৫২‘র ভাষা আন্দোলন ও বর্তমানে পার্বত্য উপজাতি নিয়ে চিন্তা
অনেক স্থানে লেখা দেখি, ৭১ এ বাংলাদেশ সৃষ্টির ধারণা নাকি সর্বপ্রথম জাগ্রত হয়েছিলো ৫২‘র ভাষা আন্দোলনের মাধ্যম দিয়ে। ১৯৫২ সালে ভাষাকে কেন্দ্র করে পূর্ব পাকিস্তান তথা বর্তমান বাংলাদেশীদের মধ্যে আলাদা জাতীয়তাবোধ তৈরী হয়, যা ১৯ বছর পর পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বাংলাদেশ নামক আলাদা ভূ-খণ্ড তৈরী করতে সাহায্য করে।
আচ্ছা, যারা এ কথাগুলো বলছেন- তারা কি এর মর্মার্থ আদৌ বুঝেছেন ? কারণ যারা এগুলো বলছে, তারাই কিন্তু বলছে- আদিবাসী (উপজাতি)দের ভাষা সংরক্ষণ করা উচিত, আদিবাসী (উপজাতি)দের মাতৃভাষায় পাঠ্যপুস্তক রচনা করতে হবে, আদিবাসী (উপজাতি)দের মাতৃভাষা ও সংস্কৃতিকে আলাদা স্বীকৃতি দিতে হবে, ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু এ ধরনের দাবি, একটি জাতি স্বার্বভৌমত্বের জন্য কত বড় হুমকি একবার ভেবে দেখেছেন? একটি সংখ্যালঘু জাতির ভাষা ও সংস্কৃতিকে আলাদা স্বীকৃতি দান মানেই হচ্ছে তাকে আলাদা ভূখণ্ডের জন্য প্ল্যাটফর্ম তৈরী করে দেয়া।
অনেকে হয়ত বলতে পারেন- তবে কি আমরা উপজাতিদের ভাষা ও সংস্কৃতিকে ধ্বংষ করে ফেলবো ?
না আমি তা বলিনি। তারা যখন নিজেদের মধ্যে কথা বা আচার প্রথা করবে, তখন তারা নিজের ভাষা ও সংস্কৃতি ফলো করুক। কিন্তু রাষ্ট্রীয় ভাবে তাকে রাষ্ট্রের ভাষা ও সংষ্কৃতিকেই ফলো করতে হবে। যেমন ধরুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে বহু সংস্কৃতির মানুষ বসবাস করে। কিন্তু দেশটির সকল পাঠ্যপুস্তক কিন্তু তাদের রাষ্ট্রীয় ভাষা ইংরেজীতেই লিখিত। এবং সেখানে শুধু মার্কিন সংস্কৃতিকেই শিক্ষা দেয়া হয়েছে। কিন্তু হিস্পানিকদের (স্পেনিশ ভাষাভাষী) জন্য আলাদা, কালোদের জন্য আফ্রিকান ভাষা, আরবীদের জন্য আরবী ভাষা আলাদা করে চালু নাই। কিংবা পাঠ্যবইগুলোতে তাদের সংষ্কৃতি সম্পর্কে বিন্দুমাত্র আলোচনা নাই। পাঠ্যবই হোক কিংবা রাষ্ট্রীয় কোন বিষয় হোক, আমেরিকানদের জন্য একটি নির্দ্দিষ্ট স্ট্যান্ডার্ড ফলো করতে হবে। কারণ তারা জানে- রাষ্ট্রের মধ্যে আলাদা ভাষা-সংস্কৃতিকে পৃষ্ঠপোষকতা করা মানে দেশটিকে খণ্ডবিখণ্ড করা।
পাঠক, বাংলাদেশে যে কোন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান, পাঠ্যবই কিংবা মিডিয়া খুললে দেখা যায়- প্রকাশ্যে উপজাতিদের সংস্কৃতিকে প্রচার=প্রসার করা হচ্ছে, তাদের ভাষায় পাঠ্যবই রচনা পর্যন্ত করা হচ্ছে। এটা সত্যিই ভয়ঙ্কর। বাংলাদেশের মানুষরা নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারছে। বঙ্গবন্ধু কিন্তু বিষয়টি বুঝেছিলেন। কিন্তু উপজাতি নেতাদের ডেকে বলেছিলেন- `তোমরা বাঙালী হয়ে যাও‘। কারণ দেশটা স্বাধীন হয়েছে ৫৭ হাজার বর্গমাইল নিয়ে, তিনি চাননি ফের বাংলাদেশটি নতুন করে খণ্ডবিখণ্ড হোক। কিন্তু সত্যিই লজ্জাজনক বিষয়, বঙ্গবন্ধু কন্যা কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নীতি ধরে রাখতে পারেনি। বাংলাদেশের বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান, পাঠ্যবইগুলোতে অতি নিলর্জ্জভাবে উপজাতিদের সংস্কৃতির ভিত্তিমূল গড়ে দেয়া হয়েছে, পাঠ্যবই পর্যন্ত রচনা হয়েছে উপজাতিদের ভাষায়। আমি বলবো- এ ধরনের কার্যক্রম বাংলাদেশকে খণ্ডবিখণ্ড উপলক্ষ মাত্র, এতে কোন সন্দেহ নাই।
---------------------------------------------------
--আমার নতুন পেইজ Noyon Chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
--আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)
No comments