পাঠ্যপুস্তকে আনা পরিবর্তন কেন অবৈধ নয়, হাইকোর্টের রুল !
খবরে পেলাম একদল গাধা নাকি পাঠ্যপুস্তকে পরিবর্তন এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেছে, আর আরোও একদল গাধা বিচারক সেই রিট এক্সসেপ্ট করেছে।
রিট দায়েরকারীরা হলো - মমতাজ জাহান ও ড. এম আনোয়ার হোসেন (কর্নেল তাহেরের ভাই)
রিট এক্সসেপ্ট করেছে- বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের
রিটের পক্ষে আইনজীবি- রোকনউদ্দিন মাহমুদ, সৈয়দ মামুন মাহবুব ও মোস্তাফিজুর রহমান খান।
১) বাংলানিউজ২৪ এর সংবাদে (http://bit.ly/2lNC8yG) এসেছে-
“রিটকারী আইনজীবি মামুন মাহবুব বলেন, পাঠ্যপুস্তক থেকে সুপরিচিত, স্বনামধন্য, প্রতিথযশা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারীদের লেখা বাদ দেওয়া হয়েছে। এখানে সাম্প্রদায়িকীকরণ ও পাকিস্তানের দিকে ঠেলে দেওয়ার একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যেমন এখানে গোলাম মোস্তফা, হুমায়ন আজাদ, শরৎচন্দ্র, রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর লেখা বাদ দেওয়া হয়েছে। যখন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার দেশ চালাচ্ছে তখন এটা কিসের ষড়যন্ত্র। এ কারণে রিট আবেদন করা হয়েছে।”
ব্যাখ্যা: গোলাম মোস্তফার লেখা বাদ দেয়া হয় নাই। রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর লেখাও বাদ দেয়া হয় নাই। শরৎচন্দ্র ও হুমায়ুন আজাদের অনেকগুলো লেখা পাঠ্যবইয়ে আছে, একটা শুধু পরিবর্তণ করা হয়েছে, বাকিগুলো ঠিক আছে।
২) বাংলানিউজ২৪ এর সংবাদ- “রিট আবেদনে বলা হয়, ২০১৩ সালে প্রথম শ্রেণী থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত শ্রেণীতে সুপরিচিত লেখকদের লেখা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যাতে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, সামাজিক, মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন এবং নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন লেখা অন্তর্ভুক্ত হয়। এছাড়াও যেখানে সব ধর্মের স্বনামধন্য লেখকের লেখা ছিলো। কিন্তু গত বছরের ৮ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের দেওয়া একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রথম থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত ক্লাসে ১২টি বিষয় বাদ দিতে বলা হয়। যার মধ্যে হুমায়ুন আজাদসহ বিশিষ্ট লেখক রয়েছেন।”
ব্যাখ্যা:
ক) ২০১৩ সালের পাঠ্যপুস্তককে অসাম্প্রদায়িক লেখা ছিলো !!
-দেবী অন্নপূন্নার প্রশংসা, দেবীর দূর্গার প্রশংসা, রামায়ন, রাধাকৃষ্ণের লীলা খেলা, এগুলো কি অসাম্প্রদায়িক লেখা ??
খ) ২০১৩ সালের পাঠ্যপুস্তককে গণতান্ত্রিক লেখা ছিলো !!
-৯৫% মুসলমানের ধর্মকে (শেষ নবী ও তার সাহাবাদের জীবনী) বাদ দিয়ে ২-৩% হিন্দুর হিন্দুত্ববাদকে পাঠ্যপুস্তকে প্রমোট করা গণতান্ত্রিক সিস্টেম ??
গ) সামাজিক-মানবিক-নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন লেখা ছিলো !!
-মামী রাধা ও ভাগিনা কৃষ্ণের লীলা খেলা এবং বাউল লালনের বিকৃত যৌনাচারসূচক কবিতা ‘সময় গেলে সাধন হবে না’, পাঠাবলীর উৎকট নিয়ম এগুলো কি ধরণের সামাজিক-মানবিক ও নৈতিকতা সম্পন্ন লেখা ??
৩)বাংলানিউজ২৪ এর সংবাদ- “২০১৭ সালে এসে এনসিটিবি হেফাজতে ইসলামের দাবি অনুযায়ী অনেক বিষয় বাদ দিয়ে এবং হেফাজতের আবেদন মতো বিষয় যুক্ত করে। এর মধ্যে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীসহ বিখ্যাতদের লেখা বাদ দেওয়া হয়। অথচ তদের লেখা পাঠ্যপুস্তকে পাকিস্তান আমলে ছিলো।”
ব্যাখ্যা: পাঠক ! খেয়াল করুন, প্র্রথম পয়েন্টে বলছে- এই লেখাগুলো বাদ দিয়ে বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। অথচ ৩ নং পয়েন্টে এসে বলছে শরৎচন্দ্র-উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর লেখা পাকিস্তান আমলে ছিলো। তারমানে দাড়ালো ১নং আর ৩ নং পয়েন্ট পরষ্পর পরষ্পরের বিরোধী। বরং এই গল্প-কবিতায় পরিবর্তন এনে বাংলাদেশকে পাকিস্তান হওয়া থেকে বিরত রাখা হয়েছে।
সবশেষে বলবো- যারা রিট আবেদন করেছে, যারা রিট আবেদনের পক্ষের আইনজীবি এবং যেসব বিচারক রিট এক্সসেপ্ট করেছে তাদের প্রত্যেককে গলায় জুতার মালা পরিয়ে কোর্ট চত্বরে ১০ বার করে ঘোরানো হোক, তারা কেন না জেনে এই রিটের সাথে জড়িত থাকলো। আর শাস্তি শেষে অযোগ্য গাধার বাচ্চাগুলো যেন আমার (http://bit.ly/2mLcXSl) লেখাটি পড়ে নেয়।
---------------------------------------------------
--আমার নতুন পেইজ Noyon Chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
--আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)
No comments