বাংলাদেশে বাড়ছে নওমুসলিম হত্যা

গত কয়েকদিন আগে, চট্টগ্রামের কোতয়ালী থানার এক হিন্দু মেয়ের ইসলাম গ্রহণের ঘটনা নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম (http://bit.ly/2lZwudW)। সেখানে দিপু নামক এক হিন্দু যুবকের নিজ মুখের বর্ণণা দিয়েই দেখিয়েছিলাম- একজন ছেলে বা মেয়ে হিন্দু থেকে ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করলে হিন্দুরা প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে কি করে ? দিপুর ভাষায়- কোন হিন্দু নিজ ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করলে তাকে তিনটি কাজ করা হয়।

১) পুনরায় আগের হিন্দু জীবনে ফেরত যেতে বলা হয়,

২) ভারতে পাঠিয়ে দেয়া হয়, অথবা

৩) এমন কিছু করা হয় তা সবার সামনে প্রকাশ করা সম্ভব নয়।

আমার আজকের এই স্ট্যাটাস সেই ৩-নং পয়েন্ট মানে- `এমন কিছু করা হয় যা সবার সামনে বলা সম্ভব নয়‘ সেটা নিয়ে।

আপনারা জানেন, আজকে প্রায় অনেক পত্রিকায় একটি খবর এসেছে- নওগায় হিন্দু নারী ধর্মান্তরিত হওয়ায় খুন হওয়ার ঘটনাটি। খবরে জানা যায়- সনেকা নামক এক হিন্দু নারী কিছুদিন আগে ধর্মান্তরিক হয়ে ইসলাম গ্রহণ করে। তার নাম হয় ফাতেমা। গত শুক্রবার তাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে হিন্দুরা। (http://bit.ly/2kV2sY5)

বছর খানেক আগে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় এক নওমুসলিম মেয়েকে হত্যা করে হিন্দু ডাক্তার পবিত্র কুন্ড ও নার্স কাকুতি লতা বল। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খাদিজাতুন কোবরা (২২) নামক নওমুসলিম পেটে ব্যথায় আক্রান্ত হয়ে গত ১৯ মে টুঙ্গিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। শুক্রবার দুপুরের পর ডা. পবিত্র কুন্ড ও নার্স কাকুতি লতা বল ওয়ার্ড ভিজিট করেন।ভিজিটের সময় ডাক্তার পবিত্র কুন্ড রোগীকে বলেন, “তুই হিন্দু থেকে মুসলমান হয়েছিস তুই বেচে থাকলেই বা কি, আর না থাকলেই বা কি।”

(খবরের সূত্র- http://bit.ly/1HCegUF)

ঝিনাইদহ জেলার একটি খবর মিডিয়ায় আসে-

মহেশপুরে ইসলাম গ্রহণ করায় যুবককে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা


স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করায় আবদুল্লাহ (২৮) নামের এক নওমুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বিকালে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর পৌরসভার গোপালপুর গ্রামে। আবদুল্লাহ মহেশপুরের বোয়ালিয়া গ্রামের শৈলেন কুমারের ছেলে। তার আগের নাম ছিল দিপু কুমার। (http://bit.ly/2maL9m1)

একই ধরনের খবর আসে খুলনা থেকে-

খুলনায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণে যুবক হত্যা !

বিস্তারিত-

সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে সুবোধ পালের পুত্র সঞ্জয় পাল গত বছরের ৯ ডিসেম্বর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। ধর্মান্তরের অপরাধে গত রবিবার রাতে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হত্যার পর নিহতের লাশ ময়না তদন্ত ছাড়াই শেষকৃত্যের জন্যে শ্মশানঘাটে নিয়ে গেলে স্থানীয় মুসলমানরা বাধা দেয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহত সাইফুল ইসলামের লাশ খানজাহান আলী থানাধীন আটরা আফিলগেট বাজার জামে মসজিদের সামনে কাফন করা অবস্থায় রাখা ছিল। আর নিহতের (মুসলমান) স্ত্রী ঢাকা থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে আসছিলেন। নিহতর শরীরের অসংখ্য ক্ষতচিহ্ন থাকলেও হত্যাকাণ্ডে সম্পর্কে সুনিশ্চিত করে কিছুই জানাতে পারেনি পুলিশ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আফিলগেটের বাসিন্দা সঞ্জয় পাল ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকার গার্মেন্টসে কর্মরত অবস্থায় স্বেচ্ছায় নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে এভিডেভিট করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। মুসলিম নাম নেন মো. সাইফুল ইসলাম (২৭)। পরে মুসলিম শরীয়াহ মোতাবেক একই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বরিশালের মেয়ে ডলি (২৬) কে বিয়ে করেন তিনি। এরপর থেকে পরিবারের সাথে দূরত্ব এবং প্রকাশ্যে মতানৈক্যের সৃষ্টি হয়।

