১৯শে মার্চ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল হলে দেশে একটা বিরাট অরাজকতা সৃষ্টি হতে পারে
সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলে উগ্রহিন্দু সমরেন্দ্র নাথ গোস্বামী হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছিলো ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে। শুনানী শেষে ঐ একই বছর ৭ই সেপ্টেম্বর রিটটি খারিজ করে দেয় বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের দ্বৈত বেঞ্চ।
গত ২০১৬ সালের ১২ নভেম্বর রিট খারিজের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। এবং সেই আপীলের শুনানির দিন ধার্জ করা হয় আগামী রবিবার মানে ১৯ই মার্চ, ২০১৭। আমার ধারণা ছিলো রিটের বৈধতা নিয়ে হয়ত চেম্বারজজে ফায়সালা হবে, কিন্তু এইমাত্র খবর পেলাম, রিটটি আর চেম্বারজজে নাই, পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে আপীল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে। সম্ভবত রিটটি উঠবে প্রধানবিচারপতি এসকে সিনহার কোর্টে, অথবা বিচারপতি আব্দুল ওয়াহাব মিয়া‘র কোর্টে। তবে প্রধানবিচারপতি এসকে সিনহার কোর্টে উঠার সম্ভবনাই বেশি। এবং বিষয়টি একারণেই ভয়ঙ্কর যে, প্রধানবিচারপতি এসকে সিনহা চাইলে খারিজ হওয়া একটা রিট আবার জারি করে মুহুর্তেই বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তুলে দিতে পারে।
উল্লেখ্য মাত্র কয়েকদিন আগে প্রধানবিচারপতি এসকে সিনহা এক সভায় বলেছিলো- বাংলাদেশ এখন পূণাঙ্গ ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। সে হিসেবে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তুলে বাংলাদেশকে পরিপূর্ণ ধর্মনিরপেক্ষ করা তার জন্য কোন ব্যাপার না। আসলে এসকে সিনহার সাম্প্রতিক কার্যক্রম তাকে ইসলামবিদ্বেষী হিন্দুত্ববাদী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বিশেষ করে সুপ্রীম কোর্টের সামনে গ্রিক দেবীর মূর্তি স্থাপনের বিষয়টি ছিলো তার একক সিদ্ধান্ত। অথচ তার এই বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণে শুধু সাধারণ মুসলমান নয় সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবিরা, এমনকি অনেক বিচারপতি পর্যন্ত তার উপর ক্ষেপে আছে। ইতিমধ্যে ৩০০ জন আইনজীবি সাক্ষর দিয়েছে তার এ হীন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরূপ ।
প্রধানবিচারপতির অনেক সিদ্ধান্তই এখন পর্যন্ত মারাত্মক ইসলাম বিদ্বেষী। বিশেষ করে রাগীব আলীর মত ধন কুবেরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার পেছনে অনেকেই দুটি কারণকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছে অনেকে। প্রথমটি মৌলভীবাজারের নিম্নবর্ণের হিন্দু সুরেন্দ্র নাথ সিনহার বাবা রাগীব আলীর চা-বাগানে কাজ করতো, এর প্রতিশোধ নিতে। দ্বিতীয়- রাগীব আলীর কাছে বিচারপতি থাকা অবস্থায় ৫ কোটি টাকা দাবি করেছিলো এসকে সিনহা। ঘাড় ত্যাড়া রাগীব আলী সেটা দিতে রাজী না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত বৃদ্ধ বয়সে কঠিন অবস্থা পোহাতে হলো রাগীব আলী ও তার পরিবারকে।
যতটুকু জানা যায়, ইসকনপন্থী হিন্দু এসকে সিনহা মার্কিন লবিতে প্রধানবিচারপতি পদে বসেছে। সম্প্রতি বিজিএমইএ ভবন ভাঙ্গার সিদ্ধান্তও তার দেয়া। যতটুকু জানা যায় গত বছর চীনা প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে এসে গার্মেন্টেস সেক্টরে মোটা ইনভেস্ট করার প্রতিশ্রুতি দেয়। তার পেনাল্টি হিসেবেই বিজেএমইএ ভবন ভাঙ্গার রায় দিয়েছে মার্কিনপন্থী এসকে সিনহা, এমনটাই মনে করছে অনেকে।
যাই হোক, আগামী রবিবার ১৯শে মার্চ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল হলেও হতে পারে । এতে দেশে একটা বিরাট অরাজকতা সৃষ্টি হতে পারে। কারণ মার্কিনপন্থী লবি চাচ্ছে বাংলাদেশে একটা বিরাট অরাজকতা লাগুক, এবং সেই কাজটি করা হবে মার্কিনপন্থী এসকে সিনহাকে দিয়ে। এতে বাংলাদেশে চীনা প্রভাব কিছুটা হলেও ঠেকানো যাবে (যেমন সুপ্রীম কোর্টে অযথাই গ্রিক দেবীর মূর্তি বসিয়ে দেশে অরাজকতা বিস্তার করা হয়েছে)। অপরদিকে ভারত সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত-আমেরিকার বাধন আরো শক্ত করবে, এটাই মার্কিন-ভারত লবির ইচ্ছা।
---------------------------------------------------
--আমার নতুন পেইজ Noyon Chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
--আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)
No comments