প্রসঙ্গ: সুপ্রীম কোর্টে মূর্তি। ‘বাঙালীকে হাইকোর্ট দেখালো’ এ্যাটর্নী জেনারেল মাহবুবে আলম
এ্যার্টনী জেনারেল মাহবুবে আলম সুপ্রীম কোর্টের সামনে গ্রীক দেবীর মূর্তির প্রসঙ্গে বলেছে- “এটা তো মূর্তি না, এটা তো ভাস্কর্য”। এরপর সে বলেছে- “এখানে দেখানো হয়েছে তিনটা জিনিস। একটা হলো দাঁড়িপাল্লা, ন্যায়বিচারের একটা সূচক। আর হাতে একটা তলোয়ার। দণ্ড বা শাস্তির সূচক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে তলোয়ার। তৃতীয়ত, চোখটা বাঁধা। অর্থাৎ একদম নিরপেক্ষভাবে বিচার করতে হবে।” (http://bit.ly/2lyIGCD)
এ্যাটর্নী জেনারেল মাহবুবে আলমের কথা শুনে আমার ‘বাঙালীকে হাইকোর্ট দেখানো’ প্রবাদটি মনে পড়ছে। আশ্চর্যজনক হাইকোর্টের সামনে সেই মূর্তিটাই এখন প্রবাদের যথার্থতা প্রমাণ করছে। মাহবুবে সাহেব কি সুন্দর করে বলছে- “এখানে দেখানো হয়েছে তিনটা জিনিস। একটা হলো- দাঁড়িপাল্লা, ন্যায়বিচারের একটা সূচক। আর হাতে একটা তলোয়ার। দণ্ড বা শাস্তির সূচক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে তলোয়ার। তৃতীয়ত, চোখটা বাঁধা। অর্থাৎ একদম নিরপেক্ষভাবে বিচার করতে হবে।” ছোট বেলায় দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তন নিয়ে শিক্ষা পেয়েছিলাম- একটি গ্লাসে অর্ধেক পানি রয়েছে, এটা অন্যভাবেও বলা যায়- গ্লাসটি অর্ধেক খালি/বায়ুপূর্ণ রয়েছে।
দেখুন- কি সুন্দর ভাবে এ্যার্টনী জেনারেল সাহেব আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তন করে দিচ্ছেন। বলছেন- এখানে তিনটি জিনিস দেখানো হয়েছে-
১) দাঁড়িপাল্লা
২) তলোয়ার
৩) চোখ বাধা
কিন্তু যার হাতে দাড়িপাল্লা, যার হাতে তলোয়ার কিংবা যার চোখ বাধা সেই বিশেষ পারসন তথা গ্রিক দেবী সেই প্রসঙ্গটাই তিনি গুলিস্তানের গোপন ওষুধ বিক্রেতাদের মত এড়িয়ে গেছেন।
মাহবুবে সাহেব বলেছেন- “এটা ভাস্কর্য, মূর্তি নয়।” এখানেও তিনি হাইকোর্ট দেখানোর চেষ্টা করেছেন।
অভিধান বলছে- ভাস্কর্য হচ্ছে ঐ জিনিস যা-
ক) পাথর, ধাতু কিংবা কাঠ দিয়ে নির্মাণ করা হয়,
খ) খোদাই করে নির্মাণ করা হয়,
গ) ত্রি-মাত্রিক হতে হয়।
অপরদিকে মূর্তি হচ্ছে ঐ জিনিস- যা প্রাণীদেহের শারীরিক গঠন নির্দেশ করে ।
তাই ভাস্কর্য ও মূর্তির সংজ্ঞা মার্জ করলে একটি জিনিস বোঝা যায়- যে সকল ভাস্কর্য কোন প্রাণীর দেহ নির্দেশ করে তাই মূর্তি। যেহেতু সুপ্রীম কোর্টের সামনের কথিত ভাস্কর্য দ্বারা একটি নারীদেহ ইনডিকেট করা হচ্ছে, তাই সেটা মূর্তি না ভাস্কর্য এ ধরনের বিতর্ক তোলা গাধামি ছাড়া কিছু নয়।
তবে আমি যতটুকু বুঝতে পেরেছি, মাহবুবে সাহেব তার বক্তব্য দ্বারা বুঝাতে চেয়েছেন- মূর্তি বলতে হুজুর সাহেবরা পূজার সামগ্রী বুঝাতে চেয়েছেন, কিন্তু এটা চেতনা (!) সামগ্রী, পূজার সামগ্রী নয়।
পাঠক ! এখানেও আমার অবজেকশন। কারণ ঐ মূর্তিটিকে রোমানদের দেবী জাস্টিসিয়া বলেন আর গ্রিকদের কথিত দেবী থেমিস বলেন, উভয়টা কিন্তু রোমান ও গ্রিকদের ধর্মীয় প্রতীক তথা পূজনীয় ফিগার। তাই মাহবুবে সাহেব যদি দূর্গা মূর্তি স্থাপন করে বলেন- এটা পূজার জন্য নয়, সেটা যেমন ভুল হবে, ঠিক তেমনি জাস্টিসিয়া বা থেমিস মূর্তি স্থাপন করে এ ধরনের কথা বললে একই ধরনের মূর্খতা হবে।
আমার মনে হয়, সুপ্রীম কোর্টের এ্যার্টনী জেনারেল পদ অবশ্যই একটি দায়িত্বশীল ও গুরুত্বপূর্ণ পদ, সেখানে যদি মাহবুবে সাহেবের মত একটা গণ্ডমূর্খ থাকে তবে তা অবশ্যই জাতির জন্য লজ্জাকর। তাই অবিলম্বে জাতির লজ্জা মাহবুবে সাহেবকে গলাধাক্কা দিয়ে এ্যার্টনী জেনারেল পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হোক।