এসময় থেকে গ্রামের বাড়ীর লোকজন নবমুসলিম মো. সাইফুল ইসলামকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকী দিত। স্বামী-স্ত্রী দু’জনে পরামর্শ করে তারা আর গ্রামে না আসার পরামর্শ করেছিলেন। সদ্য সমাপ্ত কালীপুজার পূর্বে তার বাড়ীর লোকজন ফোন করে তাকে গ্রামে আসতে অনুরোধ করে। সকলের অনুরোধে কর্মস্থল থেকে ছুটি নিয়ে রক্তের টানে গত শুক্রবার একাই স্বজনদের কাছে আসেন নবমুসলিম সাইফুল ইসলাম। কালী প্রতীমা বিসর্জনের পূর্বরাতে স্থানীয় সুনিল পালের পুত্র সুদীপ পাল, মদন পাল, বিধান পালের পুত্র বিকাশ পাল, পাগল পালের পুত্র কমল পালসহ আরো ৩/৪জন ধর্মান্তর হওয়ার কারণে জীবন নাশের হুমকী দিয়েছিল বলে রাতে মোবাইলে তার স্ত্রী ডলিকে জানিয়েছিলেন নবমুসলিম সাইফুল ইসলাম।
রবিবার সন্ধ্যায় কালী প্রতিমা বিসর্জনে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে নবমুসলিম সাইফুলকে সাথে নিয়ে যায় তারাই। এসময় সুদীপ পাল, মদন পাল, বিকাশ পাল, কমল পাল, দুলাল পাল, চিত্ত্ব পালসহ ৬/৭জন মদ্যপ ছিল। পুলিশের সূত্র জানায়, গত সোমবার সকালে আটরা আফিলগেট খেঁয়াখাট এলাকার শ্মশান ঘাট সংলগ্ন গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় নবমুসলিম সাইফুল ইসলাম (সঞ্জয় পাল) এর লাশ উদ্ধার করা হয়। সাবেক পরিবারের পক্ষ থেকে প্রচার করা জয় শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। কিন্তু তার শরীরের কয়েকটি স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গলার ডান পাশে লোহার রড দিয়ে গভীর ছিদ্র করে দিয়েছে ঘাতকরা। (http://bit.ly/2lxdS7C)

মজার বিষয় হচ্ছে- বাংলাদেশে হিন্দুদের সংখ্যালঘু, দুর্বল বা অসহায় হিসেবে প্রকাশ করা হলেও বাস্তবতা কিন্তু ঠিক উল্টো। বিশেষ করে ধর্মান্তরিতদের উপর অত্যাচারের বিষয়টি প্রমাণ করে বাংলাদেশে হিন্দুরা কতটুকু উগ্র ও ইসলাম বিরোধী মনমানসিকতা ধারণ করে। ধর্ম ত্যাগ করলে মুসলমানরা হত্যা করে- এই প্রচারণা কিন্তু কম নয়। ব্লগার হত্যা নিয়ে জাতীয়-আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় কম লাফালাফি হয়নি। কিন্তু আশ্চর্যজনক- হিন্দুরা যে নিয়মিত তাদের ধর্মত্যাগীদের হত্যা করে, সেটা মিডিয়ায় আসে না। ঐ খবরগুলো কালেকশন করতে হয় লোকাল কোন নিউজ পোর্টাল থেকে।

---------------------------------------------------

--আমার নতুন পেইজ Noyon Chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।

--আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)