Header Ads

ad728
  • Breaking News

    ইতিহাস প্রমাণ করে- হিন্দুরা হচ্ছে বেঈমানের জাত

    গত কয়েকদিন আগে এক হিন্দু নমশূদ্র স্ট্যাটাস দিয়ে দাবি করেছিলো- ব্রিটিশ আমলে হিন্দু জমিদাররা নাকি এ অঞ্চলে শিক্ষা বিস্তারে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিলো। (https://goo.gl/HpPLsb)
    ঐ হিন্দু নমশূদ্রের দাবি-
    ঢাকা কলেজ ;- (1841 সাল), চট্টগ্রাম কলেজ ;- (1861 সাল), রাজশাহী কলেজ ;- (1873 সাল), মুরারী চাঁদ (এমসি) কলেজ, সিলেট ;- (1892 সাল) আনন্দ মোহন কলেজ, ময়মনসিংহ ;- (1883 সাল, এডওয়ার্ড কলেজ, পাবনা ;- (1889 সাল), ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ, বরিশাল ;- (1889 সাল, কারমাইকেল কলেজ, রংপুর ;- (1916 সাল), বৃন্দাবন কলেজ, হবিগঞ্জ ;- (1931 সাল), রাজেন্দ্র কলেজ, ফরিদপুর ;- (1918 সাল), নামগঞ্জ সরকারি কলেজ ; (1944 সাল), ফেণী সরকারি কলেজ ;- (1922 সাল), চাঁদপুর সরকারি কলেজ ;- (1946 সাল), চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ ;- (1954 সাল), দিনাজপুর সরকারি কলেজ ; (1942 সাল), মকবুলার রহমান সরকারি কলেজ, পঞ্চগড় ; (1965 সাল), ব্রজলাল (বিএল) কলেজ, খুলনা ;-
    (1902 সাল), প্রফুল্ল চন্দ্র (পিসি) কলেজ, বাগেরহাট ;- (1918 সাল), কেশব চন্দ্র (কেসি) কলেজ, ঝিনাইদহ ;- (1960 সাল), মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজ, যশোর ;- (1941 সাল), সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ;- (1946 সাল), ভিক্টোরিয়া কলেজ, নড়াইল ;- (1886 সাল), তোলারাম কলেজ, নারায়ণগঞ্জ ;- (1937 সাল), সরকারি হরগঙ্গা কলেজ ;- (1938 সাল), গুরুদয়াল কলেজ, কিশোরগঞ্জ ;- (1946 সাল), দেবেন্দ্র কলেজ, মানিকগঞ্জ ;- (1942 সাল), ঢাকা ইডেন মহিলা কলেজ ; (1873 সাল) ----নামক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ব্রিটিশ সরকারের সহযোগীতায় স্থানীয় হিন্দু জমিদাররা তৈরী করেছিলো। তার দাবি- এসব প্রতিষ্ঠান তৈরীর মাধ্যমেই প্রমাণিত হয় হিন্দুরা এ অঞ্চলে শিক্ষা বিস্তারে কত বড় ভূমিকা (!) রেখেছে ।
    পাঠক, এ স্ট্যাটাসে আমার আলোচনার বিষয় হচ্ছে- ব্রিটিশ আমলে এ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরী করে কি হিন্দু জমিদাররা সত্যি এ অঞ্চলে শিক্ষা বিস্তারে ভূমিকা রেখেছিলো ? নাকি তাদের উদ্দেশ্য ছিলো ভিন্ন কিছু ???
    এ সম্পর্কে জানতে হলে- আমাদের আগে জানতে হবে, ব্রিটিশরা আসার আগে এ অঞ্চলের শিক্ষা ব্যবস্থা কেমন ছিলো ?? এ অঞ্চলের মুসলমানরা কি মূর্খ ছিলো নাকি জ্ঞানী ছিলো ?? এ অঞ্চলের মুসলমানদের শিক্ষা ব্যবস্থা কি ব্রিটিশদের দেয়া গোলামি শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে উন্নত ছিলো নাকি অনুন্নত ছিলো ?? এ সম্পর্কে ব্রিটিশরা কি বলে ??? আসুন দেখি-

