Header Ads

ad728
  • Breaking News

    `নববর্ষে অনৈসলামি বিষয় আছে‘ স্কুল পত্রিকায় এমন বক্তব্য দেয়ায় চাপাইনবাবগঞ্জে স্কুল শিক্ষককে হেনস্থা



    ঐ শিক্ষকের নাম বাদরুল ইসলাম (ফেসবুক আইডি-https://www.facebook.com/badurl.islam.5)। জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হরিমোহন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক স্কুল ম্যাগাজিন ‘মঞ্জুরী’-তে ‘বাংলা নববর্ষ: ইতিহাস, উদযাপন-রীতি ও আমাদের সংস্কৃতি’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রবন্ধে একটি কলাম লিখে ঐ শিক্ষক। যেখানে তিনি বলেন-

    “বাংলা নববর্ষের নামে বর্তমানে যেসব অনুষ্ঠানাদির আয়োজন করা হয়, বাঙালি মুসলমানদের আবহমান সংস্কৃতি ও জীবনাচারের সঙ্গে তার কোন সম্পর্ক নেই। বরং বাংলা নববর্ষের নামে এক শ্রেণির বুদ্ধিজীবী ও সংস্কৃতিসেবী যা কিছু করছেন তা মূলত হিন্দু সংস্কৃতিরই প্রতিরূপ। ‘বাংলা সংস্কৃতি’র নামে তা চালাবার ও একে সর্বজনীন বাঙালির সংস্কৃতি বলে দাবি করা হলেও ৯০% বাঙালি তথা বাংলাদেশী মুসলমানের ঈমান, আকীদা ও ধর্মীয় মূল্যবোধের সঙ্গে তা সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এটা আমাদের জন্য বিজাতীয় অপসংস্কৃতি।” (ছবিতে পত্রিকার কাটিং)

    এই কলাম লেখার কারণে স্থানীয় বামপন্থীগোষ্ঠী একত্র হয়ে তার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছে। তারা ৩৫ জন অভিভাবকের একটি সাক্ষর বানিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দিয়েছে এবং ঐ মুসলিম শিক্ষকের কঠিন শাস্তি দাবি করেছে। ইতিমধ্যে ঐ মুসলিম শিক্ষকে হেনস্থা করা শুরু হয়েছে, আগামীকাল তার বিরুদ্ধে নাস্তিক্যগোষ্ঠী প্রেসক্লাবে মানবন্ধন করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। তারা ঐ শিক্ষককের গ্রেফতার ও চাকুরীচ্যূত করতে চাইছে। (http://bit.ly/2p3ufbD)
    একজন মুসলমান নিজ ধর্মে কোনটা আছে, আর কোনটা নেই, সে সম্পর্কে মন্তব্য করতেই পারে, এটা তার সাংবিধানিক অধিকার। নববর্ষে ইসলাম বিরুদ্ধ কর্মকাণ্ড হয় এটা বাংলাদেশে অনেক ইসলামবেত্তাও বলে। এমনকি কিছুদিন আগে সরকারকে আইনী নোটিশ পর্যন্ত পাঠায় একজন আইনজীবি (http://bit.ly/2ps5DIj)। বাংলাদেশের সংবিধানের ৪১(১)(ক) ধারা অনুসারে প্রত্যেক নাগরিক তার ধর্মীয় অধিকার সংরক্ষণ করে। সুতরাং কেউ তার সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগ করলে তাকে হেনস্থা করা হবে এটা অবশ্যই আইনবিরুদ্ধ।

    আমার মনে হয়, এ ব্যাপারে বাংলাদেশের মুসলমানদের শক্ত প্রতিবাদ করা উচিত। কারণ মুসলমানরা এখন পহেলা বৈশাখ ও অমঙ্গলযাত্রাসহ নানান ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বলে, কিন্তু ইসলামবিদ্বেষীরা চায় সেটা আইন করে বন্ধ করে দিতে। যার শুরুটা করা হয়েছে চাপাইনবাবগঞ্জ জেলা থেকে।

    আমি আপনাদেরকে চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার গুরুত্বপূর্ণ কিছু মোবাইল নম্বর দিচ্ছি, আপনারা এসব নম্বরে ফোন দিয়ে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানান-

    ১) চাপাইনববাগঞ্জ জেলা প্রশাসক
    মো: মাহমুদুল হাসান
    ০১৭১৫০৩৯৯১৪,০৭৮১৫২৩০০

    ২) ইফতেখার উদ্দিন শামীম
    টিএনও, চাপাইনবাবগঞ্জ সদর
    01778255227

    ৩) হরিমোহন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক
    মুহম্মদ আব্দুল লতিফ
    01719-423543

    ৪) জেলা শিক্ষা অফিসার
    মো: মুখলেছুর রহমান আকন্দ
    ০১৯১২৬৫৮৫৬৭

    ৫) ওসি চাপাই নবাবগঞ্জ-০১৭১৩৩৭৩৮১৯

    ৬) চাপাই নবাবগঞ্জ পুলিশ সুপার- ০১৭১৩-৩৭৩৮১৩


    ---------------------------------------------------
    --আমার ফেসবুক পেইজ Noyon Chatterjee 5
    (https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
    --পেইজ কোড- 249163178818686 ।

    --আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728