---------------------------------------------------
--আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)
এ্যাটর্নী জেনারেল মাহবুবে আলমের কথা শুনে আমার ‘বাঙালীকে হাইকোর্ট দেখানো’ প্রবাদটি মনে পড়ছে। আশ্চর্যজনক হাইকোর্টের সামনে সেই মূর্তিটাই এখন প্রবাদের যথার্থতা প্রমাণ করছে। মাহবুবে সাহেব কি সুন্দর করে বলছে- “এখানে দেখানো হয়েছে তিনটা জিনিস। একটা হলো- দাঁড়িপাল্লা, ন্যায়বিচারের একটা সূচক। আর হাতে একটা তলোয়ার। দণ্ড বা শাস্তির সূচক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে তলোয়ার। তৃতীয়ত, চোখটা বাঁধা। অর্থাৎ একদম নিরপেক্ষভাবে বিচার করতে হবে।” ছোট বেলায় দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তন নিয়ে শিক্ষা পেয়েছিলাম- একটি গ্লাসে অর্ধেক পানি রয়েছে, এটা অন্যভাবেও বলা যায়- গ্লাসটি অর্ধেক খালি/বায়ুপূর্ণ রয়েছে।
দেখুন- কি সুন্দর ভাবে এ্যার্টনী জেনারেল সাহেব আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তন করে দিচ্ছেন। বলছেন- এখানে তিনটি জিনিস দেখানো হয়েছে-
১) দাঁড়িপাল্লা
২) তলোয়ার
৩) চোখ বাধা
কিন্তু যার হাতে দাড়িপাল্লা, যার হাতে তলোয়ার কিংবা যার চোখ বাধা সেই বিশেষ পারসন তথা গ্রিক দেবী সেই প্রসঙ্গটাই তিনি গুলিস্তানের গোপন ওষুধ বিক্রেতাদের মত এড়িয়ে গেছেন।
মাহবুবে সাহেব বলেছেন- “এটা ভাস্কর্য, মূর্তি নয়।” এখানেও তিনি হাইকোর্ট দেখানোর চেষ্টা করেছেন।
অভিধান বলছে- ভাস্কর্য হচ্ছে ঐ জিনিস যা-
ক) পাথর, ধাতু কিংবা কাঠ দিয়ে নির্মাণ করা হয়,
খ) খোদাই করে নির্মাণ করা হয়,
গ) ত্রি-মাত্রিক হতে হয়।
অপরদিকে মূর্তি হচ্ছে ঐ জিনিস- যা প্রাণীদেহের শারীরিক গঠন নির্দেশ করে ।
তাই ভাস্কর্য ও মূর্তির সংজ্ঞা মার্জ করলে একটি জিনিস বোঝা যায়- যে সকল ভাস্কর্য কোন প্রাণীর দেহ নির্দেশ করে তাই মূর্তি। যেহেতু সুপ্রীম কোর্টের সামনের কথিত ভাস্কর্য দ্বারা একটি নারীদেহ ইনডিকেট করা হচ্ছে, তাই সেটা মূর্তি না ভাস্কর্য এ ধরনের বিতর্ক তোলা গাধামি ছাড়া কিছু নয়।
তবে আমি যতটুকু বুঝতে পেরেছি, মাহবুবে সাহেব তার বক্তব্য দ্বারা বুঝাতে চেয়েছেন- মূর্তি বলতে হুজুর সাহেবরা পূজার সামগ্রী বুঝাতে চেয়েছেন, কিন্তু এটা চেতনা (!) সামগ্রী, পূজার সামগ্রী নয়।
পাঠক ! এখানেও আমার অবজেকশন। কারণ ঐ মূর্তিটিকে রোমানদের দেবী জাস্টিসিয়া বলেন আর গ্রিকদের কথিত দেবী থেমিস বলেন, উভয়টা কিন্তু রোমান ও গ্রিকদের ধর্মীয় প্রতীক তথা পূজনীয় ফিগার। তাই মাহবুবে সাহেব যদি দূর্গা মূর্তি স্থাপন করে বলেন- এটা পূজার জন্য নয়, সেটা যেমন ভুল হবে, ঠিক তেমনি জাস্টিসিয়া বা থেমিস মূর্তি স্থাপন করে এ ধরনের কথা বললে একই ধরনের মূর্খতা হবে।
আমার মনে হয়, সুপ্রীম কোর্টের এ্যার্টনী জেনারেল পদ অবশ্যই একটি দায়িত্বশীল ও গুরুত্বপূর্ণ পদ, সেখানে যদি মাহবুবে সাহেবের মত একটা গণ্ডমূর্খ থাকে তবে তা অবশ্যই জাতির জন্য লজ্জাকর। তাই অবিলম্বে জাতির লজ্জা মাহবুবে সাহেবকে গলাধাক্কা দিয়ে এ্যার্টনী জেনারেল পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হোক।
---------------------------------------------------
--আমার নতুন পেইজ Noyon Chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
--আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)
No comments