    ১) বাংলায় মুসলমানদের প্রবর্তিত শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে এ এম ই সি বেইলি বলে-
    They possessed a system of education which, we have abolished, was capable of affording a high degree of intellectual training and polish, was founded on a pricipal not wholly unsound, though presented is an antiquated form; which was infinitely superior to any other system of education than existing in India- a system which secured to them an intellectual as well as a material supremacy.
    অর্থ: তাদের কাছে এমন এক শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল (যেটা আমরা ধ্বংস করেছি) যা দ্বারা অত্যন্ত উচ্চমানের বুদ্ধিগত প্রশিক্ষন ও বিকাশ ঘটানো সম্ভব। এই শিক্ষা ব্যবস্থার ভিত্তির মাঝে কোনরুপ ত্রুটি নেই, যদিও এটির উপস্থাপন পদ্ধতিটি অত্যন্ত পুরনো, তারপরও এটি তৎকালীন ভারতের যেকোন সিক্ষাব্যবস্থা থেকে অসীম মাত্রায় শ্রেষ্ঠ। এই শিক্ষাব্যবস্থাই তাদেরকে বুদ্ধিগত ও উপাদানগত শ্রেষ্ঠত্ব এনে দিয়েছে। (তথ্যসূত্র: Hunter, W. W. Indian Mussalmans, p. 133)
    ২) মুসলিম আমলের শিক্ষার উচ্চমানের প্রশংসা করে ইংরেজ পণ্ডিত জেনারেল স্লিম্যান মন্তব্য করেন,
    “ভারতীয় মুসলমানদের মধ্যে শিক্ষার যে রকম অগ্রগতি হয়েছে, পৃথিবীর খুব কম সম্প্রদায়ের মধ্যেই সে রকম প্রসার হয়েছে। যে ব্যক্তি মাসে ২০ টাকা বেতনের চাকুরী করেন, তিনিও তার সন্তানকে প্রধানমন্ত্রীর সন্তানের সমতূল্য শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা করেন। তারা আরবী ও ফারসী ভাষা মাধ্যমে শিক্ষা লাভ করেন, যা আমাদের কলেজ যুবকেরা গ্রিক ও ল্যাটিন ভাষার মাধ্যমে ব্যকরণ, অলঙ্কারশাস্ত্র, তর্কোশাস্ত্র, শিক্ষা পেয়ে থাকে। মাত্র সাত বছরকাল অধ্যয়নের পর একজন ‍মুসলমান যুবক মাথায় পাগড়ী পরিধান করে এবং অক্সফোর্ড থেকে পাশ করা নব্য যুবকের মতই- জ্ঞানের সেই সকল সংশ্লিষ্ট শাখায় পূর্ণতা লাভ করে থাকে। সে সক্রেটিস, এ্যারিস্টটল, প্লেটো, হিপোক্রেটিস, গ্যালন ও ইবনে সিনা সম্বন্ধে অনর্গল আলোচনা করতে পারে।” (তথ্যসূত্র: Sleeman, W. H. Rambles and Recollections of an Indian Official, Vol-II, London, 1893, pp. 523-524)
    ৩) উইলিয়াম অ্যাডম তার রিপোর্টে (১৮৩৫-১৮৩৮) বাংলায় এক লক্ষ প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিলো বলে উল্লেখ করেন।(তথ্যসূত্র: Long, J., Adam's Reports. pp. 18-19)

    উপরের ৩টি রেফারেন্স দ্বারা প্রমাণ হয়, ব্রিটিশরা আসার আগেই এ অঞ্চলের মুসলমানরা শিক্ষা-দীক্ষায় অসম্ভবরকম উন্নত ছিলো, শিক্ষা ব্যবস্থা অনেক বিস্তৃত ছিলো, যা দর্শণে খোদ ব্রিটিশ দস্যুরাও অবাক হয়ে যায়। ব্রিটিশরাই বলছে তারা এ অঞ্চলের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংষ করে দেয়। কারণ তারা জানত মুসলমানরা যদি ঐ শিক্ষা ব্যবস্থা ধারণ করে তবে তাদের কখন শাসন করা যাবে না। ঐ শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে ব্রিটিশরা ফালতু কোয়ালিটির গোলামি শিক্ষা ব্যবস্থা এ অঞ্চলে চাপিয়ে দেয়, আর সেই গোলামি শিক্ষাব্যবস্থা জারি করার জন্য তারা আজ্ঞাবহ হিন্দু চাকরদের (জমিদার) দিয়ে যায়গায় যায়গায় এ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরী করে। অনেক এলাকায় চাকর হিন্দুরা ব্রিটিশ খ্রিস্টানদের নাম দিয়ে পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান বানিয়ে দেয় (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া, পাবনার এডওয়ার্ড)।

    ভাবতে অবাক লাগে, আজকে ফেসবুকে নমশুদ্ররা ঐ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে গর্ববোধ করে স্ট্যাটাস দেয়, কিন্তু এতে তাদের একটু লজ্জা লাগে না। নিলর্জ্জগুলোর একটু বোধউদয় হয় না, এই ইতিহাসগুলোই প্রমাণ করে দিচ্ছে- হিন্দুরা হচ্ছে বেঈমানের জাত, একটি উন্নত সভ্যতাকে তারা বহিরাগতদের সহয়োগীতায় ধ্বংস করেছিলো। দস্যু ব্রিটিশরা এ অঞ্চলের অতুলনীয় শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে গোলামি শিক্ষা ব্যবস্থা জারি করেছিলো এই হিন্দুদের হাত ধরেই, যার দরুণ আজও এ অঞ্চলের মানুষ এতটা পিছিয়ে আছে।

    ---------------------------------------------------
    --আমার নতুন পেইজ Noyon Chatterjee 5
    (https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
    --পেইজ কোড- 249163178818686 ।

    --আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728