ভাত দে হারামজাদা, নইলে মূর্তি খাবো
খবর গত ৯ই এপ্রিল, ২০১৭। দৈনিক যায়যায়দিন-
হাওরের চার জেলায় প্রায় দেড় লাখ হেক্টর বোরো ফসল বন্যায় আক্রান্ত। বছরের একমাত্র ফসল কাঁচা অবস্থায় অকাল বন্যায় তলিয়ে গেছে। ফলে হাওরবাসীর বোবা কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে আকাশ-বাতাস। উজান থেকে ধেয়ে আসা অকাল বন্যায় হাওরের কৃষকের স্বপ্ন, সাধ, বেঁচে থাকার অবলম্বন শেষ হয়ে গেছে। ঋণের টাকা আর কঠোর শ্রমে যে বোরো ফসল আর কদিন বাদে ঘরে তোলার কথা ছিল সেই ফসল পানির নিচে তলিয়ে গেল। হাওরের কৃষকের রক্ত পানি করা পরিশ্রমে প্রায় তিন লাখ টন ধান উৎপাদন করে দেশের খাদ্য মজুদ বাড়ায়। সেই হাওরের কৃষকরা এখন সারাবছরের খোরাকির জোগানের দুঃশ্চিন্তায় মগ্ন। জীবনযাপনের একমাত্র অবলম্বন এই একটি ফসল নিঃশেষ হয়ে গেল এখন তাদের সংসার চলবে কী করে? যারা সারাবছর ঘরের চাল খেয়ে উদ্বৃত্ত ধান বিক্রি করতেন_ এখন তারাই সারাবছর কিনে খাবেন। উপরন্তু তাদের মাথায় আছে ঋণের বোঝা।
(http://bit.ly/2nwPxRv)
এদিকে হাজারীবাগ ট্যানারি বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। কিন্তু এতে ভয়ানক সমস্যায় পড়েছে দরিদ্র শ্রমিকরা। এ সম্পর্কে একটি খবর-
কাজ না থাকলে ভাত দিবে কে?
হাজারিবাগের ট্যানারি কারখানা বন্ধ করা হলে ৩০ হাজার শ্রমিকের পরিবারে নেমে আসবে চরম দুর্ভোগ। এ নিয়ে হতাশায় রয়েছেন শ্রমিকেরা। ট্যানারি কারখানার শ্রমিক সফিকুল ইসলাম বলেন, কারখানা সাভার নেয়া হলেও সহজেই কাজ শুরু করতে পারবে না, তাহলে বসিয়ে বসিয়ে টাকা দিবে না, যার কারণে অনেকেরই চাকরি থাকবে না। আর কাজ না থাকলে তো কেউ ভাত দিবে না। (http://bit.ly/2oQXqBx)
অন্যদিকে পেপারপত্রিকা খুললে অভাবের তাড়নায় মানুষ মৃত্যুর খবর কিন্তু চোখ এড়ায় না। এই তো গত সপ্তাহে নওগা জেলায় রুবেল নামক এক ব্যক্তি অভাবের তাড়নায় আত্মহত্যা করেছে (http://bit.ly/2nZqRgh)।
একইসাথে খবর আসছে লালমনিরহাট জেলায় দরিদ্র শ্রমিকরা সামান্য কিছু টাকার জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুকিপূর্ণ পাথর ক্রাশিং কারাখানায় কাজ করছে। গত সপ্তাহে মরনব্যাধী সিলিকোসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে ১ জন মারা গেছে এবং আক্রান্ত হয়েছে আরো ৩০০ জন। (http://bit.ly/2nTnuH)
এই যখন দেশের অবস্থা, তখন স্কুলে স্কুলে, ভার্সিটি-ভার্সিটিতে বৈশাখী পূজা উপলক্ষে এসব মূর্তি-মুখোশ বানিয়ে অপচয় না করলেই কি নয় ???
হিসেব কষে দেখা যায়, যদি ১টি অমঙ্গল শোভাযাত্রায় খরচ হয় ১০ লক্ষ টাকা, এবং দেশব্যাপী স্কুল-কলেজ-ভার্সিটিতে মোট ৫ হাজার অমঙ্গলশোভাযাত্রা হয়, তবে মোট খরচ হয় ৫০০ কোটি টাকা।
এই ৫০০ কোটি টাকা মূর্তি-মুখোশের পেছনে অপচয় না করে এই টাকাগুলো যদি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত, দরিদ্র শ্রমিক ও ক্ষুধার্ত জনগণের মধ্যে বণ্টন করা যেতো, তবে ১ কোটি পরিবারের কমপক্ষে ২ দিনের খাবার খরচ যোগানো সম্ভব ছিলো।
সত্যি অবাক লাগে, যে দেশের এত বিপুল পরিমাণ মানুষ দরিদ্র, সে দেশে নাকি শত শত কোটি টাকা খরচ করে মূর্তি বানিয়ে মঙ্গল চাওয়া হয়। আসলেই দু:খজনক।
---------------------------------------------------
--আমার ফেসবুক পেইজ Noyon Chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
--আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)
No comments