখা,
৬) যৌনশিক্ষার নামে ছোট বাচ্চাদের ছোটবেলা থেকেই নিলর্জ্জ করা
৭) পহেলা বৈশাখসহ কথিত বাঙালী সংস্কৃতির নামে মুসলিম সংস্কৃতি ভুলিয়ে দেয়া
৮) ইসলামী বিষয়গুলো ভুল করে উপস্থাপন করে ধর্মকে হেয় করা।
উল্লেখ্য এ বছর রাষ্ট্রীয় বাজেট ৩ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি টাকার, এর মধ্যে শিক্ষা ক্ষেত্রে বরাদ্দ ছিলো সর্বোচ্চ প্রায় ১৫% বা ৫২ হাজার কোটি টাকা। আমার মনে হয়, বাংলাদেশ অবশ্যই এত দরিদ্র রাষ্ট্র নয় যে, পাঠ্যপুস্তকের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্ট (গুরুত্বে বিবেচনায় খরচ কম, ১১০০ কোটি) বাইরে থেকে ধার কর্জ করে চালাতে হবে।
একটি বিষয় প্রমাণিত,
ইউরোপ-আমেরিকা থেকে অনেক সময় ফ্রি ভ্যাকসিন আসে, যেগুলোর মধ্যে ষড়যন্ত্রকরে বিভিন্ন রোগের জীবাণু প্রবেশ করানো হয়। তাহলে ইউরোপ-আমেরিকা থেকে যে ফান্ড আসছে তার মাধ্যম বানানো পাঠ্যপুস্তকগুলো কি বিষছাড়া হবে ??? কখনই নয়। তাই পাঠ্যপুস্তক বানাতে বিশ্বব্যাংক-এডিবি’র ঋণ না নেয়াই সর্বোত্তম বলে মনে করি।
---------------------------------------------------
--আমার নতুন পেইজ Noyon Chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
--আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)
No comments