Header Ads

ad728
  • Breaking News

    সম্রাট আকবর পহেলা বৈশাখ চালু করলেই কি সেটা মুসলমানদের দিবস হয়ে যায় ?


    অনেকেই বলছে- পহেলা বৈশাখ, মঙ্গল শোভাযাত্রা এগুলো মোঘল আমল থেকে চালু আছে। বাদশাহ আকবার এগুলো চালু করেছে, হিন্দুরা তো চালু করেনি। বাদশাহ আকবার মুসলমান ছিলেন, তার বিষয়গুলো অনুসরণ করতে মুসলমানদের সমস্যা কোথায় ?

    যারা এ ধরনের কথা বলে তারা নিরেট মূর্খ, ইতিহাস জ্ঞানশূণ্য ও বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী। কেউ যদি আজ থেকে ৫০০ বছর পর বলে- `অমুক দিবসটি সালমান রুশদি চালু করেছে, সে তো মুসলমান ছিলো, তার চালু করা দিবস পালন করতে মুসলমানদের সমস্যা কোথায় ?‘ কিংবা ৭০০ বছর পর যদি বলে- `রাজীব হায়দার শোভন (থাবা বাবা) খুব ভালো মুসলিম ছিলো, ওরা জানাজাও জাতীয় ঈদগাহ শাহবাগে হইছে, তাহলে ওর চালু করা কালচার পালন করতে মুসলমানদের সমস্যা কোথায় ?‘ এ দাবিগুলো যেমন হাস্যরসপূর্ণ হবে, ঠিক তেমনি বাদশাহ আকবরের চালু করা দিবস মুসলমানদের পালন করতে বলাও তার থেকে অধিক হাস্যরসপূর্ণ হবে। আসুন আমরা বাদশাহ আকবরের জীবনীর সম্পর্কে কিছুটা ধারণা নেই-

    ``সম্রাট আকবর ছিলেন ইসলাম ধর্মের ঘোড় বিরোধী। তার শাসনামলে মোসলমানদের দুরবস্হার কোন সীমা ছিল না। সম্রাট আকবর ইসলাম ধর্মের পরিবর্তে নতুন এক ধর্মের প্রবর্তন করেন। ইহা ছিল স্পষ্টতই এক কুফরী ধর্ম অথচ এই নতুন ধর্মের নাম দেওয়া হলো ''দ্বীন-ই-ইলাহী''।
    এই নতুন ধর্মের প্রধান উপাদান ছিল সূর্যের উপাসনা করা। বাদশাহ প্রভাতে, দ্বিপ্রহরে,সন্ধায় ও অর্ধরাত্রে বাধ্যতামূলকভাবে সূর্য পূজা করিতেন। তিনি তিলক লাগাতেন ও পৈতা পরতেন। সূর্যদয়ের সময় ও মধ্যরাত্রিতে নহবত ও নাকাড়া বাজান হতো। এই নতুন ধর্মে সূর্যের নাম উচ্চারনকালে 'জাল্লাত কুদরাতুহু' বলা হতো। বাদশাহ বিশ্বাস করতেন যে ,সূর্য বাদশাহ গনের অভিবাবক ও হিতাকাঙ্খী। তিনি তাই হিন্দুদের কাছ থেকে সূর্যকে বশীভূত করার মন্ত্র শিখেছিলেন। মাঝরাত্রে ও ভোরে তিনি এই মন্ত্র পাঠ করতেন। শিবরাতে তিনি যোগীদের আসরে সমস্ত রাত্রি বসে থাকতেন এবং বিশ্বাস করতেন যে ,ইহাতে আয়ু বৃদ্ধী পায়।

