লা-পরোয়া আধ্যাত্মিক নেতা শেখ হাসিনা
আজকে ভারতের চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য দিয়েছেন। বিএনপিকে একমাত্র প্রতিপক্ষ বানিয়ে বিরোধীতাকারীদের বলেছেন- “..কে তারা? কী মানলো না মানলো, কার কী আসে যায়?”(http://bit.ly/2nXW6cG)
এ ধরনের বক্তব্য এবারই প্রথম নয়। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে প্রেস কনফারেন্সে বক্তব্য দেয়ার সময় একই টাইপের বক্তব্য দিয়েছিলেন। রামপাল নিয়ে পরিবেশ সমালোচকদের উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন- “'আমার কিছু আসে যায় না।” (http://bit.ly/2oDbzlf)
শুধু বিএনপি নয় প্রতিরক্ষা চূক্তি ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরোধীতা করেছে সারা দেশ, এটা শেখ হাসিনা নিজেও জানেন। কিন্তু তিনি সবাইকে বৃদ্ধা আঙ্গুলি দেখিয়ে বলেছে- “হু কেয়ারস ??”
আসলে শেখ হাসিনা যে ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন, এটা সারা বিশ্বের নজির পাওয়া দুরুহ। বিশ্বের যে কোন দেশে যে কোন রাষ্ট্রীয় ইস্যুতে সরকার-বিরোধীদল এক হয়ে যায়, জনগণের থেকে মতামত নেয়া হয়। আলোচনা সমালোচনা চলে। এরপর যেটা জনগণের জন্য ভালো, সেটার পক্ষে মত আসে। কিন্তু একমাত্র বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম, বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী নিজেই বার বার বলে দেন- “কে কি বললো, তাতে আমার কি আসে যায়? আমি কাউকে পারোয়া করি না।”
অথচ শেখ হাসিনা বার বার ভুলে যান, রামপাল-সামরিক চূক্তি তার ব্যক্তিগত ইস্যু নয়, রাষ্ট্রীয় ইস্যু। যদি বিষয়টি শেখ হাসিনার পরিবার নিয়ে কোন বিষয় হতো, তবে শেখ হাসিনা বলতে পারতেন- “কে কি বললো, তাতে আমার কি আসে যায়? আমি কাউকে পারোয়া করি না।” তবে সেটা মানাতো, কিন্তু রাষ্ট্রীয় ইস্যুতে শেখ হাসিনা যেভাবে কথা বলেন, তাতে মনে হয় বাংলাদেশ নামক বাড়ির মালিক মনে হয় শেখ হাসিনা, আর বাকি সবাই তার বাসায় ভাড়া থাকতে এসেছে। সুতরাং বাড়িওয়ালি কার কাছে ফ্ল্যাট বিক্রি করলো, তাতে ভাড়াটিয়া মাথা ঘামানোর কে ?
আসলে শেখ হাসিনা যে ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন, এটা সারা বিশ্বের নজির পাওয়া দুরুহ। বিশ্বের যে কোন দেশে যে কোন রাষ্ট্রীয় ইস্যুতে সরকার-বিরোধীদল এক হয়ে যায়, জনগণের থেকে মতামত নেয়া হয়। আলোচনা সমালোচনা চলে। এরপর যেটা জনগণের জন্য ভালো, সেটার পক্ষে মত আসে। কিন্তু একমাত্র বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম, বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী নিজেই বার বার বলে দেন- “কে কি বললো, তাতে আমার কি আসে যায়? আমি কাউকে পারোয়া করি না।”
অথচ শেখ হাসিনা বার বার ভুলে যান, রামপাল-সামরিক চূক্তি তার ব্যক্তিগত ইস্যু নয়, রাষ্ট্রীয় ইস্যু। যদি বিষয়টি শেখ হাসিনার পরিবার নিয়ে কোন বিষয় হতো, তবে শেখ হাসিনা বলতে পারতেন- “কে কি বললো, তাতে আমার কি আসে যায়? আমি কাউকে পারোয়া করি না।” তবে সেটা মানাতো, কিন্তু রাষ্ট্রীয় ইস্যুতে শেখ হাসিনা যেভাবে কথা বলেন, তাতে মনে হয় বাংলাদেশ নামক বাড়ির মালিক মনে হয় শেখ হাসিনা, আর বাকি সবাই তার বাসায় ভাড়া থাকতে এসেছে। সুতরাং বাড়িওয়ালি কার কাছে ফ্ল্যাট বিক্রি করলো, তাতে ভাড়াটিয়া মাথা ঘামানোর কে ?
যাই হোক, রামপাল নিয়ে প্রেসকনফারেন্স আর এবার ভারতের সাথে চুক্তি নিয়ে বক্তব্য দুটো পড়ে একটি মিল পেলাম- দুই স্থানেই শেখ হাসিনা একই ধরনের কথা বলেছেন-
রামপাল নিয়ে বলেছেন- ‘আপনারা আমার উপর বিশ্বাস রাখুন। আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা। আমি এমন কোনো কাজ আগেও করিনি, ভবিষ্যতেও করব না- যা দেশের এবং দেশের মানুষের সামান্যতম ক্ষতি করে।’
এবার ভারতের অস্ত্র চূক্তি নিয়ে বললেন-অনেকে অনেক কথা বলবে, নিজের বিবেক যদি ঠিক থাকে, দেশপ্রেম থাকে, আমার দেশের ক্ষতি অন্তত আমাদের দ্বারা হবে না।”
রামপাল নিয়ে বলেছেন- ‘আপনারা আমার উপর বিশ্বাস রাখুন। আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা। আমি এমন কোনো কাজ আগেও করিনি, ভবিষ্যতেও করব না- যা দেশের এবং দেশের মানুষের সামান্যতম ক্ষতি করে।’
এবার ভারতের অস্ত্র চূক্তি নিয়ে বললেন-অনেকে অনেক কথা বলবে, নিজের বিবেক যদি ঠিক থাকে, দেশপ্রেম থাকে, আমার দেশের ক্ষতি অন্তত আমাদের দ্বারা হবে না।”
পর পর দুটি বক্তব্য এই প্রমাণ করে- রাষ্ট্রীয় ইস্যুতে শেখ হাসিনা জনগণকে দলিল-যুক্তি দিতে ব্যর্থ হয়েছেন, তাই বাধ্য হয়ে জনগণকে তার উপর চোখ-মুখ বন্ধ করে বিশ্বাস স্থাপন করতে বলছেন। আসলে এ ধরনের বিশ্বাস স্থাপনের কথা শুধু আধ্যাত্মিক নেতারাই বলতে পারেন। আমি নিশ্চিত শেখ হাসিনা এখন আধ্যাত্মিক পর্যায়ে চলে গেছেন। তিনি যেহেতু ‘লা পারোয়া’, তার উপর বিশ্বাস স্থাপন ছাড়া জনগণের আর কোন গতি নাই।
--আমার ফেসবুক পেইজ Noyon Chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
--আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)
No comments