Header Ads

ad728
  • Breaking News

    রোমান প্যাগানদের মধ্যে নারীদের অধিকার ও মর্যাদা কেমন ছিলো জানা দরকার



    আজকে ৮ই মার্চ, একদল আজকে কথিত নারীদিবস পালন করছে। আপনারা জানেন- সুপ্রীম কোর্টে স্থাপন করা হয়েছে রোমান প্যাগানদের দেবী জাস্টিসিয়ার নারী মূর্তি (গ্রিক প্যাগানদের থেমিস)। অনেক নারীবাদী আবার এটা ভাবতে পারে- সুপ্রীম কোর্টে রোমান দেবী মূর্তি লেডি জাস্টিসিয়া বসায় নারীদের স্ট্যাটাস বাড়ছে। কিন্তু ঐ সময় রোমান প্যাগানদের মধ্যে নারীদের অধিকার ও মর্যাদা কেমন ছিলো এটাও জানা দরকার। সে ক্ষেত্রে বোঝা যাবে, বাংলাদেশে সুপ্রীম কোর্টের সামনে লেডি জাস্টিসিয়ার মূর্তি স্থাপনে নারীদের অধিকার কতটুকু সংরক্ষণের কথা চিন্তা করছে বাংলাদেশর বিচারবিভাগ।

    রোমান নারীদের অবস্থা-

    ১) রোমান সমাজটি ছিল পুরুষতান্ত্রিক আর তখনকার দিনে নারীদের ব্যক্তিগত বিবরণ লিখিত হত না।

    ২) রোমান সভ্যতায় মেয়েদের নিজেদের ওপর ও সন্তানের ওপর আইনগত অধিকার ছিল না

    ৩) মেয়েদের পুরুষের অধীন বন্দি করে রাখার নানান প্রথা ছিল রোমান সমাজে। রোমান মেয়েদের নিজস্ব নাম থাকত না। তারা বাবার নামের মধ্যাংশ ব্যবহার করত। তবে সেটিকে স্ত্রীবাচক করে নিতে হত। মেয়েদের নাম শুনেই বোঝা যেত মেয়েটির বাবা কে এবং কী তার সামাজিক মর্যাদা। মেয়েরা পরিবারের ভিতরেই থাকত এবং তার আলাদা কোনও পরিচয় ছিল না।

    ৪) মেয়ের ওপর বাবার ছিল নিরুঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ, বাবা ইচ্ছে করলে এমন কী মেয়েকে দাস হিসেবে বিক্রি করতে পারত কিংবা মেয়ের বিবাহবিচ্ছেদ কার্যকর করতে পারত। সন্তান থাকলেও সেই সন্তানকে ফেলে আসতে হত। সন্তানের ওপর রোমান নারীর বৈধ অধিকার ছিল না কখনও ওদের দেখতেও পেত না। বিয়ের সময় মেয়ের সম্পদের ওপর অধিকার ছিল বাবার, মানে মেয়েরা পৈত্রিক সম্পত্তি শ্বশুরবাড়ি নিয়ে যেতে পারত না।

    ৫) ‘ওপিয়ান ল’ নামে একটি আইন হয়েছিল। যে আইন অনুযায়ি মেয়েরা ভোগ্যপন্য -যেমন অলঙ্কার কিনতে পারত না।

    ৬) রোমান মেয়েদের ব্যাক্তিস্বাধীনতা ছিল না। তাদের গতিবিধির ওপর বাবা কিংবা পুরুষ আত্মীয় কিংবা স্বামী নজর রাখত। মাঝে-মাঝে মেয়েদের মুখের গন্ধ শুঁকত। দেখত মদ খেয়েছে কিনা । রোমান সমাজে মেয়েদের মদ্যপান নিষিদ্ধ ছিল। মদ্যপানের শাস্তি ছিল মৃত্যুদন্ড। রোমান পুরুষরা মনে করত মদ মেয়েদের পরকীয়ায় উৎসাহিত করবে।

    ৭) রোমান সমাজের অভিজাত স্তরে পরকীয়ার ঘটনা ঘটত। কেননা, বিয়েগুলি হত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উদ্দেশে, সেখানে প্রেম বলে কিছু ছিল না। রোমান মেয়েদের কখনও মেয়েদের বেশি বয়েসের লোকের সঙ্গে বিয়ে হত। আসলে যার সঙ্গে বিয়ে ঠিক করা হত একজন রোমান মেয়েকে বিয়ে তাকেই করতে হত। পরকীয়া জানাজানি হলে পুরুষকে কিছু না বললেও মেয়েটিকে মেরে ফেলা হত!