    'ব্রাক্ষ্মদান' নামক জনৈক ব্রাক্ষ্মনকে বাদশাহ রাজকবি নিযুক্ত করেন। ইতিহাসে তিনিই ''বিরবল'' নামে পরিচিত । তারই পরামর্শে 'দেবী' নামক জনৈক হিন্দু দর্শনিক বাদশাহর সহিত মেলামেশা করার সুযোগ পায়। রাত্রিকালে বাদশাহর অন্দরমহলেও এই দার্শনিকের অবাধ যাতায়াত ছিল।বাদশাহ তাহার সহিত সাক্ষাৎ করার জন্য সর্বদা উদগ্রীব থাকতেন। এই দেবী ও গৌতম নামের জনৈক ব্রাক্ষ্মনের কাছ থেকে বাদশাহ মূর্তি,সূর্য,আগুন,ব্রক্ষ্মা,মহামায়া,বিষ্ঞু, কৃষ্ঞ ও মহাদেব পূজার কায়দা কানন শুনে বড়ই উৎফুল্ল হতেন এবং এইসব গ্রহনও করতেন। ইহা ছারা এই ধর্মে আগুন,পানি,গাছ,গাভী পূজা করা হত। নক্ষত্র পূজার ব্যাপারেও বাদশাহ অত্যধিক বাড়াবাড়ি করতেন।
    হিন্দুদের পুনর্জন্মবাদে বিশ্বাস করাও ছিল এই ধর্মের কর্তব্য। হির বিজয় সূরী নামক জনৈক সাধুকে বাদশাহ 'জগৎগুরু' উপাধি দেন। সম্রাট আকবর হিন্দুদের পূনর্জন্মবাদে বিশ্বাস করতেন। মৃত্যুর পর তিনিও পুনরায় অন্য কোন সিংহাসনে আরোহন করবেন বলে বাদশাহ বিশ্বাস করতেন। ব্রাক্ষ্মনগন তাকে বুঝিয়ে দিয়েছিল যে ,শক্তিশালী বাদশাহর শরীরে আত্নার জন্ম হয় এবং কামেল মণীষীগনের আত্না মৃত্যুর সময় মস্তকের তালু দিয়া বাহির হয়ে যায়।এই ধারনার বশবর্তী হয়ে তিনি মাথার তালুর চুল কামাইয়া ফেলিতেন এবং মস্তকের চারিদিকে চুল রেখে দিতেন।বাদশাহ জৈন সাধুদের যথেষ্ট প্রভাবিত হয়েছিলেন। সাধু সঙ্গ লাভের পর হতে তাহার নিকট সব সময় এমনকি ভ্রমনের সময়েও একজন জৈন সাধু থাকত।''হির বিজয়সুরী'' নামক এক সাধুকে তিনি 'জগৎগুরু' উপাধী দিয়েসিলেন।নন্দা বিজয়সূরী নামক এক সাধুকে তিনি 'খশফহম' উপাধী দিয়েছিলেন। হির বিজয় সূরীকে খুশী করবার জন্য তিনি ধর্মপর্ব 'পর্যুষনে' বার দিন জীব হত্যা নিষিদ্ধ করবার ফরমান জারী করেছিলেন। জৈন ধর্ম অনুযায়ী বাদশাহ নিজেও মাংশ ভক্ষন ত্যাগ করেছিলেন।এ বিষয়ে বাদশাহ স্বয়ং সূরীজিকে এক পত্র প্রেরন করেন।উহাতে তিনি সূরীজি কতৃক কিরূপ প্রভাবিত হন তাহার পরিচয় পাওয়া যায়।পত্রটি নিম্নরূপঃ

    ''আমি আপনার উপদেশ অনুযায়ী সম্পূর্নরূপে জীবহিংসা পরিত্যাগ করতে পারি নি।তবে আমি আগের চেয়ে এখন অনেক কম মাংশ আহার করি।আপনি হয়ত জানেন যে , আমি ফতেহপুর হতে আজমীর পর্যন্ত রাজপথের পার্শ্বে প্রতি একশ ক্রোশ পর পর একশত চৌদ্দটি স্তম্ভ নির্মান করেছি।ঐগুলি প্রায় ছত্রিশ হাজার হরিনের শিং দিয়ে সজ্জিত করেছি।ঐগুলি আমি নিজ হাতে শিকার করেছিলাম।আমি এত জীবের প্রান সংহার করেছি। আমার মতো পাপী কেহ নেই।ইহা ছাড়া আমি প্রতিদিন নানা প্রকার জীবের মাংশ সহ পাচশত চড়াই পাখীর জিহ্বা দ্বারা উদর পূর্তি করতাম। ঐ কথা ভাবিতে গেলেও এখন আমি আতংকিত হয়ে উঠি।আপনার শ্রীমুখের অমিয়বানী আমাকে মাংসাহারে অরুচি এনে দিয়েছে।এখন বৎসরে ছয়মাস বা ততোধিক সময় আমি মাংস আহার করি না।-''
    অগ্নিপূজকদের দারাও বাদশাহ যথেষ্ট প্রভাবিত হয়েছিলেন।তাহার আদেশে দরবারের সন্মুখে সর্বক্ষন অগ্নি প্রজ্জলন করবার ব্যাবস্হা করা হয়।ঘন্টাধ্বনি প্রভৃতি গ্রহন করা হয় খৃষ্টানদের নিকট থেকে।মোটকথা ইসলাম ছাড়া অন্য সব ধর্মই বাদশাহর চোখে সুন্দর মনে হত।তার চোখে সবচেয়ে সুন্দর মনে হতো হিন্দুধর্ম।তাই তার নতুন ধর্ম 'দ্বীন-ই-ইলাহির' বেশীর ভাগ উপাদানই গৃহীত হয়েছিল হিন্দুধর্ম হতে।তাই সঙ্গত কারনেই
    হিন্দু এবং রাজপুতদের নিকটই এই অদ্ভুত ধর্ম সমাদর লাভ করেছিল সবচাইতে বেশী।সম্ভবত বাদশাহ আকবেরর কাম্যও ছিল তাই।

