সৌদি হুজুররা মিটিং করে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা দিয়ে গেলেন ভালো কথা। কিন্তু আরো কয়েকটা বিষয় এনশিওর করে যান-

১) যে মসজিদ বানানোর জন্য টাকাগুলো দিলেন, সেই টাকাগুলো ঠিক ঠিক খাতে ব্যয় হবে নাকি তা নিশ্চিত করুন। কারণ বর্তমানে কোন কাজে ১০০ টাকা বরাদ্দ থাকলে ঐ কাজে ১ টাকা ব্যয় হয়, বাকি ৯৯ টাকা আওয়ামী সরকার পকেট পুরে, বিদেশ পাচার করে। এই চোরের দল মসজিদের টাকাও চুরি করতে দ্বিধা করবে না এটা নিশ্চিত।

২) এই টাকাগুলো সম্পূর্ণ নিশর্ত দান হিসেবে সৌদি বাদশাহ আব্দুল্লাহ’র ফান্ড থেকে এসেছে। সে হিসেবে মুসলিম দেশ থেকে এই টাকাগুলো এসেছে, এখানে আওয়ামী সরকারের কোন কৃতিত্ব নাই। কিন্তু আওয়ামী সরকার বা শেখ হাসিনা যেন পরবর্তীতে দাবি না করে, এই মসজিদগুলো তারা বানিয়েছে বা এই মসজিদগুলো বানানোর কৃতিত্ব তাদের।

৩) সৌদি সরকার মূর্তি পূজার বিরুদ্ধে। তাদের দেশে কোন ধরনের মূর্তি পুজা নিষিদ্ধ। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখানে হিন্দুরা তো মূর্তি পূজা তো নির্দ্বিধায় করতে পারেই, মুসলমানদের বাধ্যতামূলক বিভিন্ন পূজা (অমঙ্গল শোভাযাত্রা, বৈশাখী পূজা, দূর্গা পূজা, সরস্বতী পূজা) করতে বাধ্য করা হচ্ছে। এ টাকাগুলো দেয়ার আগে নিশ্চিত করুন, ঐ ৫৬০টি মসজিদে আবার না দূর্গা মূর্তি রাখতে বাধ্য করে আওয়ামী সরকার।

৪) ৫৬০টি মসজিদ বানানো বিরাট কাজ। কিন্তু এই কাজ কারা করবে ? বাংলাদেশে অনেক ‍মুসলমান আছে বেকার। তারা এই মসজিদ বানানোর কাজ করতে পারে। কিন্তু দেখা যাবে, আওয়ামী সরকার এই মসজিদ বানানোর কাজগুলো কোন ভারতীয় কন্ট্রাকটর কোম্পানি দেবে। এই মসজিদগুলো যেন বাংলাদেশের মুসলমানদের দিয়ে বানানো হয়, সেটা নিশ্চিত করুন।

৫) এই ৫৬০টি মসজিদে কে নামাজ পড়বে সেটাও নিশ্চিত করুন। কারণ আজকে গংগীবাদের অজুহাতে যেভাবে সরকার মুসলমানদের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করছে, বলছে- দাড়ি রাখলে গংগী, নামাজ পড়লে গংগী, ঘরে কোরআন রাখরে গংগী, টেলিভিশন না থাকলে গংগী। এই অবস্থা চলতে থাকলে যখন মসজিদ বানানোর কাজ শেষ হবে, তখন কোন মুসল্লী অবশিষ্ট থাকবে না, যারা ঐ ৫৬০টা মসজিদে নামাজ পড়তে পারবে।

৬) কার হাতে এতগুলো টাকা আপনারা দিয়ে গেলেন ? সে কি এই টাকা দিয়ে মসজিদ বানাবে নাকি মন্দির বানাবে, সেটা আগে নিশ্চিত করুন। কারণ বিশ্বাস ঘাতকতা করা কিন্তু তার ধর্ম। এ্ই নারী কিন্তু নির্বাচনের আগে ইশতাহারে ঘোষণা দিয়েছিলো- “ক্ষমতায় গেলে কোরআন-সুন্নাহ’ বিরোধী কোন আইন পাশ হবে না”। অথচ ক্ষমতায় এসে সেই সংবিধান থেকে আল্লাহ’র প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস’ তুলে দেয়। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তুলে দিতেও বার বার উদ্যোগ নেয়। বিচারবিভাগের প্রধান হিসেবে একজন হিন্দু নিয়োগ করে, কোর্ট প্রাঙ্গনে গ্রিক দেবীর মূর্তি স্থাপন করে। এই যখন ঐ নারীর অবস্থা, তখন সে ৯ হাজার কোটি টাকা নিয়ে আদৌ মসজিদ বানায় নাকি মন্দির বানায় সেটা পরিপূর্ণ নিশ্চিত করা উচিত।

---------------------------------------------------

--আমার ফেসবুক পেইজ Noyon Chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।

--আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)