    ৮) রোমান নারীদের ভোটাধিকার ছিল না। রাজনীতিতেও অংশ নিতে দেওয়া হত না।

    ৯) তৎকালীন রোমান সমাজে শিক্ষার অধিকার ছিল কেবল অভিজাত শ্রেণির পুরুষদের । তারা তাদের অবসর সময়ে নিজস্ব অভিজ্ঞতাই লিখত। মেয়েদের প্রসঙ্গ এলে আত্মীয়স্বজনের কথা লিখত-যারা ছিল রোমান অভিজাত শ্রেণির। বলাবাহুল্য অভিজাত নারীরা রোমান সাম্রাজ্যের ক্ষুদ্র অংশ এবং অল্পবিস্তর হলেও এদের সম্বন্ধেই তথ্য পাওয়া যায়। দরিদ্র রোমান নারীদের সম্বন্ধে তেমন তথ্য পাওয়া যায় না।

    ১০) রোমান সমাজের অভিজাত মেয়েদের বিয়ে হত ১২ বছর বয়েসে। কখনও কখনও আরো কম বয়েসে। একজন রোমান নারীর জীবনধারা ছিল এরকম: বিয়ে হত কম বয়েসে, মৃত্যু হত সন্তান জন্ম দানের সময় অথবা অধিক সন্তান জন্ম দেওয়ার সময়।

    ১১) অভিজাত পরিবারগুলি পুত্রসন্তান আশা করত। কারণ পুত্রসন্তানই বংশের নাম ও ধারা বজায় রাখতে পারে। রোমান পুরুষেরা চাইত তাদের স্ত্রীরা যেন গর্ভধারনে বিরতি না দেয়।

    ১২) নারীর বন্ধ্যাত্ব ছিল বিবাহবিচ্ছেদের অনিবার্য কারণ। তবে সে রকম ঘটনা ঘটলে মেয়েরাই বিবাহবিচ্ছেদের প্রস্তাব করত যাতে তাদের স্বামী অন্য কারও মাধ্যমে পিতৃত্বের অধিকার অর্জন করতে পারে।

    ১৩) সন্তানের জন্ম দেবে কি দেবে না এ বিষয়ে রোমান অভিজাত নারীদের কোনও ভূমিকা ছিল না। স্বামী নবজাতককে (এই ক্ষেত্রে যদি নবজাতকটি কন্যাশিশু হয়) লালনপালন করতে না চাইলে স্ত্রীর সে বিষয়ে বলার কিছু ছিল না। কারণ, তৎকালে সন্তানের ওপর রোমান নারীর আইনগত অধিকার ছিল না। বিয়ের সময় যৌতুক দিতে হবে আবার বংশও রক্ষা করবে না এই অজুহাতে মেয়েশিশুকে হত্যা করা হত। এ কারণে রোমের জনসংখ্যা কমে গিয়েছিল।

    ১৪) পুরুষের গৃহ সজ্জিত করার জন্য প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রের অন্তর্ভুক্ত ছিল নারী। স্বামীর মৃত্যুর পর তার পুত্র বা দেবর-ভাসুরদের তার উপর আইনানুগ অধিকার জন্মাত। পুরুষদের যৌনক্ষুদা নিবারণের হাতিয়ার হিসেবে নারী ব্যবহৃত হতো। এমনকি স্বামী কোন অপরাধের দায়ে স্ত্রীর মৃত্যুদন্ড পর্যন্ত দিতে পারতো।

    (তথ্যসূত্র: Moya K. Mason এর Ancient Roman Women: A Look at Their Lives )

    যে সভ্যতায় (!) নারীর অবস্থা এতটা করুণ, সে সভ্যতার (!) বিচার দেবীর মূর্তি কতটুকু নারীবান্ধবতা প্রমাণ করবে ?? তাই আজকে কথিত নারীদিবস উপলক্ষে কথিত নারীবাদীদের সুপ্রীম কোর্টের মূর্তির বিরুদ্ধে মাঠে নামার দাবি জানাচ্ছি।


    ---------------------------------------------------
    --আমার নতুন পেইজ Noyon Chatterjee 5
    (https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
    --পেইজ কোড- 249163178818686 ।

    --আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728