    দীন-ই-ইলাহির মূলমন্ত্র ছিল ''লা ইলাহা ইল্লালাহু আকবারু খলিলুল্লাহì''যাহারা নুতন ধর্মে দাখিল হত তাদেরকে এরূপ শপথ বাক্য উচ্চারন করতে হতো- ''আমি অমুকের পুত্র অমুক এতদিন বাপ দাদাদের
    অনুকরনে ইসলাম ধর্মের উপর প্রতিষ্ঠত ছিলাম, এখন স্বেছ্ছায় ও সগ্গানে
    পূর্ব ধর্ম পরিত্যাগ করে 'দীন-ই-ইলাহি' গ্রহন করিতেছি এবং এই ধর্মের জন্য জীবন,সম্পদ ও সম্মান বিসর্জন দিতে প্রস্তুত আছি।''
    দীন-ই-ইলাহির লোকেরা চিঠিপত্রের শিরোনামে 'আল্লাহ আকবর' (আকবরাই আল্লাহ)
    লিখিত এবং পরস্পরের সাক্ষাতের সময় সালামের পরিবর্তে একজন বলত
    'আল্লাহ আকবর'' এবং অপরজন এর জবাবে বলত 'জাল্লাজালালুহু'।
    বাদশাহ তাহাদিগকে শিজরা স্বরূপ তাহার একখানি প্রতিকৃতি প্রদান করতেন।তারা বাদশাহর এই প্রতিকৃতি পরম শ্রদ্ধাভরে নিজ নিজ
    পাগড়ীতে বসিয়ে রাখত।
    বাদশাহ যে সব পুজাপাবন করতেন অনুসারীগনকেও সেই সব করতে হত।উপরন্তু তাদেরকে বাদশাহকেও সেজদা করতে হত। ধর্মব্যবসায়ীদের সর্দার 'তাজুল আরেফিন' বাদশাহকে সেজদা করা ওয়াজেব বলে ফতোয়া দান করেন।এই সেজদার নাম করন করা হয় 'জমিন বোছ'।তিনি বলেন বাদশাহর প্রতি সন্মান প্রদর্শন করা ফরজে আইন এবং চেহারা কেবলায়ে হাজত ও কাবায়ে মুরাদ।হিন্দুস্হানের ভ্রষ্ট সূফীদের কার্যপ্রনালী দলীলরূপে খাড়া করে তিনি এর ব্যাখ্যা প্রদান করেন।সাধারন ব্যক্তিছাড়াও বিশিষ্ট আলেমগনও এই শেরেকি কার্যে অভ্যস্হ ছিলেন।
    এই নুতন ধর্মে সূদ ও জুয়া ছিল হালাল।খাছ দরবারে জুয়া খেলার জন্য একটি ঘর নির্মান করা হয় এবং জুয়াড়ীদেরকে রাজকোষ থেকে সুদি কর্জ দেয়া হত।মদ্যপান করাও হালাল সাব্যস্হ করা হয়। বাদশাহ স্বয়ং দরবারের নিকট একটি শরাবখানা খুলে দেন।নওরোজ অনুষ্ঠানে অধিকাংশ আলেম,কাজী ও মুফতিগনকে শরাব পান করতে বাধ্য করা হত।এই সব অনুষ্ঠানে বিভিন্ন লোকের নামে পেয়ালা নির্বাচিত হত। ফৈজি বলতেন , ''আমি এই পেয়ালাটি পান করছি ফকিহদএর অন্ধ বিশ্বাসের নামে।-''
    এই ধর্মে দাড়ি মুন্ডনের ব্যাপারে অত্যধিক গুরুত্ব দেয়া হত। বাদশাহ এই ব্যাপারে রাজপুত পত্নীদের দ্বারা প্রভাবান্বিত হন।
    নাপাকির জন্য গোসল করা ইসলামে ফরজ।কিন্তু বাদশাহ আকবরের ধর্মে এর বিপরিত মত প্রকাশ করা হয়।বলা হয় যে 'মনী' উৎকৃষ্ট মানুষ সৃষ্টির বীজ। তাই গোসল করিয়া সহবাস করাই উত্তম।তাহা
    ছারা বিবাহ সম্পর্কে আইন করা হয় কেহ তাহার চাচাত,মামাত,ফুফাত ইত্যাদি সম্পর্কের বোনকে বিবাহ করতে পারবে না। ষোল বৎসর পুর্বে বালক এবং চৌদ্দ বৎসরের পুর্বে বালিকাদের বিবাহ দেওয়া চলিবে না এবং কেহ একাধিক বিবাহ করিতে পারিবে না।
    যুবতী নারীদের বাধ্যতামুলকভাবে চেহারা খুলিয়া পথ চলা ছিল এই ধর্মের আইন। শহরের বাহিরে বিভিন্ন যায়গায়
    পতিতাদের বসতি স্হাপন করিয়া ব্যাভিচারকে আইন সঙ্গত করা হয়।পতিতালয় গুলির নাম দেয়া হয় 'শয়তানপুর'।এই সব স্হানে পুলিশ প্রহরার ব্যবস্হা করা হয়।
    খৎনারূপ সুন্নতকে মিটাইয়া দেবার জন্য বার বৎসরের পূর্বে বালকদের খৎনা করা নিষিদ্ধ করা হয়।
    মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে এই বিধান জারি করা হয় যে -এই ধর্মাবলম্বী কোন লোকের মৃত্যু হলে তাহার গলায় কাচা গম ও পাকা ইট বাধিয়া তাহাকে পানিতে নিক্ষেপ করতে হবে এবং
    যেখানে পানি পাওয়া যাইবে না সেখানে মৃতদেহ জ্বালাইয়া দিতে হবে অথবা পূর্ব দিকে মাথা ও পশ্চিম দিকে পা করিয়া দাফন করতে হবে। হিন্দুরা একাদশীর দিন উপবাস থাকে। তাই সেই দিন মোসলমানদেরকেও উপবাস করতে বাধ্য করা হত। অথচ রমজান মাসে কাফেররা অবাধে খদ্যদ্রব্য বেচাকেনা করত ও প্রকাশ্যে আহার করত।
    একদিন ধর্মব্যবাসায়ী আবুল ফজল বাদশাহকে একখানি কেতাব দেখাইয়া বলিলেন,''আপনার জন্য ফেরেশতা ইহা আসমান হতে এনেছেন।সেই কেতাবের একস্হানে একটি আরবি বাক্য লিখিত ছিল,যাহার অর্থ এইরূপঃ

