লাত নাম দেবীর থেকে ‘আল্লাহ’ এই গাজাখুরি দাবি আযম খানের !
শূনেছিলাম পর্নো দেখলে নাকি মাথা যায়, বাংলাদেশের শুরুর দিকের পর্নোসাইট যৌবনযাত্রার এডমিন আযম খানের ক্ষেত্রে তার সত্যতা মিললো। তার দাবি- ১৪০০ বছর আগে আরদের কথিত দেবী ‘লাত’ থেকেই নাকি ‘আল্লাহ’র সৃষ্টি। তাই সে সুপ্রীম কোর্টের সামনে লাত দেবীর মূর্তি স্থাপন করতে বলেছে। এর স্বপক্ষে অবশ্য একটি ব্লগস্পট সাইটের (http://bit.ly/2ms5abv) লিঙ্কও শেয়ার করেছে। তার রেফারেন্সের শক্তি দেখে আমি বুঝতে পারছি, আজ থেতে বহু আগেও আইএম জিপিএ-ফাইভ প্রজন্ম বিদ্যমান ছিলো।
যাই হোক, লাত নাম দেবীর থেকে ‘আল্লাহ’ এই গাজাখুরি দাবি নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না। শুধু বলবো- ইহুদী-খ্রিস্টান-ইসলাম এই তিন ধর্মের সৃষ্টিকর্তা ‘আল্লাহ’র ধারণা প্রায় সেইম এবং প্রথম নবী আদম পর্যন্ত ইতিহাস প্রায় এক, অনেক নবীর ধারণাও সেইম। সে হিসেবে তিন ধর্ম বিবেচনা করলে ২০০০ বছর আগে ঈসা নবীর সময় সৃষ্টিকর্তা ‘আল্লাহ’ (‘আল্লাহ’ বা যে এলাকার ভাষায় ডাকুক) শব্দ বিদ্যমান ছিলো এবং ৩২০০ বছর আগে মূসা নবীর সময় ‘আল্লাহ’ শব্দ বিদ্যমান ছিলো। তাই কোন বেকুব যদি বলে মাত্র ১৪০০ বছর আগে লাত নাম দেবীর থেকে ‘আল্লাহ’ শব্দ আসছে তবে তাকে পাগল ভাবা ছাড়া উপায় নেই।
আল্লাহ শব্দের ব্যবহারের ব্যাখ্যায়-
"আল্লাহ" শব্দটি আরবি "আল" (বাংলায় যার অর্থ সুনির্দিষ্ট বা একমাত্র) এবং "ইলাহ" (বাংলায় যার অর্থ ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তা) শব্দদ্বয়ের সম্মিলিত রূপ, বাংলায় যার অর্থ দাড়ায় "একমাত্র সৃষ্টিকর্তা" বা "একক ঈশ্বর"।[১০]। একই শব্দমূল-বিশিষ্ট শব্দ অন্যান্য সেমিটিক ভাষাতেও পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, বলা যায়, হিব্রু এবং আরামাইক ভাষার কথা। প্রাচীন হিব্রু ভাষায় শব্দটি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বহুবচন এলোহিম אֱלֹהִ֔ים (কিন্তু অর্থের দিক দিয়ে একবচন) হিসেবে ব্যবহার হয়েছে। আর আরামাইক ভাষায় শব্দটির রূপ এলাহা ܐܠܗܐ বা আলাহা ܐܲܠܵܗܵܐ। কিন্তু এই শব্দটির অর্থ এই সব ভাষাতেই সমার্থক, "একক ঈশ্বর"। (http://bit.ly/2m7EDNZ)
সুরতাং খ্রিস্টান বলেন, ইহুদী বলেন আর মুসলমান বলেন- সবার মধ্যে সৃষ্টিকর্তা অর্থে আল্লাহ বিদ্যামান, ভাষাগত ভিন্নতা ও সামান্য বিশ্বাসগত পার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু কোনক্ষেত্রেই লাত নামক দেবী থেকে আল্লাহ এসেছে এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। আসলে অনেক শব্দের আগে পরে নতুন অক্ষর যোগ করে ভিন্ন শব্দ আসতেই পারে, কিন্ত সেটা মানেই এই নয় দুটোই এক।
মজার বিষয় হচ্ছে, সে গোজামিল দিয়ে খিচুরি পাকাতে চেয়েছে। বলেছে-লাত চন্দ্র দেবী, তাই মুসলমানদের প্রতীক চাদ। এর ব্যাখ্যা মুসলমানদের শেষ নবী কিন্তু কখনই চাদ’কে ইসলামী প্রতীক বা লোগো হিসেবে ব্যবহার করেননি। মুসলমানদের শেষ নবী লোগো ছিলো- সাদা-কালো পতাকা এবং আরবী ধর্মীয় বাক্যবিশেষ যা কলেমা নামে পরিচিত।
পরিশেষে বলবো- আযম খান নামের সাথে আমি পাকিস্তানের জাতির পিতা আলী জিন্নাহ’র উপাধির অংশ বিশেষ ‘আযম’ পাচ্ছি (কায়েদে আযম আলী জিন্নাহ)। এর দ্বারা কি আমরা ভেবে নেবো- যৌবনযাত্রার এডমিন আযম খান হচ্ছে জিন্নাহ’র জারজ সন্তান ?
---------------------------------------------------
--আমার নতুন পেইজ Noyon Chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
--আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)
No comments