    ''হে মানুষ তুমি গাভী হত্যা করিও না ।যদি কর তবে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে।''নিরক্ষর বাদশাহ ইহা বিশ্বাস করিলেন এবং গরু জবেহ করা নিষিদ্ধ ঘোষনা করে দিলেন।কানুন জারী করলেন,কসাই এর সাথে কেউ আহার করলে তার হাত কেটে দেয়া হবে এমনকি তাহার স্ত্রীও যদি তাহার সাথে আহার করে তবে তার আঙ্গুল কাটা হবে।এই নুতন ধর্মে গরু,উট,ভেড়া প্রভৃতি জন্তুর গোশত হারাম বলিয়া ঘোষিত হল।পক্ষান্তরে বাঘ ভাল্লুকের গোশত হালালের মর্যাদা লাভ করে।মোট কথা সর্বক্ষেত্রে ইসলামের বিরোধিতা করাই ছিল দিন-ই-ইলাহির মূল উদ্দেশ্য।
    একদিন সভাসদগনকে বাদশাহ ডাকিয়া বলিলেন ,''হিন্দুস্হানের জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান যোগী ঋষীদের লিখিত হিন্দি ভাষার পুস্তক গুলি নির্ভুল জ্ঞানের উৎস।আমরা জদি এইগুলি ফার্সী ভাসায় অনুবাদ করে নেই তা হলে আমাদের ইহকাল ও পরকালে শান্তি লাভ হবে।
    তৎক্ষনাৎ বাদশাহর বাসনা পুরন করবার ব্যবস্হা করা হল।অনুবাদ করার জন্য অনেক আলেম নিয়োগ করা হল এবং এর জন্য পৃথক দফতর কায়েম করা হলো।সঙ্গে সঙ্গে আরবী ভাষা পড়া ও জানা অপরাধ বলে সাব্যস্হ হলো।ইহার বদলে জ্যোতিষ শাস্ত্র,অংক,চিকিৎসা,ইতিহাস,ও কথা কাহিনী প্রভৃতি পুস্তকের প্রচলন করা হল।
    ইহার পর বাদশাহ আকবর হিন্দুদের উপর হতে কয়েক কোটি টাকার জিজিয়া কর উঠিয়ে নিলেন।পূর্বে যারা 'এলমে ফেকাহ ' শিক্ষা দান করতেন তাদেরকে একশত বিঘা জমি জায়গীরসরূপ দেয়া হত। বাদশাহ আকবর এই জায়গীর ছিনিয়ে লইলেন।ইসলামী আইন অনুযায়ী বিচার করার জন্য নিযুক্ত করা হত।জায়গীর প্রথা বন্দ্ধ করার ফলে ইসলামী বিচার ব্যবস্হার মূলে কুঠারাঘাত করা হল।এমনি করে ইসলামী হুকুমতের শেষ চিহ্ন টুকুও বিলুপ্ত করার জন্য বাদশাহ আকবর সর্বশক্তি নিয়োগ করলেন। ফলে কয়েক বৎসরের মধ্যে হুকুমতের কোন ক্ষেত্রেই আর ইসলামের চিহ্ন অবশিষ্ট রইল না। মসজিদ বিরান হল। মাদ্রাসা ধ্বংস হল।অধিকাংশ আলেম দেশ ত্যাগে বাধ্য হল।
    শেষ পর্যন্ত বাদশাহ আকবরের রাজত্বে এমন এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্হিতির সৃষ্টি হল যাতে মুসলমানগন অতিষ্ট হয়ে উঠলেন। কারন একমাত্র প্রকৃত মুসলমানগন ব্যতিত অন্য সব সম্প্রদায়ের লোকেরা ছিল বাদশাহর প্রিয়।কাফেররা সন্মানিত হল,মোসলমানগন হলেন অপদস্থ।ইসলামী আহকাম পালন করতে গিয়ে তারা প্রতিটি ক্ষেত্রে কাফেরদের বিদ্রুপবানে জর্জরিত হতে লাগলেন। “

    গ্রন্হ সহায়তা-
    হযরত মোজাদ্দেদ আলফেছানী(রঃ) এর চিঠি পত্রের সংকলন গ্রন্হ মকতুবাদ শরীফ (১ম খন্ড)। এবং মোঃ মামুনুর রশীদ রচিত -নূরে সেরহিন্দ- গ্রন্হ থেকে নেয়া। প্রকাশক-সেরহিন্দ প্রকাশনী, উয়ারি ,ঢাকা, -ধন্যবাদ

    মন্তব্য : বাদশাহ আকবরের সম্পর্কে যে ঐতিহাসিক বর্ণনা পাওয়া যায় তা মোটামুটি একই। ইতিহাস বলে দিচ্ছে-আকবর ছিলো শুধু নামেই মুসলমান, আর বাকিটা ছিলো পুরোপুরি ইসলামবিরোধী ও হিন্দুত্ববাদী। দেখবেন এ জন্য মিডিয়াতে মোঘল শাসকদের মধ্যে একমাত্র আকবরকেই মহত করে উপস্থাপন করা হয় এবং বলা হয়- আকবর দ্য গ্রেট। আকবারকের কার্যক্রম দেখলে সহজেই অনুমেয় আকবর কখন মুসলমানদের জন্য কখনই অনুসরনীয় হতে পারে না। তাই যারা আকবরের কথা বলে পহেলা বৈশাখকে বাধ্যতামূলক করতে চায়, তারা বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী ছাড়া কিছু নয়। 


    ---------------------------------------------------
    --আমার ফেসবুক পেইজ Noyon Chatterjee 5
    (https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
    --পেইজ কোড- 249163178818686 ।

